পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] AM AeM AAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAAMAMA AMMAMAA AAAA AAAA SAAAAeMAeMAeMM MSMS অতীতের জীবন কল্পনা করিয়া তাহাকে নানাভাবে সাজাইয়াছিলেন । ইহা যে প্রকৃত জীবনের উচ্ছাস নয় তাহার প্রমাণ ইহু। কখন অন্তমুখী হয় নাই । চিত্রের মত তাহা সুন্দর হইয়াছিল, কিন্তু জীবনের মত নিবিড় রসোৎসারী * হয় নাই । তাই আমরা দেখিতে পাই বঙ্কিমচন্দ্রের স্বল্প চরিত্ররাজি দেশকালহীন মানবাত্মার পদবী ত লাভ করিতেই পারে নাই, কোন কোন স্থলে সাধারণ মানব-মানবীর পদও পায় নাই ; যেমন "চন্দ্রশেখরে প্রতাপ ও শৈবলিনী, কপালকুণ্ডলীয়' স্বয়ং নায়িকা, ‘সীতারামে রূপসী সন্ন্যাসিনী শ্রী । কেবল অনির্দেশু কোন গল্পলোকের উচ্চতম স্তরে বসিয়া দেখিলে তাহার। পামাণের কারুকার্য্যের মত সুন্দর দেখায়,আপাতদৃষ্টিতে জীবন্ত বলিয। ভ্রমও হয়, পবন্ধ স্থিৰ ভাবে দেখিলে শিল্পীর কুতিত্বের পরিচয় দেয় মাত্রী কিন্তু জীবনের উত্তাপের অভাব পরিলক্ষিত হয় । কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যস্থষ্টি শুধু উপন্যাস-রচনাতেই পর্যবসিত হয় নাই। শুধু তাছা হইলে, তাহার স্থান আমাদের জাতির জীবনে এত উচ্চে ইষ্টত কি না সন্দেহ । আমরা বলিয়াছি, তfহfর প্রতিভার বিশেষত্ব তাহার সৰ্ব্বতোমুখিত। তিনি সেমন রস-সাহিত্যে ইউৰোপীয় রোমাণ্টিকু মুভমেণ্টেব প্রবর্তন কবিয়াছিলেন, তেমনি ধৰ্ম্ম-ও সমাজ-তত্ত্বালোচনার ভিতব দিয়া তিনি ইউরোপীয় চিন্তাধারা ও সমাজ-তথ্যের বহু সমস্ত আমাদের জীবনের মাঝখানে আনিয়া ফেলিয়াছিলেন । র্তাহার বিরামহীন চিন্তারাশি দেশের জীবনধারাকে বহুদিকে বহুভাবে বিস্তৃত করিবার চেষ্টা করিতেছিল। “বঙ্গদর্শন’ প্রতিষ্ঠার পর তিনি যেভাবে উচ্চ, নীচ, শিক্ষিত, মূখ সকলের জীবনের সহিত সম্বন্ধ রাখিয়া সাহিতা-ক্ষেত্রে শুধু লেখনীসহায়ে নূতন নুতন মত ও নূতন নূতন চিন্তা দেশেব মধ্যে প্রচার করিতেছিলেন, তাহাতে তাহাকে সত্যই তখনকার দিনের অদ্বিতীয় প্রতিদ্বন্দ্রীহীন সাহিত্য-সম্রাটু বলিলে অত্যুক্তি হইবে না। তাহার আকাজ ছিল, বাঙ্গালীকে এবং তাহাদের সহিত ভারতবাসীকে বৰ্ত্তমান জগতের উপযোগী করা । সাহিত্যকে যেমন তিনি স্থায়ী আকার দান করিয়া পরে নূতন নূতন প্রতিভাশালী লেখকেব তাত তে বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ ২৯৭ AJJJJJMAMAMAMMMMSMMMMSMMMMMSMMMMAMMMS অভু্যদয়ের সুবিধা করিয়া দিয়াছিলেন, ধীৰে ধীবে যেমন একটি নূতন সাহিত্যের ধারা প্রবর্তিত করিয়াছিলেন, তেমনই জাতীয় জীবনকেও তিনি স্থায়ী ও নুতনভাবে গঠিত করিতে চাঙ্গিয়াছিলেন । তাহার চেষ্টায়ু সাহিত্যের সে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ সার্থকত। তাহাই ঘটিয়াছিল, সাহিত্য যেমন একধাবে জাতির জীবনাদশে গঠিত হইতেছিল, তেমনি জীবনও সাহিত্যের নূতন নুতন আদর্শে সঞ্জীবিত অনুপ্রাণিত হইয়া উঠিতেছিল । সাহিত ও জীবনের এই reaction পরস্পরাপেক্ষিত। বঙ্কিমচন্দ্রেব প্রতিভার, তাহার ক্ষমতার একটি শ্রেষ্ঠ নিদশন। রামমোহন রায়েব মত যদিও তিনি সমাজ- বা নামেন নাই, তথাপি ধৰ্ম্মমল-গঠনে তখনকার ধৰ্ম্ম-সংস্ক বকরূপে কার্য্যক্ষেত্রে পাশ্চাত্যশিক্ষিত বাঙ্গালীব দিনে তাহার প্রভাব বড় কম ছিল না । কৃষ্ণচরিত্র এবং ধৰ্ম্মতত্ত্ব বা অনুশীলনতত্ত্ব নাম দিয় তিনি ধারাবাহিকভাবে যে সমাজ-গঠন ও অদশনরনারী-চবিত্র-গঠনের সম্বন্ধে প্রবন্ধাবলী লিপিয়াছিলেন, তাহা সেকালে অনেকেরই চক্ষে সমাজ- ও ধৰ্ম্মমত-গঠন সম্বন্ধে একেবাবে নূতন পথ নির্দেশ করিয়াছিল। আজ কালের ব্যবধানে আমরা তাহার বহু খুত, বহু অসম্পূর্ণভা দেখিতে পাইতেছি । কিন্তু তখনকাব লোকে তাহাকেই জীবনের নূতন আলোক ভাবিয়া অনুসরণ করিয়াছিল। প্রকৃতপক্ষে বঙ্কিমচন্দ্র সমাজ- বা ধৰ্ম্মমত-গঠন সম্বন্ধে কোন নূতন কথাই বলেন নাই । ১৮৮ খৃষ্টাব্দ এবং তৎকালবৰ্ত্তী সময়ে ইউবোপে কালচার-বাদ লইয়৷ মহাপুম পড়িয়া গিয়াছিল। একধারে কয়েকজন জাৰ্ম্মান পণ্ডিত, অন্যধাবে পজিটিভিষ্টবেদের প্রধান ঋষি অগুস্ত, র্কং মানুষের সূৰ্ব্বাঙ্গীণ পরিণতির উপায় আবিষ্কারের চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন। ইংলণ্ডে ও এই আলোচনার সাড়। পড়িয়া গিয়াছিল এবং ম্যাথ আরনল্ড-প্রমুখ বহু মনীষী ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে ইহার সমাধান-চেষ্টা করিতেছিলেন । জাতিত্বের উচ্ছেদে আমাদের দেশে মচুৰ্য্যত্ব তখন সত্যই বড় সঙ্কটাপন্ন হইয়া আসিয়াছিল। দু'পায়ে ভর দিয়া দাড়াইবার একটা আইডিয়া-বা মনোবৃত্তিবিকাশের আশ্রয় ছিল না। এই সমযে বঙ্কিমচন্দ্রেব