পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ) SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS পিত্ত উৎপন্ন করে—অতএব যকৃতের কাজ পিত্ত উৎপন্ন করা । বার্ণার্ড, প্রমাণ করিয়া দিলেন যে যকৃতের কাজ অন্যপ্রকার। শরীরের রক্তের জন্য চিনি জমা করিয়া রাখা এবং প্রয়োজন-মত তাহা রক্তের মধ্যে চালান করাই যকৃতের কাজ । ইহা প্রমাণ হইবামাত্র সেই-সময়ের বৈদ্যেরা বহুমূত্র রোগের কারণ ধরিতে পারিলেন।

  • istoča 28ta wifaxt: ductless glands 43 ( নান্তিহীন মাংসগ্রস্থির ) প্রয়োজন এবং ক্রিয়— endrocines. তিনি প্রথম লক্ষ্য করেন যে কণ্ঠার (Adam's apple ) কাছে দুটি লাল দাগের উপর মানুষের শরীরের উৎকর্ষ বহু পরিমাণে নির্ভর করে। এই দুইটি glands ঠিকভাবে না থাকিলে মানুষের মন এবং শরীর, কিছুই উপযুক্ত পরিমাণে বদ্ধিত হইতে পারে না। বার্ণার্ড পরীক্ষা দ্বারা আবিষ্কার করেন যে যদি sifFĘnta ductless glands-সম্পন্ন পোন ব্যক্তিকে ভেড়ার thyroid glands অর্থাৎ গলগ্ৰন্থির রস পাল বা তাহার শরীরে এই জিনিষ অন্তর্ণিক্ষেপ (inject ) করা যায় তবে সেই অপরিপক মানুষকে একটি পূর্ণ-স্বাস্থ্য সবল স্বন্দর মানুযে পরিণত করা যায়। এই আবিষ্কারে পৃথিবীর এবং সমস্ত মানবের যে কত বড় উপকার হইয়াছে, তাগ বলা বলা যায় না ।

এইবার ডারউইনের নাম করিতে হয় । এই বৈজ্ঞানিকের কথা বলিলেই অনেকে হয়ত ক্রুদ্ধ হইবেন, কারণ ইনি আমাদের বহু-পূৰ্ব্বপুরুষদের বদর বা কল্পমান বলিয়াছিলেন। কিন্তু ডারউইনের যথার্থ আবিষ্কার অনেকের কাছেই অবোধ্য বলিয়া লোকে তাহার নাম করিলেই চটিয়া যায়। ডারউইন জগতেব ক্রমবিকাশ তথ্য ( evolution ) আবিষ্কার করেন নাই। তাহার বহু পূর্বেই লোকে এ কথা জানিত। কিন্তু তিনি তাহার নানাপ্রকার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা দ্বারা মানুষকে ইহা প্রমাণ করিয়া দেখান। আমরা কোন লাল-পাতাওয়াল গাছ দেখিলেই মনে করি ইহার জন্ম আর-একটি লাল-পাতা-ওয়ালা বৃক্ষ হইতে। কিন্তু দারউইন প্রমাণ করিলেন বহু যুগ পূৰ্ব্বে এই লাল-পাতাওয়াল বৃক্ষের পাতা মোটেই লাল দশ জন বৈজ্ঞানিক ASA SSASAS SS SAAAA AAAA AMAAAA SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAAA AAASA SAAAS A S A S A S A S A SAS SSAS లి) లి S SAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS ছিল না—যুগের পর যুগ ধৰিয়া নানা পরিবর্তন হইতে হইতে ইহার পাতা এখন আমাদের চোখের সামনে লাল হইয়া উঠিয়াছে। - ডারউইনের মৌলিক আবিষ্কাব এমন কিছু নাই ; কিন্তু তিনি ধৈয্যশীল এবং পরিশ্রমী বৈজ্ঞানিক ছিলেন । তিনি যাহা পড়িতেন ব! শুনিতেন তাহীর বৈজ্ঞানিক সত্যত নির্ণয় করিবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিতেন । একখানি পুস্তক লিখিতে র্তাহীর বিশ বৎসব সময় লাগে ! ইহা হইতেই বুঝা যায়, তাহার ধৈৰ্য্যের পরিমাণ কিরূপ । ডারউইন কলেজ ত্যাগ কবিয়াই “বিগ্ল” জাহাজে করিয়া দেশ ভ্রমণে নির্গত হন । এই সময় তিনি এই মহাসত্য আবিষ্কার করেন যে পৃথিবীতে কোন কিছুই জন্মলাভ করিয়৷ মরিয়া গিয়। নিঃশেষ হইয়া যায় না। জগতের সমস্ত প্রাণসমষ্টি একটি মাকড়সার জালের মতন। বিশেষ কোন জায়গায় আঘাত পড়িলে জালের সমস্ত অঙ্গেই তাহার স্পন্দন পৌছায়। জাহাজে ভ্রমণ করিতে করিতে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার এক স্থানে প্রস্তরীভূত এক প্রকার বৰ্ম্মিল জন্তু ( armadillos ) দেখিতে পান। যেখানে ইহ দেখেন, তাহার কিছু দূরেই জীবন্ত অবস্থায় এই জন্থকে দেখিতে পান । শরীবের নানাপ্রকার তারতম্য ঘটা সত্ত্বেও, বৰ্ত্তমানের এই বিশেষ জন্তু সে ঐ প্রস্তরীভূত জন্থর বংশধর তাহ ডারউইন প্রমাণ করেন । ডারউইন কখনও কোন বিষয় বিশেষভ{লে প্রমাণ সহ ব্যাখ্যা ন করিয়া ছাড়িতেন না। তিনি মাঠ। বলিতেন তাই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করিতেন । ডারউইন দেখান যে বিশেয বিশেয নিয়ম অবলম্বন করিয়া জপ্তদের শরীবের নানারকম অদলবদল কর। যায়। ক্ষুদ্র জন্তুকে বড় করা যায় এবং বড় জস্থকে ক্ষুদ্র করা যায় । বৰ্ত্তমানে এই নিয়মে নানা প্রকার নূতন মুরগীর চাষ হইতেছে—কিস্ত যাহার এই চাষ করিতেছে, তাহার। ডারউইনের নাম জানে কি না সন্দেহ । ডারউইনের পূৰ্ব্বে মাযের ধারণ ছিল যে মানুষ ক্রমশঃ অধোগতি প্রাপ্ত হইতেছে । ডারউইন পৃথিবীতে নূতন আলোক আনিলেন, তিনি বলিলেন “মানুষ ক্রমশঃ