পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. Հ88 總 SM AAAA ASASASAeMAYSAAAAAA SAAAAASA SAASAASSAAAAAA S AAAAA SAAAAAS AAAAMSMA AeMAAAA গ্রন্থশালায় সংস্কৃত গ্রন্থও রাখিতে হইবে। অনেকে ইংরেজী জানেন, ইংরেজী সাহিত্য বিপুল। এই এক সাহিত্য দ্বারা পৃথিবীর প্রধান প্রধান সাহিত্যের সংবাদ লইতে পারি। অতএব উত্তম উত্তম ইংরেজী গ্রন্থও চাই । কিন্তু গ্রন্থশালায় গ্রন্থ পুঞ্জীভূত হইলেই সকলের ভোগে আসে না। আপণে রত্বের প্রকাশ দেখিয়া তৃপ্ত হইতে পারা যায় না । যাহাতে সে রত্ব সাধারণের ভোগে আসে, তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে । গৃহপতি ও গৃহপত্নী পাঠ করুন, না করুন, বাড়ীতে বাড়ীতে গ্রন্থ পাঠাইয়া তাহাদিকে পাঠে উদবুদ্ধ করিতে হইবে । গ্রন্থশালার এক অঙ্গ চলনীয় না হইলে সম্যকু ফল পাওয়া যায় না। সারস্বতসমাজ নিজেব জ্ঞানৈষণা চরিতার্থ করিয়া নিশ্চিন্ত হইবেন না। দেশে জ্ঞানবিস্তার না হইলে সমাজ তিষ্ঠিতে পারিবে না। লক্ষপতি লক্ষমুদ্রার উপর উপবেশন করিয়া থাকিতে পারেন, কিন্তু, তাহাতে দেশের হিতাহিত কিছুই সাধিত হয় না। বিধাতার এমনই বিধান, লব্ধ ফল দশজনে বাটিয়া না খাইলে আনন্দ হয় না। তস্মিন তুষ্টে জগৎ তুষ্টং,—তাহারা তুষ্ট হইলে ‘আমিও তুষ্ট । - পাঠশালা বসাইয়া ছোট ছোট বালকবালিকাকে পাঠ পড়াইতে পারেন ; কিন্তু, যাহারা বয়ঃপ্রাপ্ত, যুবা ও প্রৌঢ়, তাহারা কি অধ্যয়নশীল ভবিষ্যদু-বংশের আশায় বসিয়া থাকিবে ? তাহদের নিমিত্ত কি ব্যবস্থা আছে ? পাঠশাল ও ইস্কুল বস্থক, টোল ও কলেজ আরও হউক ; ইংরেজী বিদ্যা ও পাশ্চাত্যবিজ্ঞান প্রসারলাভ করুক, সারস্বতসমাজও কার্য করিতে থাকুন। মহানুভব সদয়ব্যবহার কালেক্টর সাহেব বাকুড়ায় লক্ষ্মীর আবির্ভাব নিমিত্ত যত্নবান হইয়াছেন। তাহার যত্ন সফল হউক। তাইার প্রতিষ্ঠিত “কৃষি ও হিতকরী সমিতি” কার্যকরী হউক। কারণ নিত্য অনশনে সরস্বতীর পূজা হইতে পারে না, রোগক্লিষ্টের চিস্তার মধ্যে সরস্বতীর ধ্যান হয় না। একথাও সত্য, সরস্বতীর কৃপা নইলে লক্ষ্মী, অলক্ষ্মী হইয়া দাড়ান। সেদিন এক বিজ্ঞাপনে পড়িতেছিলাম, "বাকুড়া সম্মিলনী” বাকুড়াবাসীর পরস্পর সৌহার্দ কামনা করেন । সৌহার্দ কেন নাই, এবং কি প্রবাসী=অগ্রহায়ণ, ১৩৩e ASA SSASAMSAAAAAA AAAA S AAAAA AAAAMAMAeS AAAAAS AAAAA MAMMJAMAMA MAeMAeS eAeMAeAeAASAAAA [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড উপায়ে তাহা আসিতে পারে, তাহার উল্লেখ পাই নাই। " আমাদের কাম্যের অস্ত নাই ; কিন্তু কামনার দৃঢ়তা কই ? পরস্পর অবিশ্বাসেই বাঙ্গালী মজিয়াছে, অবিশ্বাসের কাজও করিয়াছে। কিন্তু, কেন ? ধৰ্ম হইতে কম; এবং কম হইতে ধম বিচ্ছিন্ন হওয়াতে, দুইটা পুথক্ করাতে আমাদের অধঃপতন হইয়াছে। “সম্মিলনীর" বিজ্ঞাপন পড়িয়া দুঃখও হইয়াছে। শিক্ষিত ব্যক্তির সম্মিলনী এখনও গ্রামীণত ত্যাগ করিতে পারেন নাই। এখানকার লোকে আমায় বিদেশী বলে। শুনিয়া প্রথম প্রথম হাসি পাইত। কিন্তু পরে বুঝিলাম, “বাঁকুড়া’ বলিতে ইহারা বাজারটুকু মাত্র বুঝে। পাড়ার নাম অবত থাকিবে, কিন্তু পাড় বড় হইয়। যে গ্রাম, এবং গ্রাম বড় হইয়া যে জেলা, সাধারণ জনগণ ততদুর আসে নাই দুঃখ হইতেছে, “সন্মিলনী’ও জেলার বাহিরে যাইতে পারেন নাই। গ্রামীণতার গণ আছে। কিন্তু, যখন প্রধানগুণ, পরস্পরপ্রীতি নাই, তখন দোষের ভাগই প্রকট হইয় উঠে । বাকুড়াবাসী বাকুড়াবাসীকেই বিশ্বাস করে কই ? গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় বিশ্বাস কই ? জীববিদ্যার একটা স্কুল কথা এই যে, উৎপীড়িত হইয়া যে জীবকে বাচিতে হয়, সে আত্মরক্ষার্থে প্রবঞ্চনাপরায়ণ হয়। মনে হয়, বাকুড়া বহ, উৎপীড়িত হইয়াছে, বহুবার ঠকিয়াছে। ফলে এখন শঠে শাঠ্য সমাচরণ করিতেছে । - পূর্বে আভাসে বলিয়াছি, কেবল কৃষি দ্বারা আমাদের দারিদ্র্য ঘুচিবে না। কেবল কৃষক দ্বারা সমাজও রক্ষা পায় না। কার, চাই, কামিক চাই, ব্যাপারী চাই। আশ্চর্য এই, এই বাকুড়ায় যেখানে নাকি দুর্ভিক্ষ নিত্যসঙ্গী, সেখানে অন্য জেলা হইতে, এমন কি বিহার হইতে, কার, ও কাৰ্মিক আনাইতে হইতেছে! বঙ্গের সর্বত্র কার ও কামিক অ-শিক্ষিত (untrained)। তদুপরি অসত্যবাদিত, শঠতা, সময়-লঙ্ঘন, অবিনীত ব্যবহার জুটিয়া ইহাদের এবং দেশের কি অনিষ্ট হইতেছে, কিসে প্রতিকার হইবে ? কলিকাতায় মারোআড়ীর স্থিতি ও প্রতিপত্তি বুঝিতে পারি। এই বঁকুড়া গ্রামতুল্য , এখানে মারোআড়ী গায়ের জোরে ঢোকে নাই,