পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ছিল একগুঁয়ে । সে আবার বলিল,—ত হোক, একটা বলো, রাত এখন তো বেশী নয়— .—না বেশী নয়- তোমার তে রাত কমবেশীর জ্ঞান কত ! নাও, চুপচাপ শুয়ে পড় এখন— কুশীল। এইবার জিদ ধরিল,—বলে না একটা, একটা ,ছোট দেখেই না হয় বলে—এত করে বলছি একটা কথ। রাখতে পার না— কিশোরী বিরক্ত হইয়া বলিল,—আঃ ! এ তে বড় জালা হ’ল ! রাতেও একটু ঘুমুবার যো নেই—সমস্তদিন তো গলাবাজিতে বাড়ী সরগরম রাখবে, রাত্তিরটাও একটু শান্তি নেই ? - এইটাই ছিল সুশীলাব ব্যথার স্থান। স্বামীর মুখে একথা শুনিয়া সে ক্ষেপিয়া গেল,—বেশ করি গলাবাজি করি, তাতে অস্থবিধে হয় আমাকে পাঠিয়ে দাও এখান থেকে—রাত দুপুর করলে কে ! নিজে আসবেন রাত দুপুরের সময় আডড দিয়ে—কে এত রাত পৰ্য্যন্ত ভাত নিয়ে বসে’ থাকে ? নিজের দেহ, পরের আর তো দেহ না ! থেটেখুটে এসে একেবাবে রাজা করেছেন আর কি ! নিজের খাটনিটাই কেবল— কিশোরী ঘুমাইবার চেষ্টা পাইতেছিল, স্ত্রীর উত্তরোত্তর চড়া স্বরে তাহার ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটিল—উঠিয়া বসিয়া প্রথমে সে স্ত্রীর পিঠে সজোরে ঘ-কতক পখিার বাট বসাইল, তাহার পর তাহার চুলের মুঠি ধরিয়া বিছানার উপর হইতে নামাইয়া ধাক্কা মারিয়া ঘরের বাহির করিয়া দিল, বলিল—বেরো—ঘর থেকে বেরো আপদ—দূর হ— রাত দুপুরেও একটু শাস্তি নেই—যা বেরো—যেখানে খুসি যা— ঘরে আলোর কাছে আসিয়া কিশোরী দেখিল স্ত্রী দুই হাতের নখ দিয়া আঁচড়াইয় তাহার হাতের আঙুলগুলিতে রক্তপাত করিয়া দিয়াছে । ইরাণী শাহজাদাগণের নজীর না থাকিলেও কিশোরী মধ্যে মধ্যে দুরন্ত স্ত্রীর প্রতি এরূপ ঔষধি প্রয়োগ করিত। শেষ রাত্রে একাদশীর জ্যোৎস্নায় চারিদিক্ যখন ফুলের পাপড়ীর মত শাদা, ভোর রাত্রের বাতাস নেবুফুলের গন্ধে আর পাপিয়াব গানে মাগ্লামাখি, স্বশীল। মৌরীফুল SAMAiJJAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMA AAM AM AMMMS MSMMMMMSMAMASASAMSMAJASJJJAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAAAS ১৭৩ S S S AAS ASAAAAS AAAA SS AASAASMAAA AAAA S AAAAAeSAeeSMSMAeSAAAA তখন ঘরের দোরের বাহিরে দালানে আঁচল পাতিয়া অকাতরে ঘুমাইতেছিল। সকাল হইলে যে যার কাজে মন দিল । মোক্ষদ৷ বলিলেন—“বেীমা, আজ চৌধুরীরা শিবতলায় পূজো দিতে যাবে, আমাদের যেতে বলেছে, সকাল-সকাল সেরে নাও।” এই চৌধুরীটি ছিলেন প্রকৃতপক্ষে রামতনু মুখুয্যের প্রতিপালক, ইহারাই গ্রামেব জমিদার এবং ইহাদেরই জমি-জমা-সংক্রান্ত মোকদ্দমার তদ্বির ও সাহায্য করিয়া রামতনু অন্নসংস্থান করিতেন । বেলা দশটার মধ্যে আহীরাদি শেষ করিয়া ভাল কাপড় পরিয়া সকলে নৌকায় উঠিল—দুই ঘণ্টার পথ। চৌধুরী-বাড়ীতে কলিকাতা হইতে একটি বউ আসিয়াছিল। তাহার স্বামী বড়লোকের ছেলে, এম্-এ পাস করিয়া বছর দুই হইল ডেপুটিগিরি চাকরী পাইয়াছে । বউটি কলিকাতার মেয়ে, চৌধুরীদের সহিত তাহার স্বামীর কিরূপ সম্পর্ক আছে, এজন্য চৌধুরী-গৃহিণী রাসপূর্ণিমার সময় তাহাকে আনাইয়াছিলেন। ইতিপূৰ্ব্বে সে কখনো পাড়াগায়ে আসে নাই । নৌকায় খানিকট বসিয়া থাকিবার পর বউটি দেগিল নীলাম্বরী-কাপড়-পরণে তাহারই সমবয়সী আরএকটি বউ নৌকায় উঠিল । নৌকা ছাড়িয়া দিল, নৌকায় সমবয়সী সঙ্গিনী পাইয়। কলিকাতার বউটি খুব সন্তুষ্ট হইলেও প্রথমে আলাপ করিতে তাহার বাধ-বাধ ঠেকিতে লাগিল । সঙ্গিনীর কাপড়চোপড় পরিবার অগোছাল ধরণ দেখিয়া বউটি বুঝিয়াছিল তাহার সঙ্গিনী নিতান্ত পাড়াগায়ের মেয়ে, অবস্থাও খুব ভাল নয়। নৌকার ওধারে চৌধুরীগৃহিণী মোক্ষদার সহিত সাবিত্রীব্রত প্রতিষ্ঠার কি আয়োজন করিয়াছেন, তাহারই বিস্তৃত বড়মাচুমী ফৰ্দ আবৃত্তি করিতেছিলেন । নৌকায় কোন পরিচিত মেয়েও নাই, কাজেই বউটি অনেকক্ষণ চুপু করিয়া বসিয়া রহিল। বউটি লেখা-পড়া জানিত এবং দেশবিদেশের খবরাখবরও কিছু-কিছু রাখিত—চৌধুরীগৃহিণীর একঘেয়ে বড়মান্বষী চালের কথাবাৰ্ত্তায় সে বড় বিরক্ত হইয়া উঠিল । খানিকক্ষণ বসিয়া থকিবার পর,