পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ) , همین مییه ۶یمسخرسه টাকার আয়ের শেষ মুদ্রাটির ষা প্রয়োজনীয়তা ১০ টাকা আয়ের শেষ মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা তার চেয়ে অনেক বেশী । সুতরাং যাদের ভাগে সামাজিক আয়ের ংশ বেশী পড়ে তাদের চেয়ে যেসব লোকের ভাগে সামাজিক আয়ের অংশ কুম পড়ে, তাদের ভাগের পরিমাণ বেড়ে গেলে স্বাচ্ছদ্য বেশী পাওয়া যাবে। অর্থাৎ দরিদ্রের (কার দরিদ্র তা নির্ণয় করার চেষ্টার প্রয়োজন নেই ) অংশে বেশী করে ভোগ্য বা সামাজিক আয়ের অংশ দিলে ধনীকে দেওয়া অপেক্ষ তার প্রয়োজনীয়তা-দানের ক্ষমতা বেশী হবে । কেননা দরিদ্রের কাছে যদি কোন ভোগ্যের দশম মাত্র সীমাস্থিত মাত্রা হয়, ধনীর কাছে সেই ভোগ্যের এক হাজার পঞ্চাশত্তম মাত্রা সম্ভব সীমাস্থিত মাত্রা। দরিদ্র ও ধনী দুই জনই মানুষ। কাজেই ভোগ্য ব্যবহার করে তৃপ্তি লাভ এমন কিছু বিভিন্নভাবে তারা করতে পারে না যাতে দশম মাত্রা ও একহাজার পঞ্চাশত্তম মাত্র সমান প্রয়োজনীয়তা দিতে পারে। কাজেই ধনীর অংশ থেকে কয়েক মাত্রা নিয়ে দরিদ্রের অংশে দিলে বেশী প্রয়োজনীয়তা সিদ্ধি হবে নিশ্চয় । - অবগু এরকম করলে পরোক্ষভাবে স্বাচ্ছদ্য কমে যেতেও পারে। যেমন সামাজিক আয়ের শুধু বণ্টনের দিকুই আছে এমন নয়। কাজেই কেউ যদি শুধু বণ্টনপ্রণালীর দোষগুণ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তার দ্বারা সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের অপকার ঘটতে পারে অনেক । বণ্টন সম্বন্ধে যখন কথা বলা হয় তখন ধরে নেওয়া হয় যে সামাজিক আয় উৎপাদন সম্বন্ধে কোন পরিবর্তন ঘটবে না। যদি বণ্টন-প্রণালী পরিবর্তন করতে গিয়ে উৎপাদনের দিকৃটি খোড়া হ’য়ে যায় তা হ'লে লাভের চেয়ে লোক্সান হয়ত বেশী হবে । তর্কের খাতিরে ধরা যাক যে ধনীরাই সবকিছু উৎপাদন করে বা এমনভাবে সব কিছু উৎপাদনে সাহায্য করে যাতে তাদের উৎপাদনক্ষেত্রে উপস্থিতি অবশ্যপ্রয়োজনীয়। এবং তাদের আম্বের পরিমাণ অথবা সামাজিক আয়ে তাদের ভাগের পরিমাণ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন সম্বন্ধে তাদের সামাজিক আয় ও সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য സസ്സസസ്സസസ്സ്പ്രസ്സ്പ് Հ8Գ উৎসাহও পরিবৰ্ত্তিত হবে। এমন কি তাদের আয় শতকরা দশ কমিয়ে দিলে তাদের উৎপাদন-উৎসাহ শত করা কুড়ি কমে যাবে। এক্ষেত্রে তাদের ভাগ থেকে নিয়ে দরিদ্রদের ভাগ বাড়ানোর ফল হবে, সামাজিক আয়ের পরিমাণ-হানি । 曾 তা ছাড়া সামাজিক আয়ের আর-একৃট দিক্‌ আছে। সেটা হচ্ছে ভোগের দিকৃ। সব লোক ত সমাজে যা-কিছু উৎপাদিত হয় সব-কিছুর একটু একটু করে নেয় না। সামাজিক আয়টা যেমন টাকায় প্রকাশ করা যায়, সেইরকম ব্যক্তিবিশেষের বা ব্যক্তিসংঘ-বিশেষের অংশও টাকায় প্রকাশ করা হয় । অংশ নিৰ্দ্ধারণ হ’য়ে গেলে ংশী তার যেসব ভোগ্য ভাল লাগে তাই টাকার বদলে যোগাড় করে কিনে নেয় । সে পায় সাধারণভাবেকিনবার ক্ষমতা (টাকা ) এবং তার বদলে নেয় ভোগ্য। কি ভোগ্য নেবে তা সাধারণতঃ তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে । কাজেই সামাজিক আয়ের উৎপাদন ও বণ্টন ঠিক হ’য়ে গেলেও ভোগের দিক্‌টা দেখতে হবে। ধরা যাক দরিদ্রর উৎপাদনকার্য্যে ধনীদের চেয়ে বেশী । সাহায্য করে । এবং ধনীদের অংশ থেকে কিছু নিয়ে দরিদ্রের অংশে দিলে উৎপাদন কমে যায় না। কিন্তু দরিদ্ররা যদি উপরি অংশটুকু নিয়ে এমনভাবে ভোগ .করে যাতে তাদের কার্যকরী ক্ষমতা কমে যায়, তা হ’লে ফলে উৎপাদন কমে যাবে। যেমন মদ্যপান, বা বিলাসিত। মদ্যপান করলে কাৰ্য্যকরী ক্ষমতা কমে যায়। বেশী মাত্রায় সামাজিক আয়ের ভাগ পেয়ে যদি দরিদ্রর মদ্যপান মুরু করে তা হ’লে এ ক্ষেত্রে বণ্টন-প্রণালী বদলানর ফল কুফল। যথু, কোন এক স্থলে দেখা গিয়েছে যে সাওতাল মজুরদের মাইনে বাড়িয়ে দিলে তারা মদ খেয়ে সময় নষ্ট করে বেড়ায় এবং কাজ কম করে । কাজেই অন্যদিক সম্বন্ধে কিছু না বলে শুধু যদি বলা হয় যে সামাজিক আয়ে দরিদ্রের অংশ যদি বাড়ান যায়, ধনীর অংশ সেই পরিমাণ কমে গেলেও তাতে সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে, তা হ’লে ভুল হবার সম্ভাবনা আছে। সামাজিক আয় উপার্জন অথবা এক কথায় উৎপাদন করতে মানুষকে কষ্ট স্বীকার করতে হয়। অর্থাৎ কিনা