পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిసిపీ রহিয়াছে। তপঃ, ব্রত, ঋত, সত্য প্রভৃতিরও প্রতিষ্ঠা সেই স্কম্ভই । যাহা কিছু স্বই, তাহা স্কম্ভেরই অঙ্গ এবং স্কন্তু কর্তৃক বিধৃত । খ। ‘সৎ এবং ‘অসৎ উভয়ই স্কম্ভে প্রতিষ্ঠিত। “অসং’ও স্বত্তের একটি অঙ্গ । গ। অগ্নি, স্বৰ্য্য, বায়ু প্রভৃতি দেবত। স্কম্ভে প্রতিষ্ঠিত । ঋষি ৩৩ জন দেবণর কথা বলিয়াছেন । ইহাদের সকলেরই জন্ম আছে। ইহারা স্কম্ভের অঙ্গ হইতে উৎপন্ন এবং স্কম্ভে প্রতিষ্ঠিত । ঘ। একটি মস্ত্রে বলা হইয়াছে স্কম্ভ ইন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত এবং ইন্দ্র স্কম্ভে প্রতিষ্ঠিত । ইহা দ্বারা ঋষি স্কম্ভ ও ইন্দ্রের একত্ব সংস্থাপন করিয়াছেন । “বৈদিক দেবগণের একত্ব’ নামক প্রবন্ধে এবিষয়ের আলোচন করা হইয়াছে । ঙ। কয়েকটি মস্ত্রে ব্রহ্মকে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বলা হইয়াছে, কিন্তু অধিকাংশ মন্ত্রেই উক্ত হইয়াছে যে স্কম্ভই সৰ্ব্বমূলা ধার। ইহাতে মনে হয় যে ঋষি স্কম্ভ ও ব্রহ্মের একত্ব স্বীকার করিতেন । কোন কোন মস্ত্রে বলা হইয়াছে যে ব্ৰহ্ম স্কম্ভেব অঙ্গ । ইহাতে অনুমান করিতে হয় যে ব্রহ্মের স্থান স্কম্ভের নিম্নে । কিন্তু স্কম্ভকে কখনই ব্ৰহ্ম অপেক্ষ নিম্নতর স্থান দেওয়া হয় নাই । “ব্রহ্মবাদের সুচনা” নামক প্রবন্ধে এ বিষয় আলোচিত হইয়াছে। চ। একটি মস্ত্রে ( ১৯৭৩৮ ) এক মহা যক্ষের কথা বলা হইয়াছে । আত্মাকে সাধারণতঃ যক্ষ বলা হইত । বৃক্ষে যেমন শাখাসমূহ আশ্রিত হইয়া থাকে, এই মহাযক্ষেও তেমনি দেবগণ আশ্রিত হইয়। রহিয়াছে । ইহাতে বল হইতেছে স্বস্থ আত্ম-রূপী । এস্থলে উপনিষদের আত্মতত্ত্বের বীজ প। ওয়! যাহতেছে । মন্তব্য স্বম্ভস্বত্ত বহুশত বৎসর পূপে রচিত হইয়াছিল । এই সময়ের সামাজিক রীতি, নীতি, ও ধৰ্ম্মবিশ্বাস কিপ্রকার ছিল, কিভাবে রাজ্য শাসিত হইত, প্রাকৃতিক দুখ, ঘটনা ও অবস্থা কিপ্রকার ছিল তাহা আমরা জানি না। অথচ এই-সমুদয় ঘটনা দ্বারাই প্রধানতঃ মানুষের জীবন গঠিত, চালিত ও অমুরঞ্জিত হইয় থাকে । প্রবাসী—পৌষ, లిరిe [ २७° उॉगं, २घ्न थe نصیری আমরা অন্য সময়ে অন্য প্রদেশে বাস করিতেছি ; সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রাকৃতিক অবস্থা পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে এবং আমাদিগের জীবন বিভিন্নভাবে গঠিত ও নিয়মিত হইতেছে। এ অবস্থায় ঋষিগণের প্রাণের অন্তস্তলে প্রবেশ করিয়া তাহাদিগের আকাঙ্ক্ষা এবং আদর্শ অমৃভব করা সহজ নহে। তবুও চিস্তা দ্বারা যতটুকু বুঝিতে পারিতেছি, তাহাতেই আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইয়া যাইতে হইতেছে । জগতে অনেক জাতি আছে, যাহারা একেশ্বরবাদী বলিয়া পরিচিত । কিন্তু কোন জাতির ধৰ্ম্মসাহিত্যেই স্কম্ভসুক্তের ন্যায় উচ্চ তত্ত্ব প্রকাশিত হয় নাই। ইহুদী খৃষ্টান ও মুসলমানদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্রে যে ঈশ্বরতত্ত্ব প্রচারিত হইয়াছে তাহা একশ্রেণীর “দেববাদ” । “বহুদেববাদ’ হইতে ইহাব পার্থক্য অতি সামান্য । বহুদেববাদে দেবতার সংখ্যা বহু ; একদেববাদে দেবতা একজন । কিন্তু এই ’একদেবতা’ বহুদেবতাদেরই অন্যতম দেবতা । প্রথমে সাধারণতঃ অন্যান্য দেবতাকে হীন করা হয়, তাহার পরে ইহাদিগকে অগ্রাহ করা হয়, এবং কোন কোন ধৰ্ম্মে ইহাদিগকে একেবারেই অস্বীকার করা হয়। এইপ্রকারে যখন কোন একদেবতা সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করে এবং সকলের কৰ্ত্ত ও অধিপতি হয়, তখনই লোকে তাহাকে ঈশ্বর বা একেশ্বর বলিয়া থাকে ( ‘বৈদিক একেশ্বরবাদ’—প্রবাসী, জ্যৈষ্ঠ, দ্রষ্টব্য ) । খৃষ্টানদিগের পুরাতন বাইবেলেও এইরূপে একদেববাদ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। প্রথমে সকলেই বহু দেবতার অস্তিত্ব স্বীকার করিত ; তাহার পরে অপরাপর দেবতাকে আগ্রাহ করিয়া ‘জিহোভা’কে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ আসনে প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছিল । অপর দেবতা যে ছিল না তাহা নহে । জিহোভা নিজেই ইহাদিগের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়া গিয়াছেন ; তবে তিনি এই আদেশ প্রচার করিয়াছিলেন যে তাহাদিগকে কেহ পূজা করিতে পরিবে না। জিহোভার অঙ্কুবর্তিগণ এইরূপে আপনার দেবতাগণকে তুচ্ছ ও জঘন্য জ্ঞান বরিয়া পরিত্যাগ করিয়াছিল । এষ্টরূপে ইহুদী জাতির মধ্যে একদেববাদের গৃষ্টি হইয়াছিল। এই স্বষ্টির ক্রম এই : ১৩৩০,