পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ>8 কি না, মহর্ষির রচনায় তাহ প্রকাশ নাই। কিন্তু সাগর-বন্ধনে যে যন্ত্রের ব্যবহার হইয়াছিল, তাহার পেষ্ট উল্লেখ রামায়ণে আছে। যথা— হস্তিমাত্রান্‌ মহাকায়াঃ পাষাণাংশ্চ মহাবলাঃ । পৰ্ব্বতাংশ্চ সমুৎপাট্য যস্ত্রৈ পরিবহস্তি চ । ৫৬৬২২ হস্তীর স্থায় প্রকাও প্রকাণ্ড প্রস্তরখণ্ড এবং পৰ্ব্বত-সকল উৎপাটিত হইয়া যন্ত্র-সাহায্যে (সমুদ্রে ) নীত হইতে লাগিল । সেতু যে কেবল জলে পাথর ভাসাইয়া হয় নাই, পরস্তু তাহাতে মাপ-পরিমাপেরও প্রয়োজন হইয়াছিল, তাহী তিনি দেখাইতে ক্রটী করেন নাই। তাহার সংক্ষেপ বর্ণনাটি এইরূপ—প্রস্তরখণ্ডসকল প্রক্ষিপ্ত হইতে থাকিলে সমুদের জল উৎক্ষিপ্ত হইয়া আকাশের দিকে উত্থিত হইতে লাগিল এবং পুনরায় অধঃপতিত হইতে লাগিল। বহুসংখ্যক বানর স্বত্র ধরিয়া সেই সেতুর সম-বিষমদি পরীক্ষা করিতে লাগিল । এইরূপে বানর-শিল্পী নল ঘোরক কৰ্ম্মীদিগের সাহায্যে সেতুবন্ধন করিতে লাগিল । ( লঙ্ক ২২ সর্গ ) একস্থানে পাংশু যন্ত্রের সাহায্যে সেতু ও কুপ খননের উল্লেখ আছে। ( ծ|Վլ»- ) রামায়ণে অর্ণবযানের উল্লেখ আছে। অর্ণব-যানের উল্লেখ ঋগ্‌বেদেও আছে । কিন্তু তাহ যস্ত্রে চালিত হইত, কি বায়ুবেগে চালিত হইত, অথবা নাবিকগণের চেষ্টায় চালিত হইত, সে সম্বন্ধে কোন আভাসই রামায়ণে প্রাপ্ত হওয়া যায় না। ইন্দ্রজিৎ মেঘের অন্তরালে থাকিয়া যুদ্ধ করিতেন । রামায়ণে রাক্ষসী মায়া বলিয়া কথিত হইয়াছে । ( ১৭৬৮৫ ) ( সৌবভ, কাৰ্ত্তিক ) শ্ৰী কেদারনাথ মজুমদার ইহাকে রঙ্গ-প্রদর্শনী পদাবলী বঙ্গের রঙ্গের কথা কত আtর ক’ব । নিত্য হয় অভিনয় দৃষ্ঠ নব নব ৷ এলেন বিলাত-ফেত গায়ে কোতাকুতি । অধ গোরা অধ কাল বর্ণচোরা মূৰ্ত্তি ॥ প্রবাসী=অগ্রহায়ণ, ১৩৩০ @ [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড । কুদ য়ে দন্থর যেন শীর্ণলের নাতি । দৰ্পে হালে কেঁচে যেন সপের সজাতি ॥ পীয়রা তোলে পথিম শির্থীর দেখি শিথি । cठं|कब्र निम्न दtश कांक “cकक छां८कां निकि ?” নাসিক বধন করি মুষিক স্বন্দরী কি সরেস করিণী সেঞ্জেছে আহ৷ মরি! ড্যাল মিছরি ফেলি খুএ’ খুজে-পিপড়েগুলি ঝোলাগুড়ের সঙ্গে করে মরণ-কোলাকুলি ৷ এই সব দৃষ্ঠ দেখি বনি-গিয়া জড়, কলির চতুর্থপাদে করিলাম গড়। ( শান্তিনিকেতন-পত্রিকা, কীৰ্ত্তিক ) শ্ৰী দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর গান ছয় ঘনাইছে বনে বনে— গগনে গগনে ডাকে দেয় । কবে নব-বন-বরিষণে গোপনে গোপনে এলি কেয়া । পুরবে নীরব ইসরাতে একদা নিদ্রাহীন রাতে হাওয়াতে কি পথে দিলি থেয় । ( আষাঢ়ের খেয়ালের কোন থেয় ) যে মধু হৃদয়ে ছিল মাখ। কাটাতে কি ভয়ে দিলি ঢাকা । বুঝি এলি যার অভিসারে মনে মনে দেখা হল তীরে— অtড়ালে আড়ালে দেয়া-নেয় । { আপনায় লুকীয়ে দেয়া-নেয় ) ( শান্তিনিকেতন-পত্রিকা, কাৰ্ত্তিক শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাম নাম জিনিসটা মানুষের একটা অতি প্রিয় সম্পত্তি । সকল সম্পদ ত্যাগ করিলেও মানুষ নাম ত্যাগ করিতে পারে না । এই নামকে নানা অলঙ্কারে ভূষিত করিবার জন্য দেশ বিদেশে কত মাকুষ শক্তি সামর্থ্য ধন জন মান ব্যয় করিয়া আপনাকে কৃতাৰ্থ বোধ করে। মানুষ অতি বড় শপথ করিবার সময় বলে ‘একথা যদি সত্য না হয়, তবে আমার নাম অমুকচন্দ্র অমুকই নয়।” অপমান করিবার একটি চরম উপায় মামুষের নামে কুকুর পোষী । পুরুষের মধ্যে আপামর সাধারণ সকলেরই নিজ নামে আজীবন অধিকার থাকে। কিন্তু প্রায় কোনো দেশেই স্ত্রীলোকের নিজের সম্পূর্ণ নামে অধিকার বিবাহের পর থাকে না । ভারতবর্ষেই এমন অনেক সভ্য দেশ আছে যেখানে আজ পর্য্যস্ত বহু স্ত্রীলোকের কোনো নাম নাই। পাহাড়ীদের মধ্যে দেখা যায় সকল পরিবারের মেয়েদেরই এক ধরণের নাম । সকল বাড়ীর বড় মেয়েই জেঠি অর্থাৎ বড়কী, মেজ মেয়ে মাইলি, সেজ মেয়ে সাইর্লি, ছোট মেয়ে কাঞ্চি । আজকালকার অতি