পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سe bه میهw-سمیه বুঝাইত। তা’ ছাড়। শতপথ ব্রাহ্মণে অগ্নির পৌরাণিক আখ্যায়িকীয় অষ্টমূৰ্ত্তির নাম—রুদ্র, সৰ্ব্ব, পশুপতি, উগ্র, অশনি, ভব, মহাদেব, ঈশান পাওয়া যায় । , শিবের সহিত দক্ষ-কন্ত। সতীর বিবাহ হইয়াছিল, সেই আখ্যায়িকার মুলে এই বৈদিক ব্যাপার। অগ্নির সহিত বেদি অচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ, এইটুকু বুঝাইবার জন্ত বোধ হয় পুরাণে শিব দুর্গার বিবাহ-ব্যাপার । প্রাচীন ভারতে এমন একদিন অtসিয়াছিল, যখন ঋষির অগ্নি প্রজ্বলিত না বীথিয় তাহ নিৰ্বাইয়াই রাথিতেন । সে সময়ে তাহার অগ্নির আরাধনার জন্য কোনই অনুষ্ঠান করিতেন না। তবে উহার সযত্নে বেদি রক্ষা করিতেন। ঋগ্বেদ ( ১৷১৩৬৩ ) উপদেশ করিতেছেন – “জ্যোতিষ্মভীমদিতিং ধারয়ৎ ক্ষিতিং সৰ্বতীম,”— “যজমান জ্যোতিষ্মতী সম্পূর্ণলক্ষণ স্বর্গপ্রদায়িনী বেদি প্রস্তুত করিয়াছিলেন।” ঋষির এই বেদি বা কুণ্ডেব সম্মুখে বসিয। গভীর ধ্যাননিমগ্ন থাকিতেন। তারপর আবার যথন দেশের গতি ফিরিয়া গেল, তখন র্তাহীদের অগ্নির নিকট হবিঃ প্রভৃতি দানের দরকার হইল । ঋষির কিন্তু পুনরায় অগ্নি প্রজ্বলিত না করিয়া কুণ্ডের উপব •••অর্থাৎ "দক্ষকন্যা’র উপর পীতবর্ণের মূৰ্ত্তি স্থাপন করিতেন । এই মূৰ্ত্তিকে তাহারা অগ্নি বলিয়া বুঝিতেন এবং অগ্নির নামানুসারে ইহাকে “হব্যবtহনী” বলিতেন। ঋগ্বেদেও তাই (১•১৮r s ) ঈরিত হইয়াছে—“যারুচে জাতবেদসেী দেবত্রী হব্যবtহনীঃ । তাভির্ণে যজ্ঞমিম্বচু।” অগ্নির এই নাম হইবার কারণ, তিনি দেবতার নিকট হব্য বহন করিয়া লইয়া যাইতে পারিতেন । এই মূৰ্ত্তিই আমাদের দুর্গ। কুণ্ডের দশদিক্ দুর্গার দশ হাত । কুণ্ডে ছোট ছোট কয়েকটি দেবক্তার সংস্থানের ব্যবস্থা অtছে । ইহঁদের একজন যোদ্ধ৷ কুণ্ডকে রক্ষা করিয়া থাকেন ; একজন যজ্ঞের স্বচনা করিয়া দিয়৷ থাকেন, জাহার চারি হত। একটি দেবী যজজ্ঞানদাত্রী, আর একজন যজ্ঞের জস্ত অৰ্থাগমের সাহায্য করিয়া থাকেন । দুর্গার সঙ্গে অারও কয়েকটি ছোট দেবতা থাকায় নিঃসংশয়ে প্রমাণিত হইতেছে যে, ইহা বৈদিক কুণ্ডের পূর্ণ স্বরূপ । মূৰ্ত্তিমান বেদজ্ঞান হইতেছেন সরস্বতী। যজ্ঞানুষ্ঠানেৱ জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, তাহাই লক্ষ্মী। যোদ্ধা কাৰ্ত্তিকেয় যজ্ঞ রক্ষা করিতেন—আর গণেশ ধজ্ঞের সূচনা করিয়া দেন, তাই তার চার হাত। বৈদিক যজ্ঞের হোত, ঋত্বিকৃ, পুরোহিত ও যজমান, এই চরি হাত। দুর্গার পক্ষেও এগুলি ঠিক খাটে । এ ছাড়া আমরা পাই— বি পাজস, পুখুনী শোশুচানো বাধস্ব দ্বিলে৷ অমীবtঃ । ৩।