পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭২ হইবেন না, তাহার নির্বাচিত হইবেন না বলিয়াই দেশের উপর রাগ করিয়া যেন দেশহিতৈষণার কথাগুলা কাজে পরিণত করিতে বিরত না হন । ব্যবস্থাপক সভায় না গেলেও যে দেশহিত করা যায়, বরঞ্চ ইচ্ছা থাকিলে বেশী হিত করা যায়, তাহা বুঝা ও বুঝান খুব সহজ । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাক্ষেপ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ভারতবর্যের অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেশী ; কিন্তু ইহার কার্য্যক্ষেত্রও বৃহত্তম । কাজ ভাল করিয়া করিতে চইলে ভাল কৰ্ম্মী চাই । বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কৰ্ম্মী ইহার অধ্যাপকের । অধ্যাপকদিগকে উপযুক্ত বেতন দিতে না পরিলে তাহার অধিকতর বেতন যেখানে পাইবেন সেইখানে চলিয়া যান । ইহা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈর্ষ্যা, বা অভিযোগ, ব। আক্ষেপ, বা ক্রোধ, বা আক্রোশের একটি কারণ হইয়াছে। ভাল কোন অধ্যাপক অন্যত্র চলিয়া গেলে মনের এই ভাব নানা আকারে প্রকাশ পায় । অভিপ্রায় এই, যে, ভাল অধ্যাপকের স্বার্থত্যাগ করিয়া কলিকাতাতেই থাকুন । তাহারা তাহা লরিতে পারিলে নিশ্চয়ই মুখের বিষয়ই হয়। কিন্তু মাতু্য আর্থিক ক্ষতিস্বীকার যে-সব কারণে করে, তাহা কলিক্সত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান কি না, তাহা কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করিলে ভাল হয় । শিক্ষার, জ্ঞানের, চরিত্রের, ধৰ্ম্মনীতির, আপ্যাত্মিকতার উচ্চ আদর্শ কোথাও থাকিলে মান্তষ এইরূপ কোন-না-কোন আদর্শের জন্য স্বাথত্যাগ করে । গবেষণা ও জ্ঞান আহরণের অধিকতর বা অধিকতম সুযোগের জন্যও লোকে স্বার্থত্যাগ করে। কিন্তু বিদ্যাপীঠগুলির মধ্যে আদর্শ কিস্থা গবেষণাদির সুযোগ যদি সমান থাকে, তাহা হইলে বেতন যেখানে বেশী, মহিষ স্বভাবতঃ সেখানেই যায়। আবার, যদি কোন এক বিদ্যাপীঠে উচ্চ আদর্শ না থাকে, তাহা হইলে উচ্চ বেতনের আকর্ষণে অন্যত্র যাওয়াও স্বাভাবিক। যদি এমন হইত, যে, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কাহাকেও বেশী বেতন দিতে পারেন না, কিম্বা যদি ইহার বেতনের হারের পার্থক্য যোগ্যতার পার্থক্য অতুসারী হইত, তাহা হইলেও লোকে স্বাথত্যাগ করিত । প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩০ SS S SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS A S A S A S A S A S A S A S A S A { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড S AAAAA SAAAAA AAAA AAASA SSASAS SS SAAAASAASAA S SSSM AAAA AAAA AAAA SAASAASSAAAAA AAAA AAAA AAASS কিন্তু মনজোগান, তোযামদ, প্রভৃতি যেখানে অন্যতম যোগ্যতা বলিয়া কাৰ্য্যতঃ দেখা যায়, এবং যেখানে কেহ কেহ গৃঢ় কারণে বেশী বেতনও পায়, সেখানে স্বাৰ্থত্যাগের কথা উঠিতে পারে না । আমাদের বিবেচনায়, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাক্ষেত্র সীমাবদ্ধ করিয়াও যদি যোগ্যতম লোকদিগকে রাখা যাইত, তাহা হইলে তাহার দ্বারা দেশের প্রকৃত কল্যাণ হইত ; কাৰ্য্যক্ষেত্র সংকীর্ণতর না করিয়াও অধ্যাপক-সংখ্যা সহজেই কমান যায়, এবং বাকি অধ্যাপকদিগকে অন্য ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সমান বেতন দেওয়া যায়। কিন্তু অধ্যাপকসংখ্যা বাড়াইয়া আশ্রিত-পোষণ অতুগত-সমর্থকের সংখ্যা-বৃদ্ধির প্রবৃত্তি এরূপ প্রবল, যে, অনেকের প্রত্যাশিত বা প্রতিশ্রুত বেতন বৃদ্ধি হইতেছে না, কিন্তু নূতন অধ্যাপক নিয়োগ চলিতেছে—আর্থিক টানাটানি সত্ত্বেও চলিতেছে। মজার কথা এই, যে, ছাত্র কমিলেও অধ্যাপক বাড়ে ও ব্যয় বাড়ে। ১৯১৯-২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের ছাত্র ছিল ৮৮+ ৭৫ – ১৬৩ ( একশত তেষট্টি ) জন । ১৯২০-২১ সালে উহা কমিয়া হয় ৮২ + ৪৬ = ১২৮ ( এক শত আটাশ ) জন । ১৯১৯-২ - সালে সাইক্রিশ জন অধ্যাপক ছিল, পর বৎসর উহা বাড়িয়া আটত্রিশ হয় । ১৯১৯-২০ সালে অধ্যাপকদের মাসিক বেতন ছিল ৮৮২৫ টাকা ; ১৯২০-২১এ উহা বাড়িয়া ৯১৭৫ টাকা হয়। অর্থাৎ ১৯২০-২১ সালে ১২৮ জন ছাত্রকে ইতিহাস পড়াইবার জন্য একলক্ষ দশ হাজার এক শত টাকা খরচ হয় ! আমরা ঐতিহাসিক না হইলেও এইটুকু বুঝি, যে, শুধু এক বাংলা দেশেরই ইতিহাসের ভিন্ন ভিন্ন যুগের ইতিহাস সম্বন্ধে গবেষণা ও জ্ঞান দান করিবার জন্য এক শত অধ্যাপক নিয়োগ করা অসঙ্গত ন হইতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হইতেছে এই, যে, কতগুলি যোগ্য লোককে উপযুক্ত বেতন দিয়া কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিজের কার্য্যক্ষেত্রে বরাবর রাখিতে পারেন ? যখন দেখা যাইতেছে, যে, বিশ্ববিদ্যালয়, র্যাহারা অন্যত্র চলিয়া গেলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন, র্তাহাদিগকে যথেষ্ট বেতন দিতে পারেন না, তখন