পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ ناحیه به حساب می حبیبیمه تعیی AA AMMAMM ASASA MeMAeMeS মোক্ষদা ঝঙ্কার দিয়া উঠিলেন—“তোমাকে আর কিছু দিতে হবে না, যে মিষ্টি বচন দিয়েছ তাতেই প্রাণ ঠাণ্ড হ’য়ে গিয়েছে, নাও এখন পার তো এদিকে এস একবার, হঁাড়িটা দেখ, নয়ত বলো নিজে মরি বঁচি একরকম করে সাঙ্গ করে তুলি।” রামতন্তু কোন কথা বলিলেন না, আপন মনে খাইয়া উঠিয়া চলিয় গেলেন । এই-সব ব্যাপারেই স্থশীল অত্যন্ত চটিয়া যাইত, রামতনু পুত্রবধুর নিকট কোন জিনিস চাহিয়া থাইলে তাহার রাগ গলিয়৷ জল হইয়৷ যাইত, কিন্তু লোকে তাহাকে জব্দ করিতেছে বা অপমান করিবার ফন্দী খুজিতেছে ভাবিলে তাহাব আর কী গু জ্ঞান থাকিত না, সেও কোমর বাধিয়া রণে আগুয়ান হইত। সেই বা ছাড়িবে কেন ? মাস দুই পরে । ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি, কিন্তু বেশ গবস পড়িয়াছে। কিশোরী অনেক রাত্রে বাড়ী ফিরিয়াছে। বাড়ীতে যে যার ঘরে ঘুমাইতেছে। সে নিজের ঘবে ঢুকিযা দেখিল স্বশীল ঘরের মেজেয় বসিযা একথান চিঠি লিখিতেছে। কিশোরী কুশীগকে জিজ্ঞাসা করিল—কাকে চিঠি লেখা হচ্চে ! কুশীল চিঠির কাগজখন তাড়াতাড়ি আঁচল দিয়া চাপিয়া স্বামীর দিকে ফিরিয়া,একটু দুষ্টুমির হাসি হাসিল, বলিল,—বলব কেন ? ' —থাক, না বল, ভাত দt ৪ । রাত কম হয়নি । আবার সকাল থেকেই খাটুনি আরম্ভ হবে। সুশীলা ভাবিয়াছিল স্বামী আসিয়া সে কি লিখিতেছে দেখিবার জন্য পীড়াপীড়ি আরম্ভ করিবে। প্রকৃতপক্ষে সে চিঠি কাহাকেও লিখিতেছিল না, স্বামীকে কথা বলাইবার এ তার একটা পুবানে কৌশল মাত্র। অনেক দিম সে স্বামীর মুখে দুটো ভাল কথা শুনে নাই, তাহার নারীহৃদয় ইহারই জন্য তুষিত ছিল এবং ইহারই জন্য সে ঘুমে ঢুলিতে ঢুলিতে ৪ এষ্ট সামান্য ফাদটি পাতিয়া বসিয় ছিল—কিন্তু কিশোরী ফঁাদে প) দেওয়া দূরে থাকুক, সে দিকে ঘেসিলও না দেখিয়া স্বশীল। বড় নিরুৎসাহ হইয়া পড়িল । প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩০ { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড AMAAS AAASASAAAAAS AAAAAMM AMM AeM AMSAM AeM AM কাগজকলম তুলিয়া রাখিয়া সে স্বামীর ভাত বাড়িয়া দিল। এক প্রকার চুপচাপ অবস্থায় আহারাদি শেষ করিয়া কিশোরী গিয়া শয্যা অপ্রয় করিবার পর, সে নিজে অাহারাদি করিয়া শুইতে গিয়া দেখিল কিশোরী ঘুমায় নাই, গরমে এপাশ ওপাশ করিতেছে। আশায় বুক বাধিয়া এবার সে তাহার দ্বিতীয় ফাদটি পাতিল । —একটা গল্প বলে। না ? অনেকদিন তো বলবে লক্ষ্মীটি— বিবাহের পর প্রথম প্রথম কিশোরী তাহার কিশোরী স্ত্রীর নিকট বটতলার আরব্য উপন্যাস হইতে নানা গল্প বলিত। রাত্রিব পর রাত্রি তখন এ-সব গল্প শুনিয়া স্বশীল৷ মুগ্ধ হইয়া যাইত,—জনহীন দেশের মধ্যে যেখানে শুধু জীন পরীদের জগৎ, খেজুর-বনের মধ্যে ঠাণ্ডাজলের ফোয়ারা হইতে মণিমুক্ত উংক্ষিপ্ত হইতেছে, পথহীন দুরন্ত মরুপ্রান্তরে মৃত্যু যেখানে শিকার সন্ধানে ওৎ পাতিয়া বসিয়া আছে, সমুদ্রের ঝড়, তরুণ শাহজাদাগণের দৈত্যসস্কুল অরণ্যের মাঝখান দিয়া নিভীক শিকারযাত্রা—এ-সব শুনিতে শুনিতে তাহার গা শিহরিয়া উঠিত, ঘুম ভাঙিলে ঘরের মধ্যের অৰ্দ্ধ-রাত্রির অন্ধকার বিকটাকার জীনদেহের ভিড়ে ভরিয়া গিয়াছে মনে করিয়া ভয়ে সে স্বামীকে জড়াইয়া ধরিত। প্রাচীন যুগের তরুণ শাহজাদাদের কল্পনা করিতে গিয়া অজ্ঞাতসারে সে নিজের স্বামীকেই যাত্রার দলের রাজার পোষাক পরাইয়া দূরদেশে বিপদের মুখে পাঠাইত, শাহজাদাদিগের দুঃখে তাহার নিজের স্বামীর উপর সহানুভূতিতেই তাহার চোখে জল আসিত। এইরকমে গল্প শুনিতে শুনিতে অদৃষ্ঠ নায়ক-নায়িকাদের গুণ দৃশ্যমান গল্পকারের উপরে প্রয়োগ করিয়া সে স্বামীকে প্রথম ভালবাসে । সে আজ ৫৬ বৎসরের কথা, কিন্তু সুশীলার এখনও সে ঘোর কাটে নাই । কিশোরী স্ত্রীর কথা উড়াইয়া দিল,—হঁ্যাঃ, এখন গল্প বলব ! সমস্ত দিন থেটেখুটে এলাম, এখন রাতদুপুরের সময় বক্‌বক্‌ করি আর কি ! তোমাদের কি ? বাড়ী বসে সব পোষায় । অন্য মেয়ে হইলে চুপু করিয়। যাইত। স্বশীলার মেজাজ 鬱 AAAAAASAAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAAM AMSMAMAM AeeeS বলনি, o