১৫।১ । “তুমি বিস্তীর্ণ তেজোম্বারা অত্যন্ত দীপ্তিমান, তুমি শত্রুদিগকে এবং রোগরহিত রাক্ষসদিগকে বিনাশ কর।” অমর এইরূপে দেখিতে পাইতেছি যে, বৈদিক মস্ত্রে অগ্নিদেবতার নিকট অস্বরগণকে বধ করা হইতেছে। দুর্গাই যে বৈদিক অগ্নি, তাহীর আর-একটি প্রমাণ এই— দুর্গ দেবীর অর্চনাকালে আমরা সামবেদের এই মন্ত্র উচ্চারণ করি,— “ও অগ্ন অtয়াহি বীতয়ে গুণনে হবাদাতক্ষে নি হোতা সৎসি বর্হিসি ।” বৈদিক যুগের শেষভাগে দেখিতে পাওয়া যায়, দক্ষ-কষ্ঠা ক্রমশঃ “উমাতে পরিণত হইলেন, "উমা’ ‘অম্বিকার এবং ‘অম্বিক" ‘ছুর্গা’য় পরিণত হইলেন। এ সময় আর তিনি যজ্ঞবেদি রহিলেন রক্ষসে{ প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩০ SAMAMAAMAASJAMAJJA AM MMAMJAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAMAAASAASAASAASAAMMAMSAAAASA SAASAASSAAAAAASAAAAMJ SAS SSAS SSAS SSAS SSAMMAJJAMSMMAMMMJSAASAAAS { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড না। যজ্ঞবেদি ও অগ্নির সম্মিলিত শক্তি স্ত্রী-দেবতারূপে পূজিত হইতে লাগিলেন । শুক্ল যজুৰ্বেদ (৩৫৭ ) [ বাজসনেয়ী সংহিত। ] বলিতেছেন-হে রুদ্র, এই তোমার হবিৰ্ভাগ তুমি তোমার ভগিনী অম্বিকার সহিত আস্বাদন কর—‘এষ তে রদ্রভাগঃ স্বস্র অস্বিকীয়া ত্বং জুযস্ব স্বাহা । তৈত্তিরীয়-অরণ্যকে আমরা দুর্গ মহাদেব কাৰ্ত্তিক গণেশ নন্দিকে একসঙ্গে পাইয়াছি। এই সময় ক্লঞ্জ ও মহাদেব অভিন্ন হইয়াছেন। উমা অম্বিকী ও দুর্গ এক হইয়াছেন। মহাদেব রুদ্র তখন উমাপতি, অম্বিকাপতি। তখন উমা বা অস্বিকী মহদেবের ভগিনী নন। আমরা তৈত্তিরীয়-আরণ্যকের উক্তিগুলি নিম্নে উদ্ধত করিলাম,— ১ । পুরুষপ্ত বিষ্ম সহস্ৰাক্ষস্ত ধীমহি । তল্পে রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ। তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি । তল্লেী রুদ্র: প্রচোদয়াৎ। তৎপুরুষায় বিদ্মহে বক্ৰতুণ্ডায় ধীমহি । তন্নে দস্তি: প্রচোদয়াৎ। তৎপুরুষায় বিদ্মহে বক্ৰতুণ্ডায় ধীমহি । অনুবাক । ৫ ] তন্নে৷ নন্দিঃ [১০ম প্রপাঠক । ১ম প্রচেদয়াৎ। তৎপুরুষায় মহাসেনায় ধীমহি । তস্নে! যন্মুখঃ প্রচোদয়াৎ। । ১০১৬ ] ·ණ් ২ । কাত্যায়নায় বিদ্মহে কন্যকুমারী ধীমহি । তম্নে দুর্গিঃ প্রচোদয়tৎ । [ ১০। ॥