পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిసెతి AASAASAASAASAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA S SAAA AAAA AAAA AAAASA প্রচারের জন্ত সরস্বতীর বরভিক্ষা করিয়াছেন। সমস্ত কৃষ্ণলীলাকে তাহারা এমন একটি আস্তরাশ্রশ্ন ত মিলনবিরহের ছাচে ঢালিয়াছেন যে স্বৰ্গকাম চিত্তও সে গান उनिद्रा शृंtश्ब्र खछ छेथूथ श्ब्र । कdौनांन ७ीय६ अक्षांउনামা বাউল কবিদের কয়েকটি mystic গান এবং পল্পীকবিগণের স্থানীয় গাথা ( ballad ) ছাড়িয়া দিলে সমস্ত প্রাচীন বাঙ্গালা সাহিত্য এই ঘরোয় কথায় ভরা, বাঙ্গালীর সংসার-চিত্র তাহাদের সাহিত্যে কল্পনার উজ্জলালোকে দেদীপ্যমান। সেখানে রাজপুত-সাহিত্যের চারণের গান নাই, মারাঠা-সাহিত্যের নিপুণ যুদ্ধগাথা নাই, তামিল কবিগণের ভজন নাই, জীবনের দূরাগত অনন্ত-সমুদ্র-কল্লোল নাই। এই গৃহোপাসক, সৌন্দৰ্য্যলিঙ্গ, ভাবপ্রবণ জাতির মধ্যে যখন সহসা উনবিংশ শতাব্দীর আলোড়ন আরম্ভ হইল, তখন অতি অল্প সময়ের ভিতরে একটা প্রকাও পরিবর্তন ঘটিয়া গেল। এত অল্প সময়ের ভিতরে এতবড় পরিবর্তন আর কোন জাতির ইতিহাসে ঘটিয়াছে কিনা জানি না । বোধ হয় সমস্ত জাতির মন একটা পরিবৰ্ত্তনের জন্ত উন্মুখ হইয়া ছিল বলিয়াই এই পরিবর্তন এত সহজে ঘটিতে পারিয়াছিল। ভারতবর্ষের আর কোন প্রদেশেও বিদেশীয়-সংঘাত-জনিত এই পরিবর্তন এত শীঘ্র সংঘটিত হয় নাই। ভারতচন্দ্র, রামপ্রসাদ, জয়রাম প্রভৃতি হইতে ঈশ্বর গুপ্ত বেশী দুরের কথা নয়। কিন্তু তাহার মধ্যেই কেমন পরিষ্কার একটা ভেদ সুচিত হইয়াছে। কি কি নিগৃঢ় কারণে এই পরিবর্তন ঘটল ঐতিহাসিক তাহার বিচার করিবেন, সাহিত্যে তাহার যে ফল ফলিয়াছে আমরা শুধু তাহারই সহিত সংশ্লিষ্ট । মৃতন প্রবর্তিত বিদেশীয় শিক্ষা ও পুরাতন সমাজের সংঘর্ষে দেখিতে দেখিতে আমাদের জাতিত্বের উচ্ছেদ হইল। দেশের অন্তঃস্থিত একটি নিবিড় জমাট মনের সাড়া বন্ধ হইয়া গেল। ব্যক্তিগত চিস্ত ও স্ব স্ব জীবনের পারিপার্থিক বিকাশের মধ্য দিয়াই সাহিত্য রচিত হইতে আরম্ভ হইল। এই পরিবর্তন যে ৩•৷৪০ বৎসরের মধ্যেই ঘটিয়া গেল, তাহা এতদিন আমরা ভাল করিয়া ধরিতে পারি নাই, কারণ তখনও সে আলোড়ন হইতে প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩• [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড . --സസ് -്.സസ്സറുസ്സസ്.സ് ത് همه محصصی حجیمیایی محصیه আমরা বাহিরে আসিতে পারি নাই। আজ কিঞ্চিৎ দূরে আসিয়া এই অকস্মাৎ পরিবর্তন বিশেষরূপেই চোখে পড়িতেছে । এই যুগের প্রধান কবি ঈশ্বর গুপ্তই বঙ্কিমচন্দ্রকে সাহিতোর হাতে-খড়ি দিয়াছিলেন। এই ঈশ্বর গুপ্তের লেখা পৰ্য্যালোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাই, তাহার সমস্ত রস-রচনা, ভক্তির গান,—সমস্তেরই অস্তরে হয় ব্যঙ্গ, না হয় শ্লেষ। কিন্তু ঈশ্বর গুপ্তের লেখা এত ব্যঙ্গপ্রধান কেন ? যে কারণে মধ্যবর্তী যুগে রোমে জুভেনাল, পাসাঁউস প্রভৃতি লেখকের আবির্ভাব, যে কারণে অষ্টাদশ শতাব্দীর ইংরেজী সাহিত্যে ( Satire ) ব্যঙ্গরচনার প্রাধান্ত, ঠিক সেই কারণেই ঈশ্বর গুপ্তও ব্যঙ্গপ্রধান । জাতির মনের একটা স্থিতি ছিল না, দু’এর মাঝখানে তাহা দুলিতেছিল। একধারে অপরিণত অবোঝা পশ্চিমের ভাব, আর-একদিকে ধ্বংসাবশিষ্ট দেশের মনের ভাব। উভয়ই র্তাহার কাছে সমান ব্যঙ্গের বিষয়, কারণ, কোনটাই তাহার কাছে কোন কাজের নয়। - দুর্গোৎসবও র্তাহার কাছে ব্যঙ্গের বিষয়, বড়দিনও তাহার কাছে ব্যঙ্গের বিষয়। যেখানে তিনি নিতান্ত ভাবগাম্ভীর্ষ্যে টলটল করিতেছেন সেখানেও ভিতরে ভিতরে একটা ‘Devil who cares' o-'zātū-caë-esq facsa কবিতাতেই তিনি তাহ ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন । বাঙ্গালীয় তখন স্থায়ী গৌরবান্বিত সাহিত্যের অভাব হইয়াছিল। ঈশ্বর বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রতিভাশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কবিতার এই খিচুড়ী হইতে । দেশকে পরিত্রাণ করিবার উপায় উদ্ভাবন করিলেন,কুসঙ্গত, পরিষ্কার গষ্ঠের ভাষা স্বষ্টি করিয়া। কিন্তু ভাষা হষ্টি করিতেই তাহার সময় চলিয়া গেল, বিষয় তিনি আর দিয়া যাইতে পারিলেন না। আলেয়ার আলোর মত নিজের জীবন জালাইয়া মধুসূদন যে বাণীর আরতি করিলেন, তাহীতে লোকে তাহার দিকে আকৃষ্ট না হইয়া র্তাহার কবিগুরুগণের দিকেই অধিক আকৃষ্ট হইতে লাগিল। তাহার কবিতার আলোকে তাহারা মিলটন দাস্তে-হোমারকে চিনিয়া লইল । তাহার দ্বীপ জলিয়াই নিবিয়া গেল। তখনকার সাহিত্য-কাননের