পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8ર S AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAMAAA AAAAS ছাতনা দূরে থাক, বাঁকুড়া নামের উৎপত্তি জানি না। ইহার পূর্ব নাম বাকুণ্ড না, হইলে মনে করিতাম, ধমৰ্থ ঠাকুর বন্ধুরায় বা বাকারায় হইতে বাকুড়া। এখানে এখন ধর্মঠাকুর নাই। পূর্বে ছিলেন কি না, কে জানে। পাশের দ্বারকেশ্বর নদের নাম ধরন। মহাদেবের নামে ঈশ্বর থাকে ? কিন্তু, দ্বারক বা দ্বারিক কোথায় ? ভবিষ্যপুরাণে নাম, দারিকেশী । দারি, দারিব। অর্থে সন্ধি, বিদীর্ণ স্থান ( a fissure ) ; যে নদী পর্বত বিদীর্ণ হইয়া বহির্গত হইয়াছে। কিন্তু, দ্বারকেশ্বর নদের আরম্ভ-স্থানে পবত নাই। দারী অর্থে বারবনিতা ও আছে ; এই অর্থ ধরিলে বারবনিতার কেশ-সাদৃশ্যে নদীর নাম। মূল ধরিতে না পারিলে বানান শুদ্ধ হয় না। “দ্ধ" লিখিব, কি 'দা' লিখিব, বুঝিতে পারি না। অপর নদী, গন্ধেশ্বরী । ইহার সহিত গন্ধবণিকের সম্বন্ধ আছে কি ? : একতেশ্বর ঠাকুর শিব বলিয়া গণ্য, ঈশ্বর নামে শিব বুঝি । কিন্তু, একতার ঈশ্বর শিব ছিলেন না, ছিলেন বুদ্ধ। আদিতে একতেশ্বর বৌদ্ধমূতি কি ? যাইরে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নিযুক্ত হইতে চান তাহঁদেরও ক্ষেত্র বিস্তীর্ণ । এখানে এমন অনেক গাছ আছে, যেসব নিম্ন বঙ্গে, দক্ষিণরাঢ়ে নাই। গুজরাটের বনে কবিকঙ্কণ অনেক গাছ দেখিয়াছিলেন, সেসব দামুন্তায় নাই, এখানে আছে। নিম্ন বঙ্গের পাখী ও মাছ এখানে সব নাই ; তেমনই এখানকার কিরাত সৰ্প ( ডোমনা চিতী ) সেখানে কদাচিৎ দেখি । একথা সবাই জানি, বাকুড়া ও নামাল দেশ এক নয়। কিন্তু জানি না, প্রত্যেকের কি গণে কি অন্তর ঘটিয়াছে। কবি গাইয়াছেন বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু পুণ্য হউক ; আমরাও গাই বাংলার বায়ু পুণ্য হউক। এখানকার বায়ু স্বচ্ছ ও শুষ্ক, এমন শঙ্ক যে অগ্রহায়ণ পৌষ মাসের রাত্রির আকাশে একটি তারাও দীপ্তিহীন হয় না। স্বচ্ছ ও শুষ্ক বলিয়া এখানকার মানুষের বর্ণ মলিন। জয়কালে যে গৌরবর্ণ, অন্যত্র যে গৌরবর্ণ, রবিকরপ্রভাবে এখানে সে কৃষ্ণ। এই মলিনত্বের হ্রাসবৃদ্ধি আছে। ফাল্গুন হইতে আষাঢ় মাস বৃদ্ধির, এবং বর্ষ হইতে শীতাস্ত হ্রাসের কাল। বর্ষাকালের আকাশ প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩e ۔ عیسه میبه" یا " [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড سیمای جمعیت ۹ মেঘাচ্ছন্ন, এবং দক্ষিণায়নে বায়ু আদ্র ও রবিকর মৃদু হইয়া থাকে। গ্রীষ্মকালের পূবর্ণয়ে যে রণকুয়াস ( এখানে বলে ধুন্ধু) দেখি, আবহের এই রজোলক্ষণ কে বর্ণনা করিবে ? মনে করিতাম নদীবহুল পূর্ববঙ্গেই ঘূর্ণিঝড় সম্ভবে । কিন্তু, এই বৎসর রেল-ষ্টেশনের নিকট হইতে যে ঝড় বহিয়াছিল তাহার শক্তি অল্প ছিল না। আর যে রক্তধূলি অপরাহে ঘূর্ণিত হইতে হইতে নৈঋত কোণ হইতে ঈশান দিকে চলিয়া যায়, যাহার ঘনতায় কোলের মানুষ চিনিতে পারা যায় না, তাহার উৎপত্তি কোথায়, পরিণাম কোথায় ? তিন বৎসরে তিনবার দেখিলাম । এ বৎসর রাত্রি ৯ ১০টার সময় দেখা দিয়াছিল । সালে জ্যৈষ্ঠমাসে যে ধূলিবাত্য বাকুড়ায় অপরাহ্ল ৪টার সময় দেখা গিয়াছিল, রাণীগঞ্জ ও বদ্ধমান দিয়া গিয়া কলিকাতায় সন্ধ্যার পর উপস্থিত হইয়াছিল । সে কি এক বাত্যা কি পৃথক্ বাত্যা একদ। উখিত হইয়াছিল ? কেহ কেহ মনে করিতে পারেন, এসব বুঝি বিদ্যার নিমিত্ত বিদ্যাচচ1। আমি এই বুলি মানি না । বিনা প্রয়োজনে বোন কম হয় না, বিজ্ঞানের এষণাও না । এষণায় যে আনন্দ -এ স্থলে সেটির লাভই প্রয়োজন । কিন্তু, পরে সে এষণ হইতে লৌকিক হিতও হইয়া, থাকে। যে কৃষি হইতে আমাদের জীৰিকা হইতেছে, এক প্রাজ্ঞ বলিয়াছেন সে কৃষি এই গ্রীষ্মদেশে উদ্যানকমবিশেষ। বলা বাহুল্য উদ্যানকম ও কৃষিকৰ্ম এক নহে। ক্ষেত্র ও বীজের যোগে শস্যের উৎপত্তি। উত্তম বীজ চাই, উত্তম ক্ষেত্রও চাই, নইলে শস্য উত্তম জন্মে না। কিন্তু ক্ষেত্র বলিতে কেবল মৃত্তিক নহে ; যে দেশে ক্ষেত্র, সে দেশের ধম ক্ষেত্রে বিদ্যমান থাকে । বাঁকুড়ায় শীত গ্রীষ্ম প্রবল, বায়ু শুদ্ধ ; এই পর্যন্ত জানি, কিন্তু, ক্ষেত্রের এই এই ধমের বশে কোন শস্যের কি ইষ্টানিষ্ট হয়, তাহা জানা আছে কি ? মৃত্তিকা বিশ্লেষণ করিতে পারি, করাও হইয়া থাকে। কিন্তু, আবহবিচার কোথায় হইতেছে ? দুঃখ হয়, আবহ ও কৃষির, আবহ ও স্বাস্থ্যের সম্বন্ধ বিচার উপেক্ষিত হইয়৷ আসিতেছে। বাকুড়ায় অীবহুলক্ষণ জানিবারও উপায় নাই। এদেশে অন্ততঃ আড়াই হাজার বৎসর পূর্ব "לאס\ צ