পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] মিলাইয়৷ এই পথে অগ্রসর হইতে হইবে । নতুবা পল্লীবাসীর অবিশ্বাসের বাধা দূর করিয়া তাহীদের প্রকৃত আত্মীয় হওয়া সম্ভব হইবে না। এই বন্য- দুর্ভিক্ষ- ও লুণ্ঠন-পীড়িত, দেশে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কৃষিকার্য্যের উন্নতি করিতে পারিলে, সমবায় ব্যাঙ্ক, স্থাপন করিতে পারিলে, কৃষিজীবীকে নিজ অধিকারে বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন করিতে পারিলে, জল সরবরাহের স্থায়ী বন্দোবস্ত করিতে পারিলে, গ্রামের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য্যের উন্নতি করিতে পারিলে, গো-মহিমাদির যত্ব করিতে পারিলে, পল্লীবাসীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষুধারউপযোগী প্রকৃত খাদ্য যোগাইতে পারিলে, এবং সৰ্ব্বোপরি তাহীদের আত্মপ্রতিষ্ঠ ও আত্মনির্ভরশীল করিতে পারিলে পল্লীশ্ৰী যে শতগুণ বৰ্দ্ধিত হইবে তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু পল্লীর প্রাণ যাহার সেই বালক ও যুবকদেব মধ্যে সৰ্ব্বাগ্রে পল্লীগীতি জাগ দরকার ; নাগরিক জীবনের প্রতি প্রাণের টান অন্তক্ষণ পড়িয়া থাকিলে অজ্ঞ ও অসমর্থ পুরাতনপন্থী কৃষক ছাড়া সকলেই পল্লী ত্যাগ করিয়৷ আসিবে । সুতরাং পল্লীসংস্কার খববের কাগজের পৃষ্ঠার বাহিরে আর অগ্রসর হইবে না । কন্যা গুরুকুল স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ৮ই নভেম্বর দরিয়াগঞ্জে বালিকাদের গুরুকুলের দ্বারোদঘাটন করিয়াছেন । বালিকাদের শিক্ষার অভাব মোচন করিবার সকল প্রকার অনুষ্ঠানকেই আমরা সাদরে বরণ করি। আমরা আশা করি কন্যাগুরুকুল দুর্ভিক্ষপীড়িতের একমুষ্টি চাউলের মত কেবল মাত্র শিক্ষার ক্ষুধ নিবারণ করিয়াই তৃপ্ত হইবেন না ; বালিকাদের অন্তঃকরণের সকল সুপ্ত সৌন্দর্য্য জাগাইয়৷ তুলিয়া তাহাদের প্রকৃত নারীমহিমায় মণ্ডিত করিয়া দেশের শ্ৰীবৃদ্ধির সহায় হইবেন । 예 জাতীয় শিশু সপ্তাহ আগামী জানুয়ারি মাসে বড়লাট-পত্নী লেডি রেডিং ভারতবর্ষের নানা সহরে জাতীয় শিশু সপ্তাহ পালন বিবিধ প্রসঙ্গ—কথা ও কাজ SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS AAAAAS S AeS AeS AeSAASAASSAAAAAAS AAAASS AAAA S ২৭১ . করিতে উদ্যোগী হইয়াছেন। এই উপলক্ষে শিশু-প্রদর্শনী মাতৃমঙ্গল-বিষয়ক বক্তৃত। প্রভূতি হইবে । এদেশে শিশুমৃত্যুর হার ভয়াবহ রকম বেশী। বাংলাদেশে ১৯২১ সালে হাজারকরা ২১১'৪ শিশু বালক ও হাজারকরা ২০০৫ শিশু বালিকার মৃত্যু হইয়াছে। অর্থাং এক বৎসরের নিম্ন বয়স্ক প্রতি পাচটি শিশুর মধ্যে একটিরও বেশী মৃত্যু হইয়াছে। অথচ ১৯২৩ সালে ব্রিটিশ দ্বীপসমূহে জুলাই হইতে সেপ্টেম্বর মাসে হাজারকরা মাত্র ৫৭টি শিশুর মৃত্যু হইয়াছে। বাংলার মৃত্যুহারই যে শুধু ভয়াবহ তাহী নহে। যাহারা জীবন-সংগ্রামে কিছুদিনের জন্য টিকিয় থাকে, তাহারাও ক্ষীণজীবী, জড়বুদ্ধি, ভালমানুষ হইয়। কোনো প্রকারে জীবনের কয়েকট দিন কাটাইয়া যায়। শিশুর দেহমনের স্বাস্থ্য ও সৌন্দয্য বৃদ্ধি করিতে হইলে এবং ঘবে ঘরে শিশু মড়কের অবসান করিতে হইলে, মাতার দেহ ও মন শিশু-পালনের উপযোগী হওয়া সৰ্ব্বাগে প্রয়োজন । এই সৰ্ব্বপ্রধান উপকরণের অভাবই সে-দেশে ঘরে ঘরে বিবাজ করিতেছে সে-দেশে শিশুর কল্যাণ কামনা করা চলে, কিন্তু আশা করা শক্ত। তবু নিয়মিত আহার, যথেষ্ট পরিমাণ থাটি দুগ্ধ, পরিচ্ছন্নতা, মুক্তবায়ু, পৰ্য্যাপ্ত পরিচ্ছদ, খেলা ধূলা ও আনন্দের আয়োজন এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারিলে এই ক্ষীণপ্রাণ অপুষ্টদেহ শিশুদেরও জীবনের পথে কিছু দূর আগাইয়া দেওয়া যায়। কথা ও কাজ এখন দেশময় স্বদেশহিতৈষণার কথা খুব শুনা যাইতেছে ; কারণ, অনেক লোক বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য নিৰ্ব্বাচিত হইতে চান বলিয়া আকাশের চাদ ধরিয়৷ দিবার অঙ্গীকার করিতেছেন। বাংল। দেশের ও ভারতের চেহারা দেখিলে এবং বিদেশে আমাদের মান-মৰ্য্যাদার কথা স্মরণ করিলে কে বিশ্বাস করিবে, যে, দেশে এত হিতৈষী ও সেব ক ছিল ? র্যাহার নির্বাচিত হইবেন, তাহীদের বর্তমান কথায় ও ভবিষ্যৎ কাজে যেন মিল থাকে যাহার। নির্বাচিত