পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯৮ MAeAAAS AAAASS AAAA S eMS AASAASAA AAAS AAAAA SAM MAAA S গম্ভীর হৃদয়ে মনুষ্যত্বের পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রশ্ন উখিত হইল। এই কালচার-বাদ সেই সময়ে উাহাকে পাইয়া বসিল । তিনি এই উপলক্ষে কতক আমাদের প্রাচীন দর্শনের তথ্যগুলিকে ঘাটাঘাটি করিয়া, কতক হাৰ্ব্বার্টস্পেনসার প্রমুখ ইংরেজ দার্শনিকগণের মত বিচার করিয়া, পজেটিভিজম ও সাংখ্যের এক খিচুড়ি তৈয়ার করিয়া অনুশীলন-তত্ত্ব বা ধৰ্ম্মতত্ত্ব নাম দিয়া বাহির করিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র যাহাতে ভুলিয়ছিলেন, এখন আমরা তাহা বেশ বুঝিতে পারিতেছি । গীতার নিষ্কাম ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্ম এবং অনুশীলন-তত্ত্বের কালগর (ইহা যে প্রকৃত পক্ষে কালচার-বাদই, যদিও তাহাতে দর্শনের ছোপ লাগান হইয়াছে, তাহার প্রমাণ তিনি কালচার কথাটি এড়াইবার বহু চেষ্টা করিয়াও এড়াইতে পারেন নাই, শেষে তাহাকে ইংরেজি অক্ষরে কালচার কথাটাই বসাইতে হইয়াছে ) যে একই জিনিষ ইহাই তাহার ধারণা হইয়াছিল । স্বতরাং তাহার মতে আদর্শচরিত্র কৃষ্ণের জীবনে যাহ। সফল হইয়াছিল, তাহ আদর্শান্বেষী মানুষের সম্মুখে স্থাপিত করিলে তাহ দ্বারাই তাহারাও সফলতা লাভ করিতে পরিবে । তিনি ভুলিয়া গিয়াছিলেন মানুষের স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের কথ। । মাহুষ যে কলের পুত্তলীর মত আদর্শাকুসারে সফলতা লাভ করিতে পারে না ইহা তিনি একেবারেই ভাবেন নাই। ইহা দ্বারা সার্থকতা আসিতে পারে না এমন কথা নয়, কিন্তু ইহার বাহিরেও যে সার্থকতা আছে সে কথা ভুলিলে চলিবে না । কিন্তু সে সময়কার নানারূপ বিশৃঙ্খল চিন্তাধারার মধ্যে ক্ষণেকের জন্য ইহা একটি উচ্চ ও সরল অাদর্শ স্থাপন করিয়াছিল, এ কথা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। এই উপায়েই তিনি তখনকার মত জাতির অতীত চেষ্টার সহিত বর্তমান চেষ্টাকে বাধিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । র্তাহার যাহা আন্তরিক ইচ্ছা ছিল, অর্থাৎ বর্তমান বাঙ্গালীজগতিকে তথ। ভারতবাসী জনসাধারণকে বর্তমান যুগের উপযোগী করা, তাহারই পোষকতা করিবার জন্য তিনি কৃষ্ণচরিত্র ও অতুশীলনতত্ত্ব রচনা এবং প্রচার করেন। তিনিই একরকম বলিতে গেলে বর্তমান বাঙ্গালায় আধুনিকতা বা modernismএর প্রথম প্রবর্তক। প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩০ میبه سیر تا حم. م-معدم ہیے ہو۔--ی. ---- تمہ؟-میر SAeM SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSMMM SMMS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS محمای سه حجم هم-جه [ २७* छांगं, २झ १७ রবীন্দ্রনাথ এবিষয়ে তাহার পূরকমাত্র, যদিও বঙ্কিমচন্দ্রের অসম্ভাবিত পথে তিনি এই জাতির হৃদয়কে বিশ্বজনের পথে মিলাইয়াছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের সমস্ত লেখার ভাবেই আমরা তাহার এই আধুনিকতা-প্রবর্তনের চেষ্টা দেখিতে পাই । তিনি র্তাহার উপন্যাস গ্রন্থে যে জাতির অতীতচরিত্র আলোচনা করিয়াছিলেন, সে শুধু গল্পের প্লট বা আখ্যায়িকাভাগের সঙ্কলন জন্য মাত্র নহে । প্রাচীনের যে আভা নূতনকে উজ্জল করে, তাহাকে শুধু ছায়ায় ঢাকিয়া রাখে না, সেই প্রাচীনতাকে তিনি উজ্জীবিত করিয়াছিলেন নূতনকে গৌরবান্বিত করিবার জন্য । তাহার কয়েকখানি উপন্যাস পড়িলে বেশ বুঝিতে পারা যায় অতীতের ভিতর দিয়া তাহার চক্ষু পড়িয়াছিল দূর ভবিষ্যতের দিকে, বৰ্ত্তমান যেখানে সম্পূর্ণ পরিণতি লাভ করিবে । জাতির নবজাগরণস্বচক যে ‘বন্দেমাতরং’ ধ্বনি উযীর বিহগকাকলীর মত তাহার কণ্ঠে জাগিয়াই মিলাইয়া গিয়াছিল, আজ যদিও তাহা কয়েক সহস্ৰ লোকের অলসতার আবরণমাত্ররূপে পৰ্য্যবসিত হইয়াছে, তথাপি তাহার অন্তনিহিত শক্তি অন্তহিত হয় নাই। কোন শুভ মুহূৰ্ত্তে তাহা লক্ষকণ্ঠে মঙ্গলধ্বনিরূপে আবার বাজিয়া উঠিতে পারে। রবীন্দ্রনাথকে আমি বঙ্কিমচন্দ্রের পূরক এবং সাহিত্য-সাম্রাজ্যে তাহার উত্তরাধিকারী বলিয়। ধরিয়াছি। কিন্তু ইহা বলিলে রবীন্দ্রনাথকে ঠিক বুঝান যায় না। রবীন্দ্রনাথ যদিও এখনও লিখিতেছেন, কিন্তু তাহার কাজ প্রায় শেষ হইয়াছে। নূতন পথ আর তিনি দেখাইতেছেন না। এখন তfহার কাজের বিচার করিলে বোধ হয় অন্যায় হইবে না। বঙ্কিমচন্দ্র প্রধানতঃ তাৎকালিক ইউরোপ হইতে উপকরণ-সকল সংগ্ৰহ করিয়া স্বদেশীয় সাহিত্যে বিন্যস্ত করিয়া তাহাকে বর্তমানসময়োপযোগী করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । রবীন্দ্রনাথ যুগধৰ্ম্মের অন্তরালে যে বিশ্বমনের খেলা চলিতেছে তাহার সহিত আপনার যোগ স্থাপন করিয়া তাঁহারই বিকাশ দেখাইয়াছেন স্বরচিত সাহিত্য- এবং সমাজতত্ত্বআলোচনায় । বঙ্কিমচন্দ্র যেখানে স্বদেশীয় সাহিত্য সমাজ ও ধৰ্ম্মমত গঠনের প্রয়াসে সমস্ত শক্তি বায় করিম।