পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য। ] تعمیمی ^.~_~ ~~ তাহার ঘটনাচক্র । ললিত ও স্বচরিত, বিনয় ও গোরা তাহারা যে জীবনের চিরন্তন দ্বন্দ্বের ভিতর দিয়া আপনাদের লাভ করিতেছে, নাই সেপানে কল্পিত ঘটনার দ্বন্দ্ব, নাই মিথ্যা হা হুতাশ, অজ্ঞাত্ব দেশের জন্য জল্পনা-কল্পনা । “ঘরে-বাইরে’তে রবীন্দ্রনাথ আরও উচ্চে উঠিয়াছেন । ‘গোরায় যে ছবি অসম্পূর্ণ থাকিয়া গিয়াছিল, সেখানে তাহা পূর্ণতা লাভ করিয়াছে। আমাদের সংসারে, সমাজে, দেশে, এই ঘরে-বাহিরের দ্বন্দ্ব চলিতেছে। আমাদের স্ব স্ব জীবনেও এই ভিতরে-বাহিরের দ্বন্দ্ব চলিতেছে। ভিতর চায় এক রকম, বাহিরের দাবী অন্তরূপ । ধবের জন্য কি বাহিরের দাবী ছাড়িতে হইবে, না বাহিরকে ছাড়িয়া ঘরের জন্য আত্মোৎসর্গ করিব ? এ এক কঠিন সমস্যা । দুধের সামঞ্জস্য কি হয় না? রবীন্দ্রনাথ নিথিলেশকে দিয়া দেখাইয়াছেন, মানুষ স্বীয় আত্মপ্রতিষ্ঠা করিতে পারিলেই দু’য়ের দ্বন্দ্ব সে সহজে মিটাইতে পারে । বাহিরের আকর্ষণে যে গোলযোগ স্থষ্টি হয় তাহার সমাধান একদণ্ডেই হইয়া যায়, যখন আত্মপ্রতিষ্ঠায় স্থির হইয়। কেহ সে গোলযোগকেও আপনার করিয়া লইতে পারে। দেশের মধ্যে, সমাজের মধ্যে এই যে বাহিরের ও ঘরের দ্বন্দ্ব, এর ও সমাপ্তি হয় সেই আত্মপ্রতিষ্ঠিত মানবাত্মার বিকাশে । যখন মোহ, লোভ, স্বার্থ, এসবের উপর করুণা তাহার কোমল মাতৃহস্ত বুলাইয়া যায়, তখন দেশ ও সমাজ চলিয়া গিয়া শুধু অন্তরের এক অসীম তৃপ্তিতে সব ভাঙ্গা জোড়া লাগিয়া যায়, সব কোলাহল নিবৃত্ত হইয়। যায়। কিন্তু এ দ্বন্দ্ব কি থামিবার ? এ যে শুধু মানবাত্মার বিকাশের একটা উপলক্ষ্য । চিরকাল এ দ্বন্দ্ব চলিবে এবং চিরকাল মানবাত্মা তাহার উপর জয়লাভ করিবে । “ঘরে-বাইরে’ ‘Sex duel' বা যৌন দ্বন্দ্ব আছে, · 'anaerhism' «i ż¬ârş]-zw আছে, বাংলার এবং জগতের সমসাময়িক চিন্তাধারার বহু ছায়াপাত আছে ; কিন্তু আমার মনে হয়, ইহাই তাহাব অন্তর্নিহিত কথা । এই নগ্ন মানবাত্মার বিবৃতিই রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসগ্রন্থের শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন। এখানে তিনি বঙ্কিমচন্দ্রেরও বহু উৰ্দ্ধে। র্তাহার শেষ রচিত গ্রন্থাবলীতে এই জীবনের রস টলটল করিতেছে। বাহিরের-চিন্তা-মুক্ত মানবাত্মা বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ مم-عیحہ عمحیمی مایہامیہ۔ Eరి ) জীবনের পথে অনন্তের তীর্থযাত্রা করিয়াছে । র্তাহার ছোট ছোট গল্লরাশিতে ইহার প্রথম আরম্ভ হইয়াছিল । তাহার ছোট গল্পগুলির মধ্যে একটি ছোট পুকুর-ঘাটের দৃশ্ব, গ্রামের পারে নদীতীরের পিছল পথ, ছায়াঢাকা আঙ্গিনায় গৃহস্থবধুর চলাফেরা, ঘাটের ধারে নৌকা বাধা, পদ্মার বক্ষে জ্যোৎস্নারাত্রি, বাঙ্গালার প্রান্তরক্রোড়শায়িত সহস্র পল্লীগ্রামের এমন সহস্ৰ সহস্র দৃশ্বে যে একটি অপূৰ্ব্বাচুভূত ভাব সহসা মনের মধ্যে জাগিয়া ওঠে, তিনি তাহারই কায় রচনা করিয়াছিলেন । মিনি সেগুলিকে শুধু বাঙ্গালার পল্পীজীবনের নিখুত ফোটে। বলিয়া গ্রহণ করেন, তিনি তাহীদের অৰ্দ্ধেক সৌন্দর্য্য অষ্টভব করেন নাই । মানুষের মধ্যে যে চিরন্তন সৌন্দর্য্যপিপাসু চিত্ত বসিয়া আছে, যে তাহার নূতন আলোকে কুৎসিতকে সুন্দর করে, আবার সুন্দরকেও কুৎসিত করিতে পারে, সেই চিত্ত বিরহীর মত যাহাকে খুজিয়াছে, তিনি সেই সৌন্দৰ্য্যদেবতার পদে অর্ঘ্য দিয়াছেন কর্দমাক্ত পল্লীপথের ছবিতে, নিশীথ রাতের জোনাকির আলোতে, ছেড়াজামা-পরা ছেলের হাসিতে, মুখরাবধুকত স্বামী-তজনে । মাতুয় তখনও তাঙ্গার কাছে বাহিরের একটি ভাবের পটভূমিকা ( Background ), প্রতিচ্ছায়াফলক মাত্র । তার পর ক্রমে তাহার দৃষ্টি আরও উন্মুক্ত হইয়াছে। ঘনীভূত সেই ভাবরাজ্যের উপরে তিনি মানবাত্মার গৌরব অনুভব করিয়াছেন, ভাবের ক্ষণিকত ভেদ করিয়া তিনি মানবাত্মার অনন্তত উপলব্ধি করিয়াছেন এবং মানুষের সেই চিরন্তন সৌন্দৰ্য্যলিপাকে বিকশিত মানবাত্মার উপর প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন । বঙ্কিমচন্দ্রে যেমন আমরা দেখিয়াছি, তাহার অটল গম্ভীৰ্য্যই—Vigour বা ও স্বঃ তাহার সাহিত্যশক্তির মূল, তেননি রবীন্দ্রনাথে তাহার মোহনীয়ত, সৌন্দৰ্য্যবোধ, জীবনের পেলব রসামুভূতিই,—Delicacy, fineness সুকুমাব সূক্ষ্ম কারুকাযj—সতত চঞ্চল, নব নব রূপে বিকশিত। তাহার উপন্যাস ও সমাজ-তত্ত্বালোচনা অপেক্ষ। তঁহার কাব্যগ্রন্থে ইহা পূর্ণ বিকাশ লাত করিয়াছে । জীবনের অসীম সৌন্দর্য্যকে তিনি রূপের আকারে ধরিয়াই ক্ষাস্ত হন নাই, তাহাকে স্বরের AAAAAA AAAA AAAAMAMA AMAMSAeA AMAMM MMMeMMMMAM MAMS MAMMAeMMAeSMeSMSAS AeS