পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৮ | SS S SSAAAAS AAAAAS A SA AAAAAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS م۔ ۔ ۔بر বৃক্ষসমূহ—শুন্তত কানায় কানায় ভরা। খুনখারাবির রক্তরঙে পূব-আকাশ মরীয় হইয়া উঠিয়াছে। লাল ভগডগে স্বৰ্য্য কালী-মাতার হস্তস্থিত খঙ্গে অঙ্কিত লিখুরচক্রের মত ভয়ঙ্কর—দেখিলে ভয় হয়। ক্রমে স্বৰ্য্য উপরে উঠিল—চারিদিকৃ হইতে অগ্নিকণাবাহী বাতাস বহিল— মাটির অন্তস্তল হইতে অতৃপ্তির দীর্ঘশ্বাস উঠিয়া সেই বিরাট, মাঠের বুক বিষাক্ত করিয়া দিল । মাঝে মাঝে দুই একটা পত্রপুপহীন গাছ—মূৰ্ত্তিমান অলক্ষ্মীর মত দাড়াইয়। গ্রীষ্মে শীতে বসন্তে বর্ষায় একভাবে দাড়াইয়া আছে—কোথায়ও এতটুকু পরিবর্তন হয় নাই। শিকড়গুলি সব বাহির হইয়া রহিয়াছে—যেন বুভুক্ষার প্রবল তাড়নায় সহস্র শীর্ণ বাহু বাড়াইয়াছে। মার্চ, করিতে করিতে তাহারা প্রায় এক মাইল পথ আসিল । হুকুম হইল—হলট-সব এক মুহূৰ্ত্তে নিশ্চল । অদূরে নবনিৰ্ম্মিত ফাসিকাষ্ঠ দেখিয়া কাহারও আর কিছু বুঝিতে বাকি রহিল না—কি নিষ্ঠুর শাস্তি, সৈনিকের প্রাণ যাইবে ফাসিকাষ্ঠে—আর এই নিষ্ঠুর হত্যাভিনয়ের জন্য এ বিরাট আয়োজনের কি কিছু প্রয়োজন ছিল—সহস্র ভাইয়ের সম্মুখে একটি ভাইকে হত্যা করিবার কি প্রয়োজন ? - ২০ জন করিয়া সেকুশন ভাগ হইল—প্রত্যেকের লম্মুখে একজন করিয়া স্থসজ্জিত গুর্খা সৈন্য দাড়াইল— হাতে তাহাদের টোটাভরা বন্দুক-বন্দুকের আগে ঝকুঝক করিতেছে নররক্তপিপাস্ক সঙ্গীন। অসীম উপস্থিত হইল—পরনে কয়েদীর বেশ-হাতে হাতকড়ি-চারিদিকে গুর্খা সৈন্য পরিবেষ্টিত, সকলে এক নিমিষে তাহার মুখের দিকে চাহিল—কি দিব্য জ্যোতিঃতে পরিপূর্ণ সে মুখখানি । ফাসি-কাষ্ঠের নিম্নে সে নীত হইল। সাহেব আসিয়া একটা কাগজ হইতে তাহার দণ্ডাজ্ঞা পাঠ করিলেন— তুমি উপরস্থ কৰ্ম্মচারীকে হত্যা করিবার অপরাধে অভিযুক্ত হইয়াছে—তোমার অপরাধ অতি গুরুতর— অতএব তোমাকে এ শাস্তি দেওয়া গেল যে মৃত্যু না হওয়া পৰ্য্যন্ত তোমাকে ফাঁসি-কাষ্ঠে ঝুলান হইবে-ইহাই কোর্ট-মার্শাল বিচার। সকলে স্তব্ধ-নিৰ্ব্বাকু ! প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩০ SSAS A SAS SSAS SSMMAAASSSAAASSSAAAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAAMAAA SAAA AAASA SAASAASAASAASAASAASAASAA AAAS [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড سری سیمای مساحمصححصحصحصی অসীমের মনে শেষবারের মত বাংলার কথা মনে হইল —মনে হইল সেই সোনার ধান-ক্ষেত—সেই সবুজ বেতগ বন, মনে হইল সেই স্বনীল আকাশ–মিঠে ধানের গন্ধে ভরা মুক্ত বাতাস । ছোট কাল হইতে সে দীঘির কালে৷ জলে সাৎরাইয়া মাঠে ঘাটে ঘুরিয়া ঘুঘুর ডাক শুনিয়া মানুষ হইয়াছে । সহরে আসিয়া তাহার ভাল লাগে নাই—সহরে বড় কৃত্রিমতা । আবার মনে পড়িল তাহার মার কথা—সেই বিধবা মার একমাত্র সন্তান সে– আপনার বলিতে র্তাহার আর কেহ নাই—কোলে পিঠে করিয়া তাহাকে মানুষ করিয়াছেন, তার সে ম আজও হয়ত র্তার ছেলের পত্রের আশায় বসিয়া আছেন, কত আশা করিয়া বাচিয়া আছেন আবার পুত্রের মুখ দেখিবেন, এই সৰ্ব্বনেশে যুদ্ধ থামিলে আবার ‘মা’ ডাক শুনিবেন। তিনি কি স্বপ্নেও জানেন যে র্তfহার প্রিয়তম পুত্র অন্যের অপরাধে আজ স্থদুর তুর্কীস্থানের লতাগুল্মহীন প্রাস্তরে ফাসিকাষ্ঠে প্রাণ দিতেছে—কি ভীষণ ! তাহার চোখে জল আসিল, ঐ তো সম্মুখে তাহার চির পরিচিত মাঠ যেখানে সে মাসাধিক কাল যুদ্ধ শিক্ষা করিয়াছে—এই তো তাহার সহস্র ভাই যাহাদের সাথে মার্চ করিয়াছে,— এ সব ছাড়িয়া সে কোথায় চলিয়াছে ! ফাসি-কাষ্ঠে অসীম উঠিল—তাহার গাল বাহিয়া দুই ফোটা অশ্রুবিন্দু গড়াইয়া পড়িল । হঠাৎ তাহার পাণ্ডর মুখ জ্যোতিতে উজ্জল হইয়া উঠিল। সে তো আজ মরিতে যাইতেছে না—সে অমর হইতে যাইতেছে— মায়ের জন্য সে প্রাণ দিতেছে—ভারতমাতী—যে তাহার জ্ঞান হওয়া পৰ্য্যস্ত শয়ন স্বপন-অশন বসন অধিকার করিয়া রহিয়াছে—সেই ভারতমাতার জন্য সে আজ মরিতেছে, অসীম চোখ বুজিল। সম্মুখে তাহার মূৰ্ত্তিমতী হইয়া দাড়াইল—শস্যখামল নদীগিরিমণ্ডিত অপূৰ্ব্বসৌন্দৰ্য্যশোভান্বিত চিরপূজিত ভারতবর্ষ—যার বুকে সে ভূমিষ্ঠ হইয়াছে র্যার অন্নে—যার জলে—ধার ফলে সে মানুষ হইয়াছে। করজোড়ে সে উচ্চৈঃশ্বরে কহিল—ম, আমি তোমার ছেলে-পাপ মানি না পুণ্য মানি না, ধৰ্ম্ম মানি না ঈশ্বর মানি না, শুধু জানি তুমি আছ—জামি তুমিই একমাত্র পূজাৰ্ছ, তুমি পরপদদলিত