পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইয়া সংখ্যা J. সংসদের কাজ চালাইতেছেন। সকলের বড় অভাব অর্থের অনটন । সংসদে এখন বার তের জন মহিলা র্তাত চালানো, চরকা কাটা, সূচিশিল্প, দরজির কাজ, কাটার কাজ, প্রভৃতির উৎকৃষ্ট নমুনা দেখাইতেছেন। আমরা ইহাদের কাজুের নমুনা দেখিয়াছি। জিনিষগুলি বাজারে বিক্রয় করিবার মত হইয়াছে। সংসদ একটি উচ্চ আদর্শ লইয়া প্রতিষ্ঠিত, জনসাধারণের দৃষ্টি এদিকে আর-একটু পড়া উচিত। যাহার সাহায্য করিতে চান, র্তাহারা শ্ৰীমতী হেমপ্রভা মজুমদারকে, ৭৯ পটলডাঙ্গা ষ্টুটু, কলিকাতা, এই ঠিকানায় পত্র লিখিবেন। জগতের আশার কথা আধুনিক বালকবালিকাদের মনে যে একটি সেবাম ভাব জাগিয়া উঠিতেছে, তাহ পরস্পর দলনে নিযুক্ত জাতিগুলির মধ্যে ভালবাসা ও পরসেবার ভাব জাগাইয়া তুলিবে এবং ফলে জগতের মুখস্বপ্ন সত্যে পরিণত হইয়। জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হইবে । এই বিষয়ে আমেরিকার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার পত্র একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়াছেন। তাহার কিয়দংশের অনুবাদ নীচে দিলাম। আজিকার দিনে জগতে যে একটি নুতন আশার উদয় হইয়াছে, মানাদেশের বালকবালিকাবাই সেটিকে বচাইয়। রাথিতেছে । জগৎ সেই দিনের অাশাপথ চাহিয়া আছে, যেদিন সমস্ত বিশ্বে শান্তি বিরাজ করিলে, এক জাতি আর-এক জাতিকে ভয় ও ঘুণী কবিতে ভুলিয়া গিয়া পরস্পরকে ভ্রাতৃস্নেহে পাধিয়া একত্রে বাস করিবে । অtশ্চর্য যে এই বিশ্বব্যাপী শাস্তির অtশ। বিগত বিশ্বসংগ্রামের সংক্রান্ত নানা ঘটনা হইতেও উদিত হইয়াছে। সেই-সব বিগত উৎকণ্ঠীর দিনে যখন সকলেই বীর সেনানীদের কোনো প্রকারে সাহায্য ও সুখ দিবার জন্য যথাশক্তি থাটিতে ব্যগ্র হইয়া থাকিত, তথন আমেরিকার বিদ্যালয়ের নবীন প্রাণগুলিও সাহায্য করিবার অনুমতি চাহিল। তাহদের 'রেড ক্রসের সেবক-সম্প্রদায়ে ভৰ্ত্তি করিয়া লইয়া জুনিয়ার আমেরিকান রেড ক্রস নাম দেওয়া হইল। যুদ্ধের অবসানে দেখা গেল, ইউরোপে প্রায় প্রত্যেক দেশে হাজার হাজার শিশু গৃহহাব নিবন্ন ও জীর্ণবাস হইয়া ঘুরিতেছে ; মহাদেব বা গৃহ আছে তাহদের মুখে হাসি কণ্ঠে কলোচ্ছসি নাই, খেলাধুলা ভুলিয়া শিশুজীবনের সকল আনন্দে বঞ্চিত হইয় তাহীর দিন কাটাইতেছে। জুনিয়ার রেড ক্রসেব সভ্যেরা দেখিল যুদ্ধক্ষেত্রের কাজ শেষ হইয়া গেলেও এ ক্ষেত্রে তাহীদের জন্য কাজ পড়িয়া আছে ; তাহীদের নবীন প্রাণ সে কাজের ডাকে তখনি সাড়া দিল । সেই সময়েই দেখা গেল যে দেশে ও হাসপাতালে পীড়িত সৈন্য, ঘরে ঘরে অভাবগ্ৰস্ত শিশু ও রোগী প্রভৃতির সেবাব কাজ পড়িয়া আছে। এত কাজ থাকিতে কেবল যুদ্ধাবসানের খাতিরে জুনিয়ার রেড ক্রসের দল বিবিধ প্রসঙ্গ—জগতের আশার কথা ASAMSAMAMAAA AAAA AAAA SAAAAA AAMAAA SAAAS AAAAA SAAAAA AAAA SAAA SS AASAA S SA SAS M MMAMAM MeS SSAS SSAS SSAS SSAS SMMA SeMAM AAAAA ২৬৯ ভাঙিয়া দেওয়া স্বপ্নেও ভাব চলে না। কাজেই তাহারা পূর্ণ উৎসাহে কাজ করিয়া চলিল। এখন আমেরিকার সম্মিলিত রাষ্ট্রমণ্ডলে প্রায় e,• • •,• • • বালক বালিক ৩০,• • • বিদ্যালয় হইতে দেশবিদেশের বন্ধুরূপে ধরে বাহিরে মুখশাস্তি আনিবার কাজে লাগিয়া অtছে । বিশ্বব্যাপী