পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ) । বেনে-জল ←☾☾ MM AMMeMAe eeeeM MM SMJJA eeJA AMAMAAM AMJJJJiM eAMJJAMMMeJASJJJJeeMA SAMAASJMAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAJJMMJJJAAAS কথা বলাই আমার স্বভাব। আমরা কণারকে যাব না, আর.এটা হচ্ছে আমাদের খুসি !” রতন বললে, “নিশ্চয়! তবে কি জানেন কুমারবাহাদুর, অন্ধ যদি হঠাৎ কঠোর প্রতিজ্ঞ ক’রে বসে— ‘আমি চাদ দেখব না, তবে সে প্রতিজ্ঞার মধ্যে কতখানি তার খুসি, আর কতখানি যুক্তি আছে, তা বিচার ক’রে না দেখলে চলবে কেন ?” মি: চ্যাটো মুখ রক্তবর্ণ ক’রে অধীরস্বরে বললেন, “রতনবাবু, রতনবাবু ! আপনি ভদ্রতার সীম লভলন করছেন । আপনার এ-কথার অর্থ কি ?" —“অভ্যস্ত স্পষ্ট, এজন্যে মানের বই খুলতে হবে না" —এই ব’লেই রতন সেখান থেকে উঠে আস্তে আস্তে চ’লে গেল । মি: চ্যাটাে মনে মনে বললেন, “তোমার এই দৰ্প আরো কতদিন থাকে, আমি ত দেখ বই দেখব ।" সতেরো ধূ-ধূ করছে সীমাহীন মরুভূমি, চারিদিক মুতু্যর স্তব্ধ হৃদয়ের মত নীরব, মাঝে মাঝে নিঝুম রাতের কানের কাছে বাজছে শুধু ঝুম্ ঝুম্ ক’রে বিঝির ঝুমঝুমি, মাথার উপরে মেঘ-তোরণের সামনে স্বপ্নপুরীর প্রহরীব মত জেগে আছে কেবল চাদের উজ্জল মুখ । বালুকা-শয্যার বক্ষ ক্ষত-বিক্ষত ক’রে একটি গোসানচক্র-চিঙ্কিত সঙ্কীর্ণ পথের রেখা দৃষ্টির আড়ালে কোথায় কতদূরে তলিয়ে গেছে, তারই উপর দিয়ে ছ-থানা গরুর গাড়ী ঢিমিয়ে ঢিমিয়ে কর্কশ চীৎকার করতে করতে এগিয়ে চলেছে । আনন্দবাবু, রতন, পূর্ণিম; ও স্থমিত্র,—প্রত্যেকের জন্যেই এক-একথান গাড়ীর ব্যবস্থা রয়েছে । সৰ্ব্বপ্রথমের ও সৰ্ব্বশেষের দুথান গাড়ীর ভিতরে আছে দুজন দরোয়ান ও দুজন চাকর । খানিক পরেই রতন গাড়ীর ভিতর থেকে নেমে পড়ল। তার দেখাদেপি নামূল পূর্ণিমা। আনন্দ-বাবু বললেন, “ব্যাপার কি রতন, সবাই গাড়ী ছেড়ে হঠাৎ নামূলে কেন ?" . . রতন বললে, “গরুর গাড়ী আমাদের দেহ নিয়ে যে-রকম উৎসাহে লোফালুফি খেলা হরু করেছে, তাতে নেমে পড়াই সুবিধে বিবেচনা করছি।” আনন্দ-বাবু বললেন, “হ্যা, আমরা সবাই বিংশ শতাব্দীর মোটর’-যুগের মানুষ, সত্যযুগের এ বিশেষত্ব আমাদের ধাতে সহ হবে কেন ? আমি কিন্তু তবু গাড়ী ছাড়তে রাজি নই, কারণ স্বখের চেয়ে স্বস্তি ভালো, বুড়ে হাড়ে ইঁাটাইটি সইবে না।” রতন আর পূর্ণিমা গাড়ী পিছনে রেখে এগিয়ে চলল —বালির উপবে জুতে প'বে চলতে অস্থবিধে ব’লে শুধু-পায়ে। একটু পরেই একটা ধারাবাহিক অস্ফুট-গম্ভীর ধ্বনি শোনা গেল—সে ধ্বনি যেন আসছে বিশ্বের হৃৎপিণ্ডের ভিতর থেকে, শুনলে সৰ্ব্বাঙ্গ রোমাঞ্চিত হ’য়ে ওঠে ! পূর্ণিমা সবিস্ময়ে বললে, “ও কিসের শব্দ ?” —“মরুভূমির কান্না ।” —“মরুভূমির কান্না ?” — “হ্যা, কবির কানে তাই মনে হবে । কিন্তু আসলে ও হচ্ছে সমুদ্রের হাহাকার । তৃষাৰ্ত্ত মরুকে স্নিগ্ধ করবার চেষ্টা করছে সে যুগ যুগ ধ’রে, কিন্তু পারছে না ব’লে অশ্রান্ত হাহাকারে ফেটে পড়ছে! এই হাহাকারের ভিতর দিয়েই আমাদের কণারকের শিল্প-স্মৃতিসমাধি দেখতে যেতে হবে ।” আশে-পাশে বালিয়াড়ির পর বালিয়াড়ি, আলোআঁধারির রহস্য গায়ে মেথে চুপ ক’রে দাড়িয়ে আছে, যেন সৃষ্টির প্রথম দিন থেকে, তাদের পায়ের তলা দিয়ে কালের আদখা স্রোত বয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সেদিকে যেন কারুরই কোন খেয়াল নেই ! পূর্ণিমা বললে, “উ, চারিদিক্ কি নির্জন ! এ নির্জনতা যেন হাত দিয়ে অনুভব করা যায় !” রতন বললে, “আমরা যেন পৃথিবীর সেই প্রথম রাত্রে ফিরে গেছি, যেদিন বিশ্বের মধ্যে একাকী ব’সে প্রকৃতি ধ্যানস্থ হ’য়ে থাকৃত । মাথার উপরে ঐ অনন্ত আকাশ, সাম্নে অনন্ত রঙ্গনী, চারিদিকে অনন্ত মরুভূমি আর ওদিকে অনন্ত সাগর, অনন্তের এই মহোৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা যেন চলেছি—”