পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭8ષ્ટ

  • حجمعییت حجیره حتی صخمیی

ব্রত নয় তা আমি জানতে পেরেছি, স্বরেশ্বর ; কিন্তু কেন তুমি আমাদের পিছনে এমন করে লেগেছ বল দেখি, আমাদের ত কