পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ) । ു.ബ് സ്റ് സ് গিয়াছেন, রবীন্দ্রনাথ সেখানে আরও উৰ্দ্ধে, আরও আগে চলিয়া গিয়াছেন এবং বিশ্বসাহিত্যরাজ্যে বঙ্গভাষার ও সাহিত্যের স্থান করিয়া দিয়াছেন। এ শুধু বৃথা গৰ্ব্বের, parochial pride ql cq"-afritą pod H(z, §zi zil নির্দেশ করিলে রবীন্দ্রনাথের কৃতকৰ্ম্মের ফল বিচার করা সম্ভব হইবে না। তবে, তাহার সমস্ত কাজের বিস্তৃত আলোচনাও এখানে সম্ভব নহে। বঙ্কিমচন্দ্রের লেখায় -যমন ইউরোপের পঞ্চাশ বৎসর আগেকার রোমাটিক মুভমেণ্ট প্রথম বাঙ্গল দেশে আসিয়া নুতন রস ও কলাসৌন্দয্যের হুষ্টি করিয়াছিল, তেমনি পরবর্তী যুগের $ētāstotą Neo-Romanticism, Naturalism, sm pressionism to Symbolismo প্রভাবে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যসৃষ্টিগুলি জন্মলাভ করিয়াছিল । কিন্তু এ কথা বলিলৈ রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার কিছুমাত্র নিন্দ নাই, কারণ পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, ইউরোপের নূতন নূতন প্রবর্ধিত চিন্তা ও সৌন্দর্য্যরসধারায় বিশ্বমনের যে খেলা চলিতেছিল তাহা হইতে তিনি পিছাইয়া যান মাই, বরং আরও আগাইয়া গিয়াছেন । র্তাহার সৌন্দৰ্য্য-প্রবুদ্ধ মন ইউরোপীয় কবি ও সাহিত্যিকগণের অনন্তভূত অনেক পথেও সৌন্দৰ্য্য ও রস আহরণ করিয়াছে । তিনি শুধু Naturalismএর শুষ্ক উষরতীয় পথ হারান নাই, photographic truth 2:#f5ą gąg z + (aiz NCHI মানবের চিরন্তন সৌন্দৰ্য্যপ্রকাশ-চেষ্টা বিসর্জন দেন নাই । যখন তিনি জীবনের কোন খুঁটিনাটি লইয় নড়াচাড়া করিয়াছেন, তখন র্তাহার চোখ পড়িয়াছে তাহার অন্তর্নিহিত রসে । হাউপৃঢ়মানের মত তিনি শুধু জীবনের কাঠাম মাপিয়াই ছাড়িয়া দেন নাই । তাহার রসও অতুভব করিয়াছেন । তিনি NeoRomanticism qi Impressionismo Wifoil গা ভাসাইয়া জীবনের স্বতঃস্থদের অভিব্যক্তি ভুলিয়া যান নাই। তাহাকে জীবনের অপেক্ষা অধিক স্বন্দর করিতে গিয়া অপ্রকৃত ছায়াময় জীবন গড়িয়া তুলেন নাই। তিনি আপনার হদয়-নির্দিষ্ট পথে সৌন্দর্ঘ্যের তীর্থযাত্রা করিয়াছেন, কেবল মাঝে মাঝে দূরাগত লোকাস্তরের বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ ఇన్న আলো তাহারও পথে আসিয়া পড়িয়াছে। শুধু একটি পথে কখনও তিনি আপনাকে বাধিয়া রাখেন নাই । বঙ্কিমচন্দ্রের লেখায় আমরা দেখিতে পাই, তিনি *ș*ae objective world al Kfz:2;fv Eifşi বিশ্বপ্রকৃতির অন্তরে প্রবেশ করিতে পারেন নাই । "বিষবৃক্ষের’ প্রথমে সেই ঝড়বৃষ্টির রাত্রির কথা মনে করুন,-- “আকাশে মেঘাড়ম্বর-কারণ রাত্রি প্রদেষকালেই যনান্ধতমোময়ী হইল। গ্রাম, গুহ, প্রান্তর, পথ, নদী, কিছুই