শাস্তিব সঙ্গে ইহার কি সম্পর্ক ভাবিয়া পাইতেছেন না ? বাকিটা পড়িলেই বুঝিবেন । ইউরোপের বালকবালিকাদের যখন বলা হইল যে আমেরিকার বালকবালিকাদের চেষ্টা ও স্বর্থত্যাগের ফলেই ৩tঙ্গর অন্ন বস্ত্র বিদ্যালয় পুস্তকাগার, খেলার মাঠ, খেলনা ও অন্তান্ত উপহার পাইতেছে, তপন বেলজিয়ম ফ্রান্স পোল্যাণ্ড চেকোস্লোভাকিয় এবং বঞ্চন দেশসমূহের ছেলেমেয়ের সমুদ্রপারের তরুণ বন্ধুদের সঙ্গদয়তায় খুনী হইয় কেবল যে ধন্যবাদ দিয়া চিঠি লিখিয়াই ক্ষস্তি হইল তাহ নয় ; তাহীর বন্ধুদের যৎসামান্য উপহার দিতে ব্যস্ত হইয়া উঠিল । শুধু ইহাতে তাহীদের মন উঠিল না । তাহারাও একটা জুনিয়ার বেড় ক্রসের দল গড়িবার জন্য গোলমাল বাধাইয় দিল। তাহদের অপেক্ষ দুঃখীও ত আছে ; এই অতিঅভাগীদের সেবা তাইlর করিবে । অমেবিকার অদশ অনুসরণ করিয়া শুড়বোপে ২৩টি দেশের বালকবালিকাবা একটি রেড ক্রসূ সম্প্রদায় গড়িয়া তুলিয়াছে । ইহাদেব পতাকাখ, “আমি সেবক", এই মন্ত্র লিখিত আছে । এইরূপে গত দুই বৎসরের মধ্যে এমন একটি জগৎ-জোড়া শিশু-সঙ্ঘ গড়িয়া উঠিয়ছে যাহার সুযোগ পাইলেই সেবা করিতে অগ্রসর হইয় অjসে । আমেরিক ও ইউরোপের জুমিয়ারের পরস্পরের সহিত চিঠিপত্র, পুস্তক ও উপহার আদান-প্রদানের ফলে পরস্পবের সহিত পরিচিত হইয়৷ উঠতেছে এবং উভয় দলের মধ্যে একটি স্থায়ী বন্ধুত্বের বন্ধন নিবিড় হইয়। উঠিতেছে । এই শিশুবা যপন পৰ্ণবয়স্ক নরনারী হইয়া উঠিবে, তখন তাহার! জানিবে সে অন্ত দেশেল নলনীবীরাও তাহদের স্বদেশ স্বাধীনতা গৃহ ও প্রাণকে তাহদের মত ভালবাসে । বাল্যকালে বিদেশী বালবন্ধুদেব সঙ্গে পত্র ও উপহার বিনিময়েব কথা মনে করিয়া তখনকার দিন হইতে অক্সিত সনের মিলেব উপব নিভর করিয়া সমুদয় যুদ্ধবিগ্রহ ও দুঃখদুর্গতির মূল ভয় ঘৃণা হিংস ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে তাহারা মনের দুয়াবের ত্রিসীমানায় ঢুকিতে দিবে না। নিজ নিজ দেশেব ও জাতির গৌরবে গৌরবাশ্বিত হইয়। ইহার শাস্তিতে বাস করিবে কিন্তু অপর দেশ ও জাতিব মধ্যেও যে শ্রদ্ধা কলিলার এবং ভালবাসিবার জিনিব আছে তাহ মনে রাখিলে । এই কথাই আলাবামাব একটি জুনিয়ার এইভাবে বলিয়ছে, “জুনিয়াব বেড়-এস্ আমাদিগকে স্বজাতি ও ভিন্নজাতিৰ বালকবালিকাদিগকে ভালবাসিতে ও তাহদের মন বুঝিতে সাহায্য করে । তাই মনে হয আমরা যখন বড় হইব তখন এখনকার মত জাতিতে জাতিতে এত বিরোধ আর থাকিবে না।” প্রায় এই কথাই হদুব অষ্ট্ৰীয়ার একটি জুনিয়ার এ দেশের শিশুদের নিকট পত্রে বলিয়াছে —“জাতিতে জাতিতে মিলন ঘটাইয়া দেওয়া যে নবীনেরই কাজ তাহা প্রমাণ হইয়া গিয়াচ্ছে । এই কারণেই জুনিয়ার রেড-ক্রসূ সম্প্রদায় গড়া হইয়াছিল। আমবা শুনিয়াছি যে অস্বাস্থ্য দেশেও এই কারণে সকল দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের স্বষ্টি করিবার ইচ্ছায় জুনিয়ার রেড-এস্ সম্প্রদায় গড় হইয়াছে। জাতিগত দ্বেষ যতক্ষণ মানুষের মনে আছে ততক্ষণ কোনে কনফারেন্সের অস্তজাতিক মিলন ঘটাইবার সাধ্য নাই। অতএব এস আমরা পরস্পবের লাতুত্ব স্বীকার করি ; সব বাধ৷ অতিক্রম করিয়া জুনিয়ার রেড-ক্রসেব ভিতর দিয়া আমাদের মিলম হউক। হউক না নানা বিভিন্ন ভাল, তবু একই গান দেশে দেশে সকলে গাহিতে কি আনন্দই না আমরা অমুভব করিব।”