পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] আসামী অপর ব্যক্তির নাম করিয়া বলে যে চামচখানি তাঁহার নিকটে আন্থে । অনুসন্ধানে জান গেল যে সেখানেও নাই। আসামী ছোটখাট একটি বদমাইস। আদেশ হইল, পাচ বেত । ৯ । ৫ই অক্টোবর তারিখে খাম| গেtয়tলাকে অীবদ্ধ রাখা হইয়াছিল। অদ্য সে খলাস হইল, তাহার উপর এইরূপ আদেশ হইল যে পুনৰ্ব্বার যদি কেহ তাহাকে চোর বলিয়া ধরে, তাহা হইলে তাহার ফাঁসি হইবে । • ১০ । বীকের মহম্মদ রামধেtমির নামে এই বলিয়া অভিযোগ করিয়াছে যে অসমীর স্ত্রী ফরিয়াদীর স্ত্রীক গলাগলি দিয়াছে । আদেশ হইল, ফরিয়াদী ও অ{সামী উভয়ের প্রত্যেকের প{চ টীকা জরিমান হয় । ১১ । ফরিয়াদী ক্যাষ্টওয়েন, উহার মেথরানীর নামে এই বলিয়৷ অভিযোগ করিয়াছে যে আসাম উহার কতকগুলি পিতল চুরি করিয়া পত্তারাম নামক দোকানদীবের নিকট বিক্রয় করিয়াছে । আসামী অনেক দিন যাবৎ এইরূপ চুবি করিতেছে। এরূপ কুদৃষ্টান্তে অন্তান্ত চাকরবর্গ অসচ্চরিত্র হইতে পারে। আদেশ হইল বক্তারামকে ২• বেত ও মেথবtণীকে দশ বেত মারা হউক । শাস্তি হইয় গেলে, আসামীদ্বয়ের অপরাধ সৰ্ব্বসাধারণের নিকট প্রচারেব লিমিত্ত তাহদিগকে একখানি গে।-শকটে চড়াইয়| ঢোল সহর ত কবিতে করিতে কলিকাতার সহরের ভিতরে লইয়৷ বেড়াঙ্গ হয় ।” কর্ণচ্ছেদন, পাদুকা-প্রহর, স্ত্রীলোকের প্রতি বেত্ৰাধত ইত্যাদিপ্রকার দণ্ডপ্রদানের ব্যবস্থ। ইউরোপীয় মস্তিঞ্চ প্রস্ত অথবা মুসলমান গবর্ণমেণ্টের অনুকরণে কোম্পানীর আদালতে প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়ছিল তাহা নির্ণয় করা সুকঠিন ; কারণ তৎকালে পৃথিবীব সমস্ত দেশেই অপরাধীগণের প্রতি বৰ্ব্বরতা প্রদর্শিত হইত। ১৭৮৯ খৃঃ পৰ্য্যন্ত ফরাসীদেশের দণ্ডবিধি আইনে অঙ্গছেদনের ব্যবস্থা ছিল । দেশেরও বিচারে বর্বরত যথেষ্ট ছিল। কোন স্ত্রীলোক স্বামীঘাতিনী হইলে অথবা কৃত্রিম মুদ্র প্রস্তুত করিলে তাহকে জীয়ন্ত দগ্ধ করা হইত। পুরুষ এবং স্ত্রীলোক উভয়প্রকার অপরাধীবই বেত্ৰাঘাত সহ্য করিতে হইত। তুদ্ভিন্ন কতকগুলি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইলে অপরাধীগণকে পিলারিযন্ত্রের দ্বারা শারীরিক যন্ত্রণ দেওয়া হইত। পিলাবি প্রথাটি কোম্পানীর রাজ্যেও প্রবর্তিত হইয়াছিল ; পবিশেষে ইংলণ্ডে রহিত হইয়া গেলে এদেশেও রহিত হইয়৷ গিয়াছিল। উল্লিখিত মোকদ্দম। কয়েকটির বিবরণ পাঠ করিলে স্পষ্টই বুঝিতে পারা যায় যে প্রবাসী ইউরোপীয়গণের ক্ষুদ্র, বৃহৎ সৰ্ব্বপ্রকার স্বার্থের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা মজিষ্ট্রেট, স্বীয় কৰ্ত্তব্য বলিয়। মনে করিতেন । এগুtসনের ক্রীতদাসী তাহার বtটা ছাড়িয়া পলায়ন করিতেছিল। এগুসন তাহ জানিতেন ন৷ সুতরাং দাদীর নামে আদালতে অভিযোগও করেন নাই। চৌকিদার দাসীকে এগুসনের বট হষ্টতে পলায়ন করিতে দেখিয় তাহাকে ধরিয়া এগুtসনের নিকটে