লক্ষ্য হয় না। কেবল বনবিটপীসকল, সহস্ৰ-সহস্ৰ-খদ্যোতমালা পরিমণ্ডিত হইয়া হীরকখচিত কৃত্রিম বৃক্ষের স্যায় শোভা পাইতেছিল। কেবল মাত্র গৰ্জ্জনবিরত শ্বেতকৃষ্ণাভ মেঘ মালার মধ্যে ঐস্বদীপ্তি সৌদামিনী মধ্যে মধ্যে চমকিতেছিল । স্ত্রীলোকের ক্রোধ একেবারে হ্রাস প্রাপ্ত হয় না । কেবল মাত্র নববরি সমাগম-প্রফুল্ল ভেকের উৎসব করিতেছিল । ঝিল্লীরব মনোযোগপূর্বক লক্ষ্য করিলে শুনা যায়, রাবণের চিতার স্তীয় অশ্রান্ত রব করিতেছে, কিন্তু বিশেষ মনোযোগ না করিলে লক্ষ্য হয় না। শব্দের মধ্যে, বুক্ষীও হইতে বৃক্ষপত্রের উপর বম্ববশিষ্ট বারিবিন্দুর পতনশন্ধ, তুঙ্গ তলস্থ বলাজলে পত্রচু্যত জলবিন্দুর পতনশব্দ, অনিঃস্থত জলে শুগালের পদসঞ্চারণ-শব্দ, কচিৎ বুক্ষরূঢ় পক্ষীব অত্র পক্ষের জলমোচনীৰ্থ পক্ষ-বিধুনন শব্দ। মধ্যে মধ্যে শর্মিতপ্রায় বায়ুর ক্ষণিক গর্জন, তৎসঙ্গে বৃক্ষপত্রচু্যত বারিবিন্দুসকলেব এককালীন পতনশব্দ।" ‘চন্দ্রশেখরে শৈবলিনীর পর্বতবাস মনে করুন,— “এমন সময়ে ঘোরতর মেঘাড়ম্বর করিয়া আসিল। রন্ধ শূন্ত, ছেদশুষ্ঠ, অনন্ত বিস্তুত কৃষ্ণবরণে আকাশের মুখ আঁটিয়া দিল। অন্ধকারের উপর অন্ধকার নামিয়া গিরিশ্ৰেণী, তলস্থ বনরাজি, দূরস্থ নদী, সকল ঢকিয় ফেলিল । জগৎ অন্ধকার-মাত্রীয়ক-শৈবলিনীর বোধ হইতে লাগিল, জগতে প্রস্তর, কণ্টক এবং অন্ধকার ভিন্ন আর কিছুই নাই । * * * * তুমি জড়প্রকৃতি ! তোমায় কোটি কোটি প্রণাম । তোমার দয়া নাই, মমতা নাই, লেহ নাই, জীবের প্রাণনাশে সঙ্কোচ নাই, তুমি অশেষ রেশের জননী,—অথচ তোমা হইতে সব পাইতেছি, তুমি সৰ্ব্বক্ষপের অীকর, সৰ্ব্বমঙ্গলময়ী, সৰ্ব্বার্থসাধিকা, সৰ্ব্বকামনাপূর্ণকারিণী, সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দরী, তোমাকে নমস্কার । হে মহাভয়ঙ্করী, নানরূপরঙ্গিণী ! কালি ! তুমি ললাটে চাদের টিপ পরিয়া, মস্তকে নক্ষত্র-কিীট ধৰিয়া, ভুবনমোহন হাসি হাসিয়া ভুবন মোহিয়াছ, গঙ্গার ক্ষুদ্রোৰ্শ্বিতে পুপমালা গাখিয়া পুষ্পে পুষ্পে চন্দ্র ঝুলাইয়াছ ; সৈকত-বালুকীয় কত কোটি কোটি হীরক জালিয়াছ ; গঙ্গীর হৃদয়ে নীলিম ঢালিয়া দিয়া, তাহাতে কত স্বপে যুবক-যুবতীকে ভাসাইয়াছিলে । যেন কত তাদের জীন-কত আদর করিয়াছিলে । আজি এ কি ! তুমি অবিশ্বাসযোগ্য সৰ্ব্বনাশিনী। কেন জীব লইয়া তুমি ক্রীড়া কর, তাহ। জানি না,—তোমার বুদ্ধি নাই, জ্ঞান নাই, চেতন নাই, কিন্তু তুমি সৰ্ব্বময়ী, সৰ্ব্বকত্রী, সৰ্ব্ব নাশিনী, সৰ্ব্বশক্তিময়ী । তুমি ঐশী মায়া, তুমি ঈশ্বরের কীৰ্ত্তি, তুমিই অজেয়। তোমাকে কোটি কোটি প্রণাম । , কপালকুণ্ডলার সমুদ্রসৈকতে সন্ধ্যালোকে আবির্ভাব মনে করুন,— “ফেনিল, নীল, অনন্ত সমুদ্র । উভয়পর্থে যতদূর চক্ষু যায়, ততদূর