পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা } ASAAAAS AAASASAAAAAS AAAAAS AAAAAS AAAAA MAAAA SASAASAAASAAA AAAAM AAAAS AAAAA AAAA SAAA AAAAM AMM SAS S S S S S এ পৃথিবী—এই আনন্দের লীলাভূমি, এই বিগলিত দুঃখের প্রস্রবণ এখান হইতে বিদায় লইতে আর দুঃখ কি ? শুধু— ভগবান যেন শৈলকে তাহার এই নিফল যাত্রার দুঃখ– এই অসমসাহসিক করুণার বিপদ হইতে রক্ষা করেন ! কিরণের মুদিত চক্ষুর প্রান্ত দিয়া দুই বিন্দু অশ্রু গড়াইয়া পড়িল । তার পর আর দুই বিন্দু, আরও দুই বিন্দু—আরও, আরও। বড়ই ক্ষোভ ও আক্ষেপের সহিত অমরনাথের মুখ হইতে বাহির হইল—“কেন তবে কাল এলে না বিরণ !" কিরণ তাহার অশ্রুসিক্ত চক্ষু মেলিয়া বলিল—“অদৃষ্ট !” ( 8 ) গিরিডিতে কিছুদিন থাকিবে মনে করিয়াই কিরণ বাহির হইয়াছিল ; কিন্তু এখানে আসিয়া সমস্ত শুনিয়া তাহার গিরিডি ত্যাগ করিয়া যাওযা বা থাক। দুষ্টই সমান কষ্টকর হইয়া দাড়াইল । যদি একেবারে ন! অসিত একরকম হই ত্ৰ ; আসিল যদি, একটা দিন আগে কেন আসিল না—এই চিন্ত। তাহার শরীরও তাহাকে আরও অবসন্ন করিয়! তুলিল । এমন হইয় দাড়াইল সেন অন্ততঃ দিন দশ কোথা ও যাওয়া অসম্ভব । পৃথক বাসার কথা কিরণ মুখে ও মানিতে পারিল না। বাহিরের দিককার ঘরটি সবচেযে ভালো বলিয় তাহাকে ছাড়িয়া দেওয়া হইল। স্বামী স্ত্রী দুইজনে মিলিয়া কথায় গল্পে তাহাকে অন্তমনস্ক ও প্রফুল্ল রাখিতে চেষ্টা করিতে লাগিল। কিন্তু গভীর দুঃখ যেন দাগ কাটিয়া তাহার অন্তরে বসিয়ু গিয়াছিল। সে দুঃখের হ্রাস কিছুতেই বুঝি হুইবার নহে । একদিন শেয রাত্রে বিরজার হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল । স্বামী ও পুত্রকন্যা সব নিশ্চিন্তভাবে নিদ্রিত। খানিকক্ষণ চক্ষু মুদিয়া বিরজা বিছানাতেই পড়িয়া রহিল । একটু পরে উঠিয়া মাথার দিক্কার জানালাট একবার খুলিয়া দিল। একরাশি স্নিগ্ধ শুভ্র ফুলের মত শীতল সুন্দব জ্যোৎস্না জানাল দিয়া ঘরের ভিতর প্রবেশ করিল। বিরজা আকাশের দিকে চাহিয়া দেখিল অনেকগুলি ভোরের বাতাস S S AAAS AAAAAS AAAAAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS రిఫిసి SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS তারা নিভিয়া গিয়াছে, চাদও যেন একটু পরেই নিম্প্রভ হইয়া আসিবে । হঠাৎ একটা গানের স্বর তাহার কানে আসিল । কে গুনগুন করিয়া কি একটা করুণ সুর ধরিয়াছে। গল যেন কিরণের বলিয়াই মনে হইল। ই, নিশ্চয়ই কিরণের—কিবণের কণ্ঠ অতি সুন্দর ছিল । আগে এমন দিন ছিল না যখন কিরণেব গান ব্যতীত দিন বা রাত্রি কটিত । সে মিষ্ট সুর ভুলিবর নহে ! বিরাজ ধীরে ধীবে স্বামীর গায়ে হাত দিয়া তাহাকে জাগাইয়া গানের কথা বলিল । অমরনাথ কান পাতিয়৷ শুনিয়| বলিলেন—“ই| কিরণের গলা ।” “চল, কাছে গিয়ে শুনে অসি”—বলিয়া বিরজা উঠিল । সাবধানে দুয়ার খুলিয়া দুই জনে ধীরপদে আসিয়| কিরণেব ঘরের কাছাকাছি দাড়াইল । কিরণ জানালা খুলিয় দিয়া জানালার কাছে একখানা চেয়ারের উপর বসিঘ ছিল । জ্যোৎস্নাকে স্নান করিয়া ভেবের আলো ধীরে ফুটিয়া উঠিতেছিল । ভোরের শীতল বাতাস তাহার ললাট স্নিগ্ধ করিয়া রুক্ষ চুলগুলি উড়াইতে ছিল। বাহিরের দিকে চাতিযা কিরণ অতি করুণ সুরে গাহিতেছিল :---- ভোরের বাতাস, কোথা ভেসে যাস ? যাস বঁধুয়ার দেশে । লুটিয়া আনিস কত্ত্বরি-বাস ম'খানে তাহারি কেশে । পশিতে সে ঘরে যদি না পারিস, ওরে সে দোরের ধুলা এনে দিস ; সেই সে ধুলার কাজল আমি যে পরিব নয়নে কেশে ! এই হতাশের মৰ্ম্মভেদী স্বর, আর বিরহীর সর্বরিক্ত মূৰ্ত্তি বিরজা আৰ সহিতে পারিতেছিল না। চুপিচুপি আৰ্ত্তকণ্ঠে সে অমবনাথকে বলিল—“চল, আমি আর এ দেখৃতে পারছিনে।” দুজনে যখন ঘরে ফিরিয়া আসিল তখন বিবজার দুই চোখ ছাপাইমু আশ্র কবিতেছিল। অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে