পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] নিৰ্ব্বাসিতের আত্মকথা సి) JJJAJAJMMJSJAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA JJJJAMMAJJJJJSS S SSAAAASJJJMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAJJJAJJAASJASAJAAA AAAAA ».مسیحیی میرسی ۳۰ میسه - ممسیه ۶۰میت- ۰ است ছিল । আমি কাগজটায় একবার চোখ বুলাইয়া লইয়া চোখ তুলিয়া চাহিয়া দেখিলাম চপলা একটা চেয়ারের উপর চুপ করিয়া বসিয়া আছে। চোখ তুলিতেই সে বলিল, “এরাই মানুষ, কি বলুন !” আমি আর কি বলিব, চুপ করিয়া রহিলাম। চপল কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া আবার বলিল, “আচ্ছ, আপনি কি মনে করেন এর ভুল করছে ?” আমি যে কি উত্তর দিব ভাবিয়া পাইলাম না। কারণ এসব কথা আমি কখন ভাবি নাই । সেইজন্য কোনরকমে বলিলাম,—“হঁ্য, তা ভুলই বা কেমন ক’রে বলি—” o চপল আমার কথায় মনোযোগ না দিয়া নিজেই বলিয়া চলিল, “হয়ত ভুল করছে—হয়ত করছে না, কিন্তু তার কাজ করছে, তারা চুপ ক'রে বসে নেই । যদি ভুলই হয় তা হ’লেও তারা ভুল কাজ ক’রে ঠিক কাজের রাস্ত তৈরী করছে।” আমি বিস্মিত হইয়। শুনিতেছিলাম আর ভাবিতেছিলাম এই ১৫১৬ বৎসরের কিশোরী এ-কী এ সব বলিতেছে ! আমার বিস্মিত ভাব দেখিয়া চপল অল্প একটু হাসিয়া বলিল, “আপনার নাম ‘অশাস্ত’ হ’লেও আপনার ভিতরট ভারি ‘শাস্ত', না ? আমি একটু লজ্জিত হইয়া বলিলাম, “কেন বল ত ?” চপলার ওষ্ঠে তখনও একটু হাসির রেখ। প্রভাতের প্রথম কিরণের মত লাগিয়াছিল ; সে বলিল, “এইরকমই আমার মনে হয় ।” তাহার ওষ্ঠের আবেশমু মুছ হাসি, তাহার মুখের অনুপম সৌন্দর্য্য, তাহার অদ্ভুত চক্ষু আমার মনে তখন বিপ্লব বাধাইয়। তুলিয়াছিল আমি মুগ্ধ হইয়া দেখিতেছিলাম, হঠাৎ আমার মুখ দিয়া আমার মনের কথা অস্ফুট স্বরে বাহির হইয়া আসিল, ‘চপলা, তুমি বড় স্বন্দর!” একটা খুব মৃদু কম্পন তাহার সমস্ত দেহটা আলোড়িত করিয়া গেল, একটু গোলাপী রঙের আভা গণ্ডে না ফুটিতে ফুটিতেই মিলাইয়া গেল, এক মুহূৰ্ত্ত পরেই খুবই সাধারণ কথার মত সে বলিল, “লোকে ভাই বলে বটে।” তার পর চেয়ারটা ছাড়িয়া উঠিয়া অন্ত ঘরে চলিয়া গেল । সে চলিয়া যাইব৷ মাত্র আমার আবেশ ভাঙিয়া মনট সজাগ হইয়া উঠিল এবং আমার সমস্ত মুখটা প্রথমে লজ্জায় লাল তাহার পর নিজের প্রতি দারুণ ঘৃণায় কালো হইয়া গেল। মনে মনে, বলিলাম—“আর নয়, আজই শেষ । আজই আমাকে এ বাড়ী ছাড়িতে হইবে—” আমি ঠিক জানি তাম চপলা ঘৃণায় আমার সম্মুখে আজ আর আসিবে না - অতএব আমাকে নিজে গিয়াই আমার বিদায়ের সংবাদটা দিতে হইবে । কিন্তু যাহা ভাবিয়াছিলাম তাহা হইল না। প্রায় আধ ঘণ্ট। পরে চপল আমার ঘরে আসিয়া পূর্বের সেই চেয়ারটা অধিকার করিয়া বসিল এবং আমার মুখের প্রতি অসঙ্কোচে পূর্ণ দৃষ্টিপাত করিয়া বলিল, “কি ভাব চেন ।” আমি যথাসম্ভব স্বাভাবিকভাবে বলিলাম, “তেমন কিছু নয় ।” চপল খিলখিল করিয়া হাসিয়া উঠিল, সে হাসি নয়, যেন একটা প্রাণ-মাতান গান, যেন রূপার পেয়ালায় সোনার কাঠির আঘাতের শব্দ । সে হাসিতে হাসিতে বলিল, “তেমন কিছু নয় বলছেন, কিন্তু আমি জানি বেশ একটু ‘তেমন কিছু’। কি ভাবচেন বলব ?” আমি শঙ্কিতস্বরে বলিলাম, “কি ?” সে আর-একবার হাসির লহর তুলিয়া বলিল, “ভাব চেন ‘ভারি অন্যায় হ’য়ে গেছে, আজই চলে যাব’ কেমন, ন ?সেটি কিন্তু হবে না। চলে যাওয়া, সে দাদা আসার পর--- তাহার পর একটু গম্ভীর স্বরে বলিল, “আর অন্যায়ই বা কি হয়েছে বলুন ? স্বন্দরকে স্বন্দর বলতে পাবেন না? ফুলের বেলা পাখীর বেলা বুঝি কিছু দোষ হয় না, যত দোষ মানুষের বেলা ।” আমার মনের অবস্থাটা বর্ণনা করিতে চেষ্টা না করাই ভাল । -> একটুখানি চুপ করিয়া থাকিয়া সে আবার বলিল, “দেখুন, এই যে রাস্তাটা আমাদের বাড়ীর সামনে দিয়ে