পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S&ty প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩e • [ २७ण छाभ, २ग्न थ७ সমাধান সমস্যার দিকে কেউ যদি অঙ্গুলি নির্দেশ করে, অমূনি দেশের কৃতী অকৃতী সকলে সেই ব্যক্তিকেই সমাধানের জন্য দায়িক করে? জবাব চেয়ে বসে। তারা বলে—আমরা ত একটা তবু যাহোক কিছু সমাধানে লেগেচি, তুমিও এমনি একটা সমাধান খাড়া কব, দেখা যাক তোমারি বা কত বড় যোগ্যতা ! আমি জানি, কোনও ঔষধ-সত্রে এক বিলাতী ডাক্তার ছিলেন। তার কাছে এক বৃদ্ধ এসে করুণস্বরে যেমনি বলেচে, “জর", অমনি তিনি ব্যস্ত হয়ে তখনি তাকে একটা অত্যস্ত তিতে জরম্নরস গিলিয়ে দিলেন—সে লোকট। হাপিয়ে উঠল, কিন্তু আপত্তি করবার সময় মাত্র পেল না । সেই সঙ্কটের সময়ে আমি যদি ডাক্তারকে বাধা দিয়ে বলতুম, জর ওর নয়, জর ওর মেয়ের—তা হলে কি ডাক্তার রেগে আমাকে বলতে পারতেন যে, তবে তুমিই চিকিৎসা কর না ; আমি ত তবু যা হয় একটা কোনো ওষুধ যাকে হয় একজনকে খাইয়েচি, তুমি ত কেবল ফাকা সমালোচনাই করলে!” আমার এইটুকু মাত্র বলবার কথা যে, “আসল সমস্যাট হচ্চে, বাপের জর নয় মেয়ের জর, অতএব বাপকে ওষুধ খাওয়ালে এ সমস্তার সমাধান হবে না।” কিন্তু বৰ্ত্তমান ক্ষেত্রে সুবিধার কথাটা এই যে, আমি যেটাকে সমস্যা বলে’ নির্ণয় করচি, সে আপন সমাধানের ইঙ্গিত আপনিই প্রকাশ করচে ।--অবুদ্ধির প্রভাবে আমাদের মন দুৰ্ব্বল, অবুদ্ধির প্রভাবে আমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন ; শুধু বিচ্ছিন্ন নষ্ট, পরস্পরের প্রতি বিরুদ্ধ ; অবুদ্ধির প্রভাবে বাস্তব জগৎকে বাস্তবভাবে গ্রহণ করতে পারিনে বলেই জীবনযাত্রায় আমরা প্রতিনিয়ত পরাহত , অবুদ্ধির প্রভাবে স্ববুদ্ধির প্রতি আস্থা হারিয়ে আন্তরিক স্বাধীনতার উৎসমুখে আমরা দেশজোড়া পরবশতার পাথর চাপিয়ে বসেচি। এইটেই যখন আমাদের সমস্যা তখন এর সমাধান ‘শিক্ষা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না । আজকাল আমরা এই একটা বুলি ধরেচি, ঘরে যখন আগুন লেগেছে তখন শিক্ষাদীক্ষা সব ফেলে রেখে সৰ্ব্বাগ্রে আগুন নেবাতে কোমর বেঁধে দাড়ানো চাই ; অতএব সকলকেই চরকায় স্থতো কাটুতে হবে । আগুন লাগলে আগুন নেবানে চাই এ-কথাটা আমার মত মাহুষের কাছে ৪ দুৰ্ব্বোধ নয়। এর মধ্যে দুরূহ ব্যাপার হচ্চে, কোনটা আগুন সেইটে স্থির করা ; তা হলেই সিদ্ধান্ত করা সহজ হবে কোনট। জল। ছাইটাকেই আমরা যদি আগুন বলি তা হলে ত্রিশকোটি ভাঙাকুলে। লাগিয়েও সে আগুন নেবাতে পারব না। নিজের চরকার স্বতে, নিজের তাতের কাপড় আমরা যে ব্যবহার করতে পারচিনে সেটা আগুন নয়, সেট। ছাইয়ের একটা অংশ অর্থাং আগুনের চরম ফল নিজের তাত চালাতে থাকূলেও এ আগুন জলতে থাকবে । বিদেশী আমাদের রাজা এটাও আগুন নয়, এটা ছাই ; বিদেশীকে বিদায় করলেও আগুন জলবে—এমন ক স্বদেশী রাজা হলেও দুঃখদহনের নিবৃত্তি হবে না। এমন নয় যে, হঠাৎ আগুন লেগেচে, হঠাৎ নিবিয়ে ফেল্ব। হাজার বছরের উৰ্দ্ধকাল যে আগুন দেশটাকে হাড়ে মাসে জালাচ্ছে, আজ স্বহস্তে স্বতে কেটে কাপড় বুনলেই সে আগুন দু’দিনে বশ মানবে এ-কথা মেনে নিতে পারিনে। আজ দুশো-বছর আগে চরকা চলেছিল, তাতও বন্ধ হয়নি, সেইসঙ্গে আগুনও দাউদাউ করে জলছিল । সেই আগুনের জ্বালানি-কাঠটা হচ্চে ধৰ্ম্মে কৰ্ম্মে অবুদ্ধির অন্ধত । যেখানে বৰ্ব্বর অবস্থায় মানুষ ছাড়া-ছাড়া হয়ে থাকে, সেখানে বনে জঙ্গলে ফল মূল খেয়ে চলে ; কিন্তু যেখানে বহুলোকের সমাবেশে সভ্যতার বিচিত্র উদ্যম প্রকাশ পেতে চায়, সেখানে ব্যাপক ক্ষেত্র জুড়ে বেশ ভালরকম করে" চাষ করা অত্যাবশ্বক হয়ে ওঠে। সকল বড় সভ্যতারই অন্নরূপের আশ্রয় হচ্চে কৃষিক্ষেত্র। কিন্তু সভ্যতার একটা বুদ্ধিরূপ আছে, সে ত অন্নের চেয়ে বড় বই ছোট নয়। ব্যাপকভাবে সৰ্ব্বসাধারণের মনের ক্ষেত্র কর্ষণ করে