পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] به صحبیسه حامی حجمعیسیه" عیتخصیصی ব্যাপার-বুদ্ধিবলে ক্ষুদ্র স্থানেও ধনসঞ্চয় করিতেছে। কচ্ছী ঠিকাদার যোগ্য বলিয়াই এই শহরে স্বচ্ছন্দে প্রতিপালিত হইতেছে। মারোআড়ী ও কচ্ছ সাধু নহে ; কিন্তু, ব্যাপার-সাধুতা নিশ্চয়ই আছে। বাজারে দেখি, দোকানী দোকান পাতিয়াছে, কেনা-বেচা চলিতেছে ; আবু উদ্ধত ব্যবহারে অভ্যন্ত বাঁকুড়ারই গ্রাহকের মুখে শনিয়াছি, কেন দায়। দর চড়া বলিয়া নহে, অশিষ্ট ব্যবহারে গ্রাহকের মনোবেদনা। মিষ্টি মুখের কি গুণ, দোকানীর তাহ জান নাই । আমার বিশ্বাস, অশিক্ষিত অশিষ্ট জনগণের ব্যবহারে আমরা যে ক্ষুব্ধ, কখনও বা ক্রুদ্ধ হই, তাহ আমাদেরই ব্যবহারের প্রতিবিম্ব। কারণ তাঁহাদের শিক্ষাদাতা আমরাই। আমাদের রেড়ো ব্যবহার, বঙ্গের সর্বত্র ধিক্‌কৃত । তথাপি, স্বভাব মাথায় চড়িয়া বসিয়া আছে। কারণ বিদ্যা-শিক্ষা আর বিনয়-শিক্ষা এক নয়। বঙ্গের এক এক জেলায় মামলা-মকদম বেশী। সেখানকার লোক দু দিয়া, অর্থাৎ দ্বন্দ্বপ্রিয়। পূর্বকাল • হইলে তfহারা মারা-মারি, হানা-হানি করিত। অত্যাচারিত হইত বলিয়া তাহার। আত্মরক্ষার্থে হিংস্র হইয়া উঠিয়াছিল। এই যে পূব স্বভাব, একালে ব্যক্ত হইবার সে উপায় নাই। এক উপায়, ক্ষুদ্র উপায় আছে, - আদালতে মামলা করা । আমার যেখানে জন্ম, সেখানকার লোক মামলা-বাজ বলিয়া বিখ্যাত। ক্ষেত্রবিশেষে কিন্তু, দয়াদাক্ষিণ্যও আছে। বিদ্যাসাগর মহাশয় দুদিয়া ছিলেন, তিনি দয়ারও সাগর ছিলেন । ৮ রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমায়িকতার অবধি ছিল না। বাঁকুড়ায় নাকি মকদ্দমা কম ; কিন্তু দয়া-দক্ষিণ্য বেশী কি ? চিত্ত সরস না হইলে এগুণ সহজে আসে না । সাহিত্যরস একমাত্র রস যাহাতে চিত্তের প্রসন্নতা আসিতে পারে। সৎসাহিত্যু হইলে বিশেষ ফল পাওয়া যায় । যদি দোকানের দোকানীকে, বাজারের মুদীকে, হাটের পসারীকে দিবাকমের অবসানে রামায়ণ পড়াইতে পারেন, যদি গ্রামে গ্রামে ওড়িষ্যার ভাগবতধরের তুল্য পুরাণঘর করিতে পারেন, তাহা হইলে দেশে আত্মজ্ঞানপ্রচারের স্বত্রপাত হইবে । ওড়িষ্যায় এমুন গ্রাম নাই, বাঁকুড়া সারস্বত সমাজের উদবোধন-পত্ৰ रे86 AMMMMMMAMMeMAMAMMMMMMAMMMJAMMAJJMM SAAJJJS যে গ্রামে ভাগবতঘর নাই । সেখানে সন্ধ্যার পর পাড়ার ও গ্রামের শ্ৰোত উপস্থিত হয়, এক পাঠক ওড়িয়া ভাগবত পাঠ করেন। ফলে নিরক্ষর বাউরীর মুখে ভাগবতের উপদেশ শুনিতে পাওয়া যায় । বাঙ্গলাদেশেও এই রীতি ছিল, রামায়ণমহাভারত পাঠ এখন বন্ধ হইয়াছে। আরও ছিল, পুণ্যবানের গৃহে পুরাণপাঠ ও কথকতা, ধনবানের গৃহে পৌরাণিক যাত্রা গান। সে - সব পুনঃপ্রচলন কে করিবে ? আমাদের শুভ এই, দেশের মানুষ এখনও, এই দুদিনেও, আনন্দ উপভোগ কবিতে পারে। ইংরেজীশিক্ষিত জ্ঞানে বাড়িয়াছেন, কিন্তু রসে বঞ্চিত হইয়াছেন, দেশের আমোদ-আহলাদ সম্ভোগ করিবার শক্তি হারাইয়াছেন । ইহঁাদের তুল্য দুঃখী আর কে আছে ? শিক্ষার এ কি পরিণাম | বাকুড়ায় বারমাসে তের পার্বণ ছাড়া কত পরব' আছে, কত কুটুম্বিত কত সমাজব্যবহার আছে, ঠিক বলিতে পারি না। কিন্তু দেখিয়াছি, কার, ও কামিক, যাহাদের দিন-বেতন একমাত্র সম্বল, তাহারাও দিনিক অগ্রাহ করিয়া পরবে মত্ত হয়, পাচ ক্রোশ দুরে ভোজনের নিমন্ত্রণ রক্ষা করে, যাত্রাগান পাইলে ত কথাই নাই । এষ্ট রসবোধ যতদিন আছে, ততদিন তাহারা মানুষ আছে, তাহাদিগকে তুলিয়া ল ওয়ার সম্ভাবনা আছে । আত্মজ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে কালজ্ঞান ও দেশজ্ঞান চাই, একের অভাবে অন্য পঙ্গু হইয়া পড়ে। কি কাল পড়িয়াছে, তাহা সবাই জানে ; কিন্তু কালোচিত ব্যবস্থা কি হইতে পারে, তাহ সকলে জানে না। এবিষয় ভাবিবার চিন্তিবাব লোক চাই । তেমনই দেশের লোক দেশে আছে বটে, কিন্তু দেশ চেনে না। চিনাইবার লোক চাই । অর্থাৎ প্রদেষ্ট আবশ্ব্যক । নৈশবিদ্যালয় বস্থক । লিখিতে পড়িতে শিখিলে জ্ঞানমন্দিরের কুঞ্চিকা করতলগত হয় ; কিন্তু মন্দির দূরবর্তী হইলে, বিগ্রহ চক্ষুর অন্তরালে থাকিলে অপ্রয়োগহেতু সে কুঞ্চিকা মলাবৃত হইয়া অল্পে অল্পে . অদৃশ্য হয় । অতএব বিদ্যালয়ের ধোগান চাই ; সে যোগান পর্যটকপ্রদেষ্টার কম। -