পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] হয়, তখন বুঝিলাম বাকুড়া দরিদ্রের দেশই বটে, নইলে অখাদ্য থাইয়া ক্ষুননিবৃত্তি করিত না । যখন শুনিলাম বাজারে ঝিঙ্গা চারি আন সের বিক্রি হইতেছে, তখন বুঝিলাম বাঁকুড়াবাসী বন্য গাছের চাষ করিতেও উদাসীন। কিন্তু, যখন শনিলাম বিলাতী আলুরও সেই দর, তখন বুঝিলাম বাকুড়া অজ্ঞানও বটে। যাহারা ভদ্রলোক, যাছার মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে গণ্য, তাহঁদের কান্তিহীন লাবণ্যবর্জিত মলিন মুখমণ্ডল, জ্যোতিহীন চক্ষু, অবসন্ন গতি দেখিয়া পুনঃ পুনঃ মনে হইয়াছে, এমন কেন ? গত জনসংখ্যানে প্রকাশ হইয়াছে, গত দশ বৎসবে বঁকুড়ায় দশ জনের স্থানে নয় জন হইয়াছে। যাহারা ভাবুক, তাহারা ইহাতেই চমকাইয়া উঠিবেন । কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার আরও ভয়ানক। লোকক্ষয় দশজনে এক নয়, দুই হইয়াছে”। অভাগ৷ বাঙ্গালী ব্যতীত, হিন্দু ব্যতীত, সব জাতি বাড়িতেছে, দশ বৎসবে অন্ততঃ এক জন বাড়ে। বাকুড়ায় বুদ্ধি দূরে থাক, স্থিতিও নাই, হ্রাস হইয়াছে স্বাভাবিক ক্রমে যেখানে এগার জন দেখিতাম, সেখানে নয় জন দেখিতেছি । বলকর, পুষ্টিকর, প্রাণকর, আয়ুষ্কর আহার পাইলে এ দশ ঘটিত কি ? প্রকৃতির একি নিষ্ঠুর লীলা ; জীবন ও জীবনোপায়ের সমন্বয়ের এ কি নিমৰ্ম ব্যবস্থা ! শুধু এই নহে । কার অভিশাপে বাকুড়া কুষ্ঠক্ষেত্র হইয়াছে ! দেশের অন্যত্র এই পাপরোগ আছে সত্য, কিন্তু, ভারতের মধ্যে বাঁকুড়ায় অধিক কেন ! বাকুড়ায় ছয় হাজার গ্রাম, ছয়হাজার কুষ্ঠী গণা হইয়াছিল, কত গণ হয় নাই, কে জানে। দশ বার হাজারের কম হইবে কি ? কি কারণে প্রথম বীজ উপ্ত হইয়াছিল, কে জানে । তার পর কত কাল ধরিয়া বংশানুক্রমে ও সংস্পর্শদোষে রোগের বীজ ব্যাপ্ত হইয়াছে। আমরা নাকি হিন্দু ; শুচি-অশুচির বিচার আমরা যেমন জানি পৃথিবীর কেহই তেমন জানে না । হায় শাস্ত্র ! কে পড়ে, কে বা মানে । কোন শাস্ত্রে কুষ্ঠীর সংস্পর্শ নিষিদ্ধ হয় নাই? কোন স্মৃতিতে, কোন আয়ুর্বেদে কুষ্ঠবংশে বিবাহ বিহিত হইয়াছে ? মুখ, পুত্রস্নেহে পাগল ; কিন্তু জানে না কি ভয়ঙ্কর পাপের পরিণাম ভোগ করিতে পুত্র-পৌত্রাদিকে রাখিয়৷ বাঁকুড়া সারস্বত সমাজের উদবোধন-পত্ৰ বিচ্ছিন্ন শিক্ষণ । ২৩৯ AeeAeeMAMeMAeMAeMAeeAeMAMMAMMAeMAMMAeMAMAeAMAMAeMAeS MMAMAM MMAMMAe MeeMAeM AeMAM AAAAA যাইতেছে। ভদ্র ইতর কাহারও দৃকপাত নাই ; পথে • ঘাটে, জলে ডাঙ্গায়, বাজারে দোকানে, নরসুন্দরের হাতে, রজকের বস্ত্রে, রোগের বীজ ব্যাপ্ত হইতেছে। মুনসিপালিটির চিন্তা নাই, ডিষ্টি ক্ট বোর্ডের কতব্য নাই, কাহারও এক কপদক ব্যয় নাই । মেলেরিয়া, কলেরা, বসন্ত দেখা দিলে ডাক্তার ছুটাছুটি করেন । কিন্তু কুষ্ঠরোগ নিত্যসহচর হইয়া বিনাবাধায় যথতথা বিচরণ করিতেছে । ইহাতে একজনের প্রাণ নয়, দুই পাঁচজনের নয় ; বংশকে বংশ, দেশকে দেশ সমুলে উৎসল্প হইতেছে ; কে দেখে, কে ভাবে ? - কেহ কেহ স্বধাইতে পারেন, দেশের এই অবস্থার সহিত সারস্বত সমাজের কি সম্পর্ক আছে। কিন্তু, যদি সরস্বতী জ্ঞানধিদেবী বুদ্ধিশক্তি-স্বরূপিণী, তাঁহ হইলে এই বিতর্ক উঠিতে পারে না। সারস্বতসমাজ নইলে দেশের পুরাবৃত্ত ও ইতিহাস, সমাজনীতি ও অর্থনীতি, ধম ও কম আচার ও ব্যবহার, রোগ ও তাপ, বিদ্যা ও কল, বাত ও বৃত্তি, কে চিন্তা করিবে ? সরকারী কর্মচারীর রিপোর্ট পড়িয়া আমাদের কম। নির্বাহ হইবে কি ? স্কুলদশী মনে করেন, ধনে ও মানে, বিদ্যা ও বুদ্ধিতে বড় হইলেই তিনি ধন্য হইলেন। তিনি ভুলিয়া যান, তাইfর ক্ষেত্র ক্ষুদ্র হইলে, প্রতিবেশী অজ্ঞান ও নীচমন দুজন হইলে ক্ষেত্রফল তাহঁাকে ও তাহার বংশকেও ভোগ করিতে হইবে - ধনমদ, তহমদ, বিদ্যামদ, অধিকারমদ বুঝি ; কিন্তু ইহাও জানি স্বল্পতোয়ে সফরী ফরফর করে, অগাধজলসঞ্চারী রোহিতের প্রমত্ততা নাই। শিক্ষা বিস্তার হইলে দেশের দুনীতি ও দুৰ্গতির কিছু উপশম হইবে। কিন্তু, স্বফলের আশা অধিক করিবেন না । কারণ, বত মান শিক্ষণ ইংরেজী শিক্ষণ । ইংলণ্ডের ইংরেজজাতির নিমিত্ত যে শিক্ষা, সেই শিক্ষণ। άεβ aftù, English Education gè altxè প্রকাশ, ইহা আমাদের দেশব্যতিরিক্ত শিক্ষা, সমাজবিদেশীয় শিক্ষা দ্বারা বুদ্ধির কৃত্রিম মার্জনা হইতে পারে, কিন্তু প্রয়োগকালে কৃত্রিম বুদ্ধি হত হয়। ইহার রহ উদাহরণ জানা আছে। আপনাদের