লইয়। গেল না, মজিষ্ট্রেটের নিকট পুরাতন কলিকাতার ফৌজদারী বিচার ইংলও, Oyo উপস্থিত করিল। মজিষ্ট্রেট এগুসনের নামে শমন জারি করিলেন BS BDK DB BBB BD BBg BDBB BBBS BBDS পাঠাইলেন না । তিনি চৌকিদারের সমুখে পলায়নের বৃত্তাস্তু অবগত হইয়া আসামীর প্রতি বেত্রাঘাতের ব্যবস্থা করিয়া তাহীকে এগুtসনের বাটতে পাঠাইয় দিলেন। এরূপ ঘটনা যদি বর্তমান সময়ে ঘটিত তাহা হইলে পাঠকগণ মাজিষ্ট্রেটকে এওtসনের বেতনভোগ কৰ্ম্মচারী বলিয়া মনে করিতেন । কিন্তু সে সময়ে কলিকাতাৰাসী ইউরোপীয়গণ সকলেই আপনাদিগকে এক পরিবারভুক্ত বলিয়া মনে করিতেন । তৃতীয় মোকদ্দমাটির বিবরণ পাঠ করিয় আমরা জানিতে পারি যে কোম্পানীর ফৌজদারী আদালত কথন কখন আসামীর প্রতি দগুবিধান করিয়া তাহাকে হাওড়ার পারে পঠাইয় দিতেন। সে সময়ে হাওড়ার পুল ছিল না, ষ্টীমারও ছিল না, সেইজন্ত মাজিষ্ট্রেট মনে করিতেন অসচ্চরিত্র ব্যক্তিকে নদী অপর পারে পঠাইলে সে পুনৰ্ব্বর কলিকাতায় আসিয়া উপঞ্জ করিতে পরিবে না । কিন্তু কখন কখন আদালতের এইরূপ আদেশ ব্যর্থ হইয়া যাইত ; কারণ, মুনিয়া নামক বালকটি হাওড়া প্রেরিত হইয়াও পুনৰ্ব্বার কলিকাতায় আসিয়াছিল । অভিযুক্ত ব্যক্তিগ আদালতের বিচারে লেী সাব্যস্ত হইয়া দণ্ডিত হইয়াছে সৰ্ব্ব সাধারণের নিকট এই কথ। প্রচাবের নিমিত্ত মাজিষ্ট্রেট যে উপা অবলম্বন করিতেন, তাহ চিন্ত| করিলে হাস্য সম্বরণ করা যায় ন! রামসিংহ জাতিতে নাপিত, সে সুত্রধর বলিয়| আত্মপরিচয় প্রদা পূর্বক কর্ণেল ওয়াটুদনের বেতন গ্রহণ করিয়াছিল। আদালং তাহাকে বেত্রাঘাতের আদেশ দিয়া পরিতৃপ্ত হইতে পারেন নাই পাছে অন্য কোন ব্যক্তি মনে করে রামসিংহ নাপিত নহে স্বত্রধ সেই জম্বা ঢোল সহরতের দ্বারা তাহার জাতির পরিচয় দিতে দিংে তাহাকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত লইয়া যাওয়া হইল। মেথরানী পিতল চুf করিয়া বক্তবাম দোকানদারের নিকট বিক্রয় করিয়াছিল উগুয়েরই বেত্ৰদণ্ড হইল। তৎপরে উভয়কে গো-শকটে চড়াই। কলিকতা সত্বরের প্রত্যেক স্থানে লইয়া যাওয়া হইল এবং টো বাঞ্জাইয়া সৰ্ব্বসাধারণের নিকট প্রচার করা হইল যে ইহা পিতল চুরি করিয়া শাস্তি পাইয়াছে। এরূপভাবে অপরাধ-প্রচারে আবখ্যকত। আমরা এইক্ষণে উপলব্ধি করিতে পারি না ; কিন্তু ে সময়ে কলিকত। একটি অতি ক্ষুদ্র সহর ছিল, লোকসংখ্যাও বে: ছিল না সেই জন্য সম্ভবতঃ কর্তৃপক্ষগণ মনে করিতেন অপরাধ গণকে শাস্তি দিয়া যদি প্রত্যেক গৃহস্থকে সতর্ক করিয়া না দেও হয়, তাহা হইলে সে শাস্তি দেওয়ার ফল কি ? ১০ নং মোকদমা নিষ্পত্তিটি অদ্ভুত বলিয়া মনে হইতে পারে, কিন্তু আমি সেরূপ ম: করি না । স্ত্রীলোকে স্ত্রীলোকে বচসা হইলে উভয়েরই স্বামী দ্বগুনী ইহাতে কি সন্দেহ আছে ? এরূপ ব্যবস্থায় পাঠকগণ অবস্থা অসত্ত্ব হইবেন কিন্তু পাঠিকাগণের আপত্তি হইতে পারে না। শ্ৰী স্বরেন্দ্রনাথ ঘোষ