পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>* “مواوخلا . SAAAAS AAAAS AAASASAS SSAS SSAS SSAS SS SAAAA এসে দেবতা যদি ভক্তের প্রতি সংহারমূর্তি ধারণ করেন, তা হ’লে ভক্ত ভয় নিশ্চয়ই পায়; কিন্তু ভক্তি.পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া বোধ হয় স্থগিত রাখে ।” এবার স্থমিত্র। হাসিয়া ফেলিল । বলিল, “স্থগিত রাখতে হবে না। আপনারা একেবারে বন্ধ করুন। দেবী বলে আমাদের ভুলিয়ে না রেখে মানবীব পদে আমাদের দাড়াতে দিন ।” স্বরেশ্বর বিমানবিহারীর দিকে চাহিয়া হাসিতে হাসিতে কহিল, “দেখলেন ত বিমান-বাব, এদেব মানসিক অবস্থাট। নারীজাতিব খাতিরে এর আমাদেব কাছ থেকে বিশেষ করে কিছুমাত্র শিষ্টত বা সংযম-পেতে চান না। অথচ আমি এর প্রবন্ধেব অকপট সমালোচন করছিলাম বলে আপনি আমাকে অশিষ্টতার অপরাধে অপরাধী করছিলেন ।” তাহার পর সুমিত্রাকে সম্বোধন করিয়া বলিল, “কিন্তু আপনার ভাষাটি ভারি চমৎকার হয়েছে। একেবারে তবৃতরে, ঝরঝরে ! আমাদের প্রতি যে অকারণ গালি বর্ষণ করেছেন তার একমাত্র সাম্বন এই যে খাঁ বলেছেন তা স্বন্দর কবেই বলেছেন।” বলিয়। সুরেশ্বর হাসিতে লাগিল । সেদিন সুরেশ্বর প্রস্থান করার পরও বিমানবিহারী কিছুক্ষণ থাকিয় গেল । স্বমিত্রাকে ঈষৎ উন্মনা লক্ষ্য করিয়া সে বলিল, “স্বরেশ্বরের আসল মূর্তিটি ক্রমশঃই প্রকাশ পাচ্ছে! তার সঙ্গে আরও একটু ঘনিষ্ঠত হ’লে হয়ত দেখা যাবে সে আজ যতটুকু রূঢ়ত প্রকাশ করে’ গেল, সেটাও তার ভাণ করা বিনয়ের অভিনয় !” সুমিত্রা.সবিস্ময়ে কহিল, “কটত। প্রকাশ করে গেলেন . কখন ?” - - বিমানবিহারী রুষ্টমুখে কহিল, “তুমি যদি সেট। বুঝতে না পেরে থাক তা হ'লে এখন তা বোঝাতে যাওয়৷ যেমন কঠিন তেমনি অনাবশ্বক ! তুমি কি মনে কর স্থ্যঞ্জ শুধু রূঢ় কথা দিয়েই প্রকাশ করা যায় ?” বিমানবিহারীর কথা শুনিয়া স্থমিত্রা ক্ষণকাল নিৰ্ব্বাকৃ হইয়া চাহিয়৷ রহিল, তাহার পর স্মিতমুখে কহিল, “স্বরেশ্বর-বাৰু যদি হেঁয়ালী করে গিয়ে থাকেন ত কি করে বুঝব বলুন ?” প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩e . [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS SSAAAASA SAASAASAASAASAASAAAS স্বমিত্রার এই সপরিহাস লঘু উত্তরে উত্তেজিত হইয়া উঠিয়া বিমান কহিল, “হেঁয়ালী ? কেন, তোমাকে আর তোমাদের সমস্ত দলটিকে সে প্রকারাস্তরে কপট বলে’ গেল না ? বললে না যে তোমাদের প্রবন্ধ লেখবার এক মাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে সাহিত্যস্থষ্টি করা ?” সুমিত্ৰা মৃদু হাসিয়া কহিল, “হঁ্যা, সাহিত্যস্থষ্টির কথা বলেছিলেন বটে কিন্তু সমালোচনা করতে গিয়ে এটুকু বলাকে রূঢ়ত বলা যায় কি ?” বিমানবিহারী অধিকতর উত্তেজিত হইয়। উঠিয় বলিল, “সমালোচন৷ বলছ তুমি কাকে ? অনর্থক অ কারণ নিন্দাকে যদি সমালোচনা বলতে হয় তাঙ্গলে গালাগালিকেও উপদেশ বলা চলে! একটা জিনিসকে অপর জিনিসের সঙ্গে গোল কোরে ন সুমিত্ৰা । তোমার প্রবন্ধে যুক্তিতর্কের সংশ্ৰব নেই বললে সমালোচনা করা হয়, কি নিন্দ করা হয়, এটুকু বোঝবার ক্ষমত। আমার আছে—এবং সেটুকু বুঝে’ চুপ করে থাকার ধৈর্য আমার নেই।” বিমানবিহারীর কথার শেষাংশের তাৎপৰ্য্য উপলব্ধি করিয়া আরক্তমুখে স্থমিত্রা কহিল, “কিন্তু অকারণ আমার প্রবন্ধের নিন্দ করে স্বরেশ্বর-বাবুর কি লাভ ?” বিমানবিহারী বলিল, “লাভ কিছুই নেই। ঐটুকু হচ্ছে ওর প্রকৃতি । একদল লোক আছে - তারা মনে করে অপরের সঙ্গে একমত হ’লেই খাটো হ’তে হয় । তাই তারা কারণে অকারণে সব কথার প্রতিবাদ করে? নিজেদের বিশেষত্ব প্রমাণ করতে চেষ্টা করে। আমি বললাম, তোমার প্রবন্ধে যথেষ্ট যুক্তি আছে, অতএব সে বলে গেল আর কিছু থাক আর নাই থাক যুক্তিটাই তাতে নেই!” কিন্তু বিমানবিহারীর এত কথা, এবং পরে আরও বহু বহু প্রশংসা সত্ত্বেও, স্থমিত্রা যখন একাকী হইয়া প্রবন্ধটা খুলিয়া দেখিতে বসিল, তখন তাহার নিকট স্বরেশ্বরের নিন্দা-প্রশংসাই একমাত্র প্রামাণিক বলিয়া বোধ হইতে লাগিল । মনে হুইল তাহার প্রবন্ধ যেন স্বচারু পরিচ্ছদে আবৃত কুগঠিত দেহ। ( ক্রমশ: ) শ্রী উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়