পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্য। ] ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A S A S A ন। বিদ্যুৎই বটে—যাহা অালে দিতে পারে—যাহা নিমেষে ধ্বংস করিতে পারে। 語 Vう কিছুক্ষণ পরেই খুব জোরে জর আসিয়াছিল । তিন কিম্বা চার দিন জরের ঘোরেই কাটিয়া গিয়াছিল, কিছু মনে নাই । যখন চোখ মেলিয়া ভাল করিয়া চাহিবার এবং বুঝিবার ক্ষমতা হইল - তপন প্রাতঃকাল । সে একখানি বাসন্তী রঙের শাড়ী পরিয়া টেবিলের নিকট কি করিতেছিল ; আমার পাশ-ফেরার শব্দে ফিরিয়| দেখিল আমি চাহিয়া আছি । আমার ঠিক মনে পড়ে আমি তাহার সেই অদ্ভুত দুই চোখে একটা আনন্দের আভা থেলিয়া যাইতে দেখিয়ছিলাম ! বীরেন আসিম ঘবে ঢুকিল এবং আমাকে জাগরিত দেখিয় জিজ্ঞাসা করিল, “অশান্ত, কেমন আছ ?” আমি ক্ষীণ স্বরে বলিলাম, “ভাল আছি ।" বীবেন মুপ ফিরাইয। বলিল, “চপল, অশান্তকে কিছু খেতে দে—” চপল ! চপল ! যে তাইপ এই নাম রাখিযাছিল, সে কি নথদপণে তাহার সমস্ত ভবিষ্যৎ জীবনট। দেখিয় লইয়াছিল ? চপল এক বাটি গরম দুধ লইয়া আসিল এবং বাবেন ‘ফিডিং কাপু করিয়া তাহ। আস্তে আস্তে আমাকে পান করাইয় দিল । দুই চারি দিনের মধ্যে আমি অনেকট। সারিয়া উঠিলাম—তাহ যে-ডাক্তার দেখিতেছিল তাঙ্গর ঔষধের গুণে, ন চপলার সেবার গুণে বলিতে পারি ন! । সেদিন ভাত পথ্য করিয়াছি । চপল আমাকে ন! ঘুমাইতে দিবার কত-রকম ফন্দীই না বাহির করিতেছে— "আচ্ছা আপনার নাম ‘অশান্ত’ কে দিয়েছিল ? আপনার মা ?-ভারি দুষ্ট, ছিলেন বুঝি ? তা বেশ বোঝা যায়-ত না হ’লে ফুটবল খেলতে এসে এমন মারামারি ক’রে বসেন ?” আমি হাসিয়া বলিলাম, “না না, ম| আমার নাম ‘অশান্ত’ দেননি, বরং ‘শাস্ত'ই দিয়েছিলেন ; কিন্তু তোমার ঐ দাদাটিই আমাকে ‘অশান্ত’ ক’রে তুলেছে।” নির্বাসিতের আত্মকথা ・トヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ・ヘへヘヘーへつ - S SAAAS A S A S A S A S A S A S ১৮৯ চপল বলিল, “তা হোকৃগে— ঐ ‘অশান্তই বেশ, অfমীর অশাস্ত লোককে ভারি ভাল লাগে ।” আমার মুপ চোখ বোধ হয় মুহুর্তের জন্য রাঙা হইয়। উঠিয়ছিল । কিন্তু চপল সে দিকে লক্ষ্য না করিয়া বলিয়া যাইতে লাগিল, “চিরকাল শান্ত, পা গুনে গুনে চলে, চারিদিক্‌ না ভেবে কাজ করে না—এইরকম লোক দেখলে আমার ঘেন্ন হয়। যে জিনিষটা মাস্থ্যকে মাহুষ ক'রে তোলে, তাদের মধ্যে তা নেই, তারা গাছপাথরের সামিল ।” - চপলার চোখ দুট। যেন চক্চক্ করিয়া উঠিল । ১৫১৬ বৎসরের বালিকার মুখে এরকম কথ। কখন শুনি নাই—কেমন যেন অভিভূত হইয়া পড়িয়াছিলাম। চপলা বোধ হয় আমার এই অভিভূত ভাবটা লক্ষ্য করিয়াছিল, তাই ও-প্রসঙ্গটা চাপা দিবার জন্য বলিল, “আচ্ছা, আপনার বাড়ীতে কে কে আছেন ?” আমি বলিলাম, “কেউ নেই—ম বাবা বহুদিন মাবা গেছেন—এক দাদা আছেন, তিনি বৰ্ম্মায় থাকেন-—* চপল। কতকটা নিজের মনেই বলিয়া উঠিল, “ঠিক আমাদেবই মত।” এমন সময বীরেন একখান চিঠি-হাতে ধরে ঢুকিয়া বলিল, “চপল, আমি বোধ হয় দিন কতকের জন্য বাইবে ধাচ্ছি—” চপলা কোন কথা বলিল না । আমি অনুসন্ধিৎসু হইয় জিজ্ঞাস করিলাম, “কোথায় ५झ ?" বীরেন বলিল, “কিছু দূরে।” আমি জেদ করিয়া বলিলাম, “তবুও—” বীরেন শাস্তস্বরে বলিল, “সে জায়গা তুমি জান নানাম শুনলেও বুঝতে পারবে না-আসামের কাছাকাছি।” - তাহার গম্ভীর মুখ লক্ষ্য করিয়া আমি আর কারণ জিজ্ঞাসা করিতে সাহস করিলাম না, শুধু জিজ্ঞাসা করিলাম, “কবে ফিরবে ?” পুৰ্ব্ববং শান্তভাবে সে বলিল, “কিছু ঠিক নেই।