পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম, সংখ্যা ৷ আনন্দ-বাবু বললেন, “বাজে তর্কে চাদের আলো ব’য়ে যাচ্চে—পূর্ণিমা, আমি আর অপেক্ষা করতে পারুচি ন৷ ” অগত্য বাধ্য হয়ে রতনের সঙ্গে পূর্ণিমা গান ধরলে – - “ওরে সাবধানী পথিক, বারেক পথ ভুলে মরু ফিরে......" যুক্ত কণ্ঠেব মুক্ত স্বরের কুহক-মন্থে আকাশে বাতাসে সাগরে ও চাদের আলোতে যেন এক স্বপ্নলোকের কল্পনা পুলক জেগে উঠল--সামূলে ব শ শত তরঙ্গের চিন্দোলয়ে যেন সেই পুলকই বিশ্ব-কবির আপনার প্রাণের কথা বলছে আর বলছে ! .. ... সকলেই স্থব্ধ হ'যে বসে রইলেন । পূৰ্ণিমা বললে, “বাব, সেই বিকেল থেকে রান্নাঘরের গরমে ব'সে আছি, মাথtট বড় ধরেচে, একবার সমুদ্রের ধারে গিয়ে বেড়িয়ে আসব ?” —“একলা ?” —“একুল না যেতে দাও, রতন-বাৰু আমার সঙ্গে চলুন - 拂 —“বেণী দরে বাসনে সেন ** —“ন, এখনি ফিরে আসসি আস্বন বতন-বাপু !" পূর্ণিমা ও রতন চলে গেল। স্বমিষ্ট নীরবে তাদের দিকে চেয়ে রইল !... ... কিছুক্ষণ সবাই চুপচাপ । হঠাৎ আনন্দ-বাৰু জিজ্ঞাসা করলেন, “আচ্ছ। বিনঘ, রতনের মন্ন ছেলেকে তোমাব জামাই করতে সাপ যায় কি না ?” বিনয়-বাবু বিস্ময়-ভরে বললেন, “হঠাৎ তোমাব এ প্রশ্ন কেন ?” —“য জিজ্ঞাসা কবুলুম আগে তার জবাব দাও।” —“এ-কথ। তে| আমি কখনে। ভেবে দেখিনি, এক কথায় কি ক’রে জবাব দিই । তবে বতন সে স্থপত্রি, তাতে আর সন্দেহ নেই ।” —“শুধু স্বপাত্র নয় বন্ধু, দুলভ পার । রূপে-গুণে প্রায় অদ্বিতীয় !” সেনগিণী বললেনু, “কিন্তু বংশগৌরব নেই, আব বড় গরীব । স্ত্রীকে পালন করতে পারবে না।” ভীম ! য বেনে-জল .*- * مم ..7 تم ۔؟ یہ مہ م ۳- ح ه . جمع ح خیابخTحه جسمی .A* برابر ہو م ہے۔ جبر مۃ ২৩ কুমার-বাহাদুর আগ্রহের সঙ্গে উৎকর্ণ হ'য়ে সব কথা শুনছিলেন । এখন সেনগিল্পীর মত জেনে তার ঠোটের কোণে সকলের অগোচরে আশ্বস্তির একটি ক্ষীণ হাসির রেখা ফুটে উঠল । তার বুক থেকে যেন একটা বোঝা নেমে গেল। রতন তা হ'লে তীব প্রতিদ্বন্দ্বী হ’তে পারবে না । - আনন্দ-বাবু বললেন, “বেশী টাক। আবে বেশী গরীবান। এই দুইই মানুষের চরিত্রকে নষ্ট করে । কিন্তু দরিদ্র্যের নিম্ন-স্তরে নেমে ও রতন তার চরিত্র হারায়নি, মৃতরাং দাবিদ্র্য তার পক্ষে সম্মানের -- সে গরীব কি ধনী আমাদেব তা দেখবার দরকব নেই । আমার ভে। মনে তম, রতনের যথন চরিত্র অব মর্য্যত্ব আছে, আমি অনায়াসে তাব হাৰে কন্যা সম্প্রদান করতে পারি। তার যদি পয়সার অভাব থাকে, আমি যা যৌতুক দেব তাইতেষ্ট তার সে অভাব মিটে যাবে।” সকলের মধ্যেই বেশ একটু উত্তেজনাব সঞ্চার হ’ল —আনন্দ-বাবু রতনের সঙ্গে পূর্ণিমার বিবাহ দিবেন! . সুমিত্ৰা কিবে তাকিযে দেখলে, দূরে চন্দ্রকরোজ্জল সাগরসৈকতে রতন ও পণিম পাশাপাশি দাড়িয়ে আছে ! বিনয়-বাবু বললেন, “কিন্তু রতনের আত্মসম্মানবোধ কি রকম জান তো ? তোমার দেওয়৷ গৌতুকের টাকার উপর নির্ভর কবে সে যে পূর্ণিমাকে বিবাহ করতে রাজি হলে, আমার তে| বিশ্বাস হয় না।” —“আমি ও অবশু তাই মনে কবি । সে-ক্ষেত্ত্বে আমি তাকে সাহায্য করব । তার প্রতিভা আছে, পৃষ্ঠপোষকের অভাবেই সে খালি বোজগার করতে পারচে ন । আমি তীর পৃষ্ঠপোষক হব।” —“তুমি কি সত্যিই রতনকেই তোমার জামাই করবে বলে স্থির কবেচ ?” & আনন্দ-বাবু মস্তক আন্দোলন করতে করতে বললেন, “স্থির আমি কিছুই করিনি,—দ বল্লুম কথােব কথ৮ মাত্ৰ ! আমি পালি বলতে চাই, রতন আমার জামাই হ’লে আমি খুব স্বৰী হব। এ কথা রতন বা পূর্ণিমা কেউই জানে না । বিশেষ, রতন আর পূর্ণিমা দুজনেই দুজনের বন্ধু বটে, কিন্তু তার পরস্পরকে বিবাহ করতে