পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সখ্য। ] বিচিত্র ও বিস্তীর্ণভাবে বুদ্ধিকে ফলিয়ে তুলতে পারলে তবেই সে সভ্যতা মনস্বী হয় । কিন্তু যেখানে অধিকাংশ লোক মৃঢ়তায় আবিষ্ট হয়ে অন্ধসংস্কারের নামা বিভীষিকায় সৰ্ব্বদা ত্রস্ত হয়ে গুরু-পুরোহিত-গণতকারের দরজায় সর্বদ ছুটোছুটি করে মরচে সেখানে এমন কোনো সৰ্ব্বজনীন স্বাধীনতামূলক রাষ্ট্রিক বা সামাজিক ব্যবস্থাতন্ত্র ঘটুতেই পারে না যার সাহায্যে অধিকাংশ মানুষ নিজের অধিকাংশ দ্যায্য অধিকার পেতে পারে। আজকালকার দিনে আমরা সেই রাষ্ট্রনীতিকেই শ্রেষ্ঠ বলি সার ভিতর দিয়ে সৰ্ব্বজনের স্বাধীন বুদ্ধি স্বাধীন শক্তি নিজেকে প্রকাশ করবার উপায় পায় । কোনো দেশেই আজিপৰ্য্যন্ত তার সম্পূর্ণ আদর্শ দেখিনি। কিন্তু আধুনিক যুরোপে আমেরিকায় এই আদশের অভিমুখে প্রয়াস দেখতে পাই । এই প্রয়াস কখন থেকে পাশ্চাত্য দেশে বললাভ করেচে ? যখন থেকে সেখানে জ্ঞান- ও শক্তি-সাধনার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি বহুলপরিমাণে সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপ্ত হয়েচে । যথন থেকে সংসারযাত্রার ক্ষেত্রে মানুষ নিজের বুদ্ধিকে স্বীকার করতে সাহস করেচে তখন থেকেই জনসাধারণ রাজা গুরু জড়প্রথা ও অন্ধসংস্কারগত শাস্ত্রবিধির বিষম চাপ কাটিয়ে উঠে মুক্তিব সৰ্ব্বপ্রকার বাধা আপন বুদ্ধির যোগে দূর করতে চেষ্টা কবেচে । অন্ধ বাধ্যতা দ্বারা চালিত হবার চিরাভ্যাস নিয়ে মুক্তির বিপুল দায়িত্ব কোনো জাতি কখনো ভাল করে বুঝতেই পারবে না, বহন করা ত দূরের কথা । হঠাৎ এক সমযে র্যাকে তার অলৌকিক-শক্তি-সম্পন্ন বলে বিশ্বাস করে তার বাণীকে দৈববাণী বলে জেনে তারা ক্ষণকালের জন্যে একটা দুঃসাধ্য সাধনও করতে পারে, অর্থাৎ যে আত্মশক্তি তাদের নিজের মধ্যে থাকা উচিত ছিল সেইটাকে বাইরে কোথাও খাড়া করে কোনো এক সময়ে কোনো একটা কাজ তারা মরীয় হয়ে চালিয়ে নিতে পারে। নিত্য ব্যবহারের জন্যে যে আগুন জালাবার কাজট তাদের নিজের বুদ্ধির হাতেই থাকা উচিত ছিল কোনো একদিন সেই কাজটা কোনও অগ্নিগিরির আকস্মিক উচ্ছাসের সহায়তায় তারা সাধন করে নিতে পারে । কিন্তু কচিৎবিষ্ণুরিত অগ্নিগিরির উপরেই যাদের ঘরের আলো সমাধান b(tన AAAAAA AAAA AAAA AAASA SAASAASSAAAAA AAAA AAAA AAAA SS AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS জালাবার ভার, নিজেদের বুদ্ধিশক্তির উপর নয়, মুক্তির নিত্যোৎসবে তাদের প্রদীপ জলবে না এবিষয়ে সন্দেহমাত্র নেই। অতএব যে শিক্ষার চর্চায় তারা আগুন নিজে জালাতে পারে, নিজে জালানো অসাধ্য নয় এই ভরসা লাভ করতে পারে, সেই শিক্ষা পাওয়াই ঘরের অন্ধকার দূর হওয়ার একমাত্র সদুপায়। এমন লোককে জানা আছে, যে মানুষ জন্ম-বেকার, মজাগত অবসাদে কাজে তার গা লাগে না । পৈতৃক সম্পত্তি তার পক্ষে পরম বিপত্তি, তাও প্রায় উজাড় হয়ে এল । অর্থ না হলে তার চলে না, কিন্তু উপার্জনের দ্বারা অর্থসঞ্চয়ের পথ এত দীর্ঘ, এত বন্ধুর, যে, সে-পথের সামনে বসে বসে পথটাকে হ্রস্ব করবাব দৈব উপায় চিন্তায় অtধ বোজা চোখে সে সৰ্ব্বদ। নিযুক্ত, তাতে কেবল তার চিন্তাই বেড়ে চলেছে, পথ কম্চে না । এমন সময় সন্তাসী এসে বললে, তিনমাসের মধ্যেই সহজ উপায়ে তোমাকে লক্ষপতি কবে দিতে পারি। এক মুহূৰ্ত্তে তার জড়তা ছুটে গেল। সেই তিনটে মাস সন্তাসীর কথামত সে দুঃসাধ্য সাধন করতে লাগল। এই জড়পদার্থের মধ্যে সহসা এতটা প্রচুর উদ্যম দেখে সকলেই সন্তাসীর অলৌকিক শক্তিতে বিস্মিত হয়ে গেল । কেউ বুঝলে ন, এটা সন্যাসীর শক্তির লক্ষণ নয়, ঐ মানুষটারই অশক্তির লক্ষণ। আত্মশক্তির পথে চলতে যে বুদ্ধি যে অধ্যবসায়ের প্রয়োজন, যে মানুষের তা নেই, তাকে অলৌকিক-শক্তিপথের আভাস দেবামাত্রই সে তার জড়শয্যা থেকে লাফ দিয়ে ওঠে । তা না হলে আমাদের দেশে এত তাগাতাবিজ বিক্রি হবে কেন ? যারা রোগ তাপ বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাবার বুদ্ধিসঙ্গত উপায়ের পরে মানসিক জড়ত্ব-বশত আস্থা রাখে না, তাগা-তাবিজে স্বস্ত্যয়নে তন্ত্রে মস্ত্রে মানতে তারা প্রভূত ত্যাগ এবং অজস্র সময় ও চেষ্টা ব্যয় কবৃতে কুষ্ঠিত হয় না। একথা ভুলে যায় যে, এই তাগা-তাবিজ-গ্ৰস্তদেরই রোগ তাপ বিপদ আপদের অবসান দেবতা বা অপদেবতা কারো কৃপাতেই ঘটে না, এই তাগা-তাবিজ-গ্ৰস্তদেরই ঘরে অকল্যাণের উৎস শত ধারায় চিরদিন উৎসারিত । যে-দেশে বসন্ত-রোগের কারণটা লোকে বুদ্ধির দ্বার