৭ ] নবায়ণোপনিষৎ ইহার প্রতিধ্বনি করিয়াছে —“কাত্যায়নীয়ৈঃ বিদ্মহে, কন্যাকুমারীং ধীমহি, উল্লে। দুর্গ প্রচোদয়t২ (” সায়ণ ইহাব ভায্যে বলিয়াছেন, বেদে লিঙ্গব্যত্যয় হইয় থাকে। তই ‘দুর্গা' বুঝাইতে দুর্গির প্রয়োগ হইয়াছে। দুর্গিঃ দুৰ্গলিঙ্গ দিব্যত্যযঃ সৰ্ববত্র ছান্দসে দ্রষ্টব্যঃ । ] ৩। নমো হিমণ্যবাহবে হিরণ্যবর্ণায় হিরণ্যরূপায় হিরণ্যপতয়েeস্বিকাপতয় উমীপতয়ে নমো নমঃ । ১ •৷১৮ । বৃহদেবতা বৈদিক দেবতার ব্যাখ্যtখ্রস্থ । ইহাতে (২৭৮,৭৯) আমরা দেখিতে পাই, অদিতি বাকু সরস্বতী এবং দুর্গ অভিন্ন। আমরা যে দুর্গার পুজা করিয়া থাকি, তাহার বাহন সিংহ । দেবী বাক্ নিজেকে সিংহে পরিণত করেন এবং দেবতার বিশেষ সাধ্যসাধনায় তাহদের নিকট গমন করেন। এই বাক্ ও সিংহ যে অভিন্ন, শাস্ত্রে (Shakti and ukti by Sir John Woodroffe pp. 456-457.) তাহার প্রমাণ আছে । বাক্ এবং দুর্গ যে অভিন্ন, বৃহদেবতা তাহার প্রমাণ । আমরা যতটুকু পাইলাম, তাহা হইতে দুর্গার সহিত সিংহের সংশ্রবে একটা কারণ স্থির করা যাইতে পারে । ঋখিধানব্ৰাহ্মণে ( ৪১৯) রাত্রিযুক্ত বাচনের নির্দেশ আছে । পুজাকালে স্থালিপাক যজ্ঞরাত্রির পূজা করিতে হয়। দেবী বাক্ ও যজ্ঞরাত্রি মুলতঃ এক হইলেও রূপতঃ বিভিন্ন। তৈত্তিরীয়ব্রাহ্মণে (২।৪৬১- ) উল্লেখ আছে যে, ইহার কখন কখন সম্পূর্ণ অভিন্ন। রাত্রিযুক্ত ইহঁকে কৃষ্ণবর্ণ বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। ঋগ্বেদের খিলসুক্তে (২৫ ) রাত্রিদেবীকে দুর্গ নামে অভিহিত করা হইয়াছে, আর এই সম্পূর্ণ মন্ত্রটি তৈত্তিরীয় আরণ্যকে ( ১•১ ) স্থান পাইয়াছে। এই আবণ্যকে তিনি হব্যবtহন বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছেন ; স্বতরাং দেখা যাইতেছে যে, দুর্গ হব্যবtহনী ও অগ্নি এই তিনের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই । দুর্গ ও অগ্নি, অভিন্ন বলিয়া দুর্গাকে জিহাশালিনী বলা হইয়াছে। এই জিহা সাতটি। তাহাজের নাম কালী, করালী, মনোজবা, স্বলোহিতা, স্বধূম্ৰবৰ্ণ, ক্ষুলিঙ্গিনী এবং শুচিস্মিতা। এই সপ্তজিহ্বা প্রকট করিয়া ষে দুর্গ বলিগ্রহণ করেন, গৃহ্যসংগ্ৰহ ( ১১৩।১৪ ) তাঁহা স্পষ্ট উল্লেখ করিয়াছেন। বৈদিক যুগে জনেৰগুলি দেবতার পূজা হইত। সেই দেবতাগুলি