পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ) । ۶یمی নমি 发》@ নব্য মেয়েদের অনেকের নিজস্ব একটা করিয়া নাম হইতে আরম্ভ করিয়াছে। ভারতবর্ষেরই কোনো দেশে বিবাহের পর মেয়েদের সমস্ত নামটাই বদলাইয়া যায়। বিবাহের পূৰ্ব্বে যিনি ছিলেন শ্ৰীমতী দুর্গাবতী বস্থ, তিনি যদি হরিনাথ মল্লিককে বিবাহ করিয়া শ্ৰীমতী লক্ষ্মীরাণী মল্লিক হইয়া যান, তাহ হইলে তাহাকে চেন দেবতার পক্ষেও কঠিন হয়। কিন্তু এমন প্রথাও ভারতে আছে। অবশ্য আজকাল কিছু কিছু বদল হইতেছে । আবার অনেক দেশ আছে যেখানে পুরুষের পারিবারিক নাম ব্যবহৃত হয় না। পিতার নাম হয়ত উদয়াচলম্, পুত্রের নাম অরুণাচলম্, কন্যার নাম পদ্মম্। এখানে যদি বিবাহের পর কন্যার নাম না বদল হয় ত একরকম চলে। কিন্তু ইংরেজ রাজত্বে বাস করিয়া ভদ্র লোক মাত্র মিষ্টার হইতে বাধ্য হন, স্বতরাং পিতা হন মিঃ উদয়াচলম, মাতা হন মিসেস উদয়াচলম্ পুত্রবধূ হন মিসেস অরুণাচলম, কন্যা কখনও মিস্ পদ্মম্ কখনও মিস উদয়াচলম্। এক্ষেত্রে পারিবারিক এক নাম থাকার স্ববিধাটা থাকে না, অথচ মেয়েদের পক্ষে নিজস্ব নামটা হারাইবার একটা সম্ভাবনা থাকে । বাংলাদেশে মেয়েদের এই নাম সমস্যাটা চিরকালই অপেক্ষাকৃত সহজ ছিল। এ দেশে বিবাহের পূৰ্ব্বে ও পরে মেয়েদের নাম একই থাকিবার কথা । ব্রাহ্মণ কন্যা বিবাহের পূৰ্ব্বে শ্ৰীমতী সুভদ্র। দেবী থাকিলে বিবাহের পরে ৪ তাহাই থাকেন। শূদ্র কন্যা হরিমতী দাসী হইলে শূদ্ৰ বধু হইয়াও তাঁহাই থাকেন। আমরা যদি ইংরেজের দেখাদেখি “মিসেসে'র সমাদর না করিতাম . তাহা হইলে আমাদের দেশে নারীর অধিকারের একটা বড় সমস্যা সহজেই সমাধান হইয়া যাইত। বাঙালী মেয়ের নামের গায়ে বিবাহিতার ছাপ মারিয়া সম্পত্তির সামিল করিয়া দেওয়ার নিয়মও এদেশে ছিল না । তাহার সকলেই শ্ৰীমতী ; মিস্ অথবা মিসেস নহে। আজকাল দুইটি কারণে এইরূপ নাম ব্যবহারেও একটু অসুবিধা ঘটিতেছে। দাস নামটা যদিও বেশ চলিয়া যাইতেছে তবু দাসী আখ্যাটায় হীনতার গন্ধ আছে বলিয়া মামুষে ইহা নিজে ব্যবহার করিতে চায় না এবং অপরকেও লিখিতে ভয় পায় । তাছাড়া অসবর্ণ বিবাহের ফলে ব্রাহ্মণ কন্যা শুদ্রবধূ এবং শূদ্ৰকস্তা ব্রাহ্মণবধু হইতেছেন । এ ক্ষেত্রেও জন্মাবধি সকলকেই দেবী না বলিলে নাম বদলাইয়া যাইবার সম্ভাবনাটা থাকিয়া যায়। ফলে সমস্ত বাঙালী মেয়ের একটি মাত্র ‘শেষনাম হইয়। দাড়ায় । ইহাতে স্ত্রী-স্বাধীনতার উন্নততর যুগে খ্যাতনামা মহিলাদের নামের গোলমাল হইতে পারে। এখনি হইতেছে । ইন্দিরা দেবী এক বৎসর পূৰ্ব্বেও সাহিত্য-ক্ষেত্রে দুইজন ছিলেন। তবে ইহাতে আমাদের বেশী ভীত হইবার কারণ নাই । আমাদের দেশে এক পরিবারের দুটি মামুষের এক নাম রাখিবার নিয়ম না থাকাতে প্রতি পরিবারে পিতৃকুল মাতৃকুলের নাম বাদ দিয়া নাম রাখে। ফলে বাঙালীর নামের সংখ্যাই বেশী। পাশ্চাত্য দেশে পিতা মাতা পিতামহ মাতামহ প্রভৃতির নাম রাখা একটা ফ্যাশান ও গৌরবের বস্তু। to Elder Pitt, Younger Pitt orgs's forts পিতাপুত্রের একনামও প্রায় দেখা যায়। ইহাতেও ত ওদেশের লোকের বেশী অনুবিধা হইতেছে না। ইহা ছাড়া আর একটি কথাও বলিবার আছে । স্ত্রীলোক যতই স্বাধীনতালাভ করুন, গৃহ-সংসারেই অধিকাংশের আজীবন কাটিবে। বাহিরেই পুরুষের জীবনের অধিকাংশ সময় কাটে, তবু হিন্দুস্থানী প্রভৃতি অনেক জাতির লোকের পদবীহীন নামটুকু মাত্র লইয়াই বেশ চলিতেছে । মিঃ হনুমান প্রসাদ, কি মিঃ মাতাদীনের পিতৃনাম কিংবা পারিবারিক নামের দরকার হয় না। সুতরাং বম্ব কি চক্রবত্তীর গৃহলক্ষ্মী মঙ্গল কি ক্ষেমঙ্করীর পিতৃনাম অথবা পতির নাম নিজ নামের পিছনে ন৷ জুড়িলেও চলিবে । র্তাহারা আজীবন দেবী লিখিলে ঘরের কি বাহিরের খুব বেশী ক্ষতি হইবে না, উপরন্তু নিজস্ব নাম চিরকাল বজায় রাখিবার গৌরবটা থাকিবে । শ্ৰী শান্তা দেবী AMMMAAASAASAASAAAS