পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭8૦ প্রবাসী পোষ УSQSD o • w-o or - %x-oo: [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড গোয়েন্দা-ছাত্রদের মানুষ চিনিবার শিক্ষা দেওয়া হয় । কে কি রকম প্রকৃতির লোক তাহী জানিতে পারিলে তাহার সহিত সেইমত কথাবাৰ্ত্ত চালাইবtল ব্যবস্থা করা সহজ হইয় উঠে । t র্যাডিওতে চারিদিকে খবর ছড়ান হইবা মাত্র পুলিস মোটর সাইকেলে চড়িয়া অপবাধীর পিছন লইবে – সঙ্গে মেসিনগানও আছে হাতে বন্ধ করিল বটে—কিন্তু কেমন করিয়৷ তাঁহাকে ধরা যায়--পুলিস চুয়ার খুলিতে গেলে মরিবার ভয় আছে, কারণ চোরের হাতে পিস্তল আছে এবং সে যে হত্যা করিতেও পিছপাও নয় তাহীও সকলে দেখিয়াছে। একমাত্র উপায় তাহাকে অনাহারে মৃতপ্রায় করিয়া ধর। — কিন্তু তাহাও বহুকালসাপেক্ষ । এইখানে বিজ্ঞানের সাহায্যে চোরকে ধরা হইল। একজন গোয়েন্দা দুয়ারটাকে কোনরকমে একটু ফাক করিয়া চোর-কুঠরির মধ্যে একটা কাদন-গ্যাসের বোমী ফেলিয়া দিল । একটু পরে চোর মহাশয় কঁদিতে কঁাদিতে পুলিশের হাতে ধরা দিল । শারীর-সংস্থান-বিজ্ঞান ( anatomy ), পদার্থ-বিজ্ঞান, এবং মনোবিজ্ঞান অপরাধ-বিজ্ঞানের বিশেষ সহায় । মাটিতে পায়ের দাগ দেখি, তাহ পরীক্ষা করিয়া অপবাধীর শরীর কিপ্রকার, সে লম্ব ন বেঁটে ইত্যাদি অনেক-কিছুই বল যায় । পায়ের দাগ দেখিয় অপরাধী ধর শক্ত বটে, কিন্তু অপরাধ-বিজ্ঞান তাহীও সম্ভব করিয়াছে । পায়েব মাপ দেখিয়া হয়ত কয়েকজন লোককে অপরাধী বলিয়া সন্দেহ করা হইল । তার পর মনোবিজ্ঞানের সাহায্যে যথার্থ অপরাধীকে ধরা যাইবে । ব্যবহারিক মনোবিজ্ঞান বর্তমান গোয়েন্দাব একটি প্রধান অস্ত্র ( আমাদের দেশের পণ্ডিক্ষ গোয়েন্দ। এবং পুলিশের কথা বলিতেছি ন—তাহার কোন বিজ্ঞানের ধার ধারে না, কেবল লাঠি-বিজ্ঞান একটু আধটু প্রয়োগ করিতে পারে, তাও ভয়ে ভয়ে )। কিছুকাল পুৰ্ব্বে নিউইয়র্কের একটি বড় ব্যাঙ্কের তোলাগান হইতে একটি বহুমূল্য পুলিন্দী চুরি হয়। একজন গোয়েন্দার উপর চোর ধরিবার ভার পড়িল । যে চারজন লোক তোষাখানায় যাওয় অাস করে গোয়েন্দা তাহীদের নিজেব ঘরে অনিল । ২৯ মিনিট পরে অপরাধী তাহাব অপরাধ স্বীকার করিল। মনোবিজ্ঞানের সাহায্যে এই কাজটি ঘটিল । অপরাধীকে সামূলে বসাইয়া গোয়েন্দা নানারকম প্রশ্ন করিতে লাগিল অবশেষে প্রকুত অপরাধী উপায়াস্তর না দেখিয়া অপরাধ স্বীকার করিল। সব লোককেই যে একরকম প্রশ্ন করিতে হয় এমন কোন অাইন নাই । অপরাধীর প্রকৃতি বুঝিয় তাহার সহিত সেইরকম কথাবাৰ্ত্ত। পুলিদেব আরো নানাপ্রকার কাজ এইখানে শিক্ষা দেওয়া হয়। কোন লোকের পিছু লওয়া, অপরাধীর চেহাবীব বর্ণন জানা থাকিলে ভিড়ের মধ্যেও তাহীকে বাছিয়া লওয়া ইত্যাদি সবই শিখান হয় । আঙ্গুলের দাগ হইতে অপরাধী ধরা পড়ে। নানা উপায়ে এই আকুলের দাগকে, জানালার কাচ, বা অন্ত কোন দ্রব্যের উপর স্পষ্ট করিয়া ফোটানো যায় এবং তাহার ফোটো তোলাও যায়। রেডিও ফোটোগ্রাফির সাহায্যে এই দাগের এবং অনেক সময় অপরাধীর ছবিও, খুন বা ডাকাতি ঘটিবtর কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেশের সমস্ত সহবে ছড়াইয়ী দেওয়া যায় । অপরাধী সত্য বলিতেছে কিম্ব মিথ্যা কহিতেছে ভtহ। এই কrল ধরা পড়িবে রসায়ন এবং অনুবীক্ষণ যন্ত্র অপরাধী ধরিবার কাজে যথেষ্ট সাহায্য করে। রক্তের দাগ ইত্যাদি, জালিয়াতের কালী এবং কাগজ পরীক্ষা এবং আরো অনেক প্রকার অারক ঔষধাদি, বাহা অপরাধী ব্যবহার করে, তাহার পরীক্ষা অনুবীক্ষণ এবং রসায়নের সাহায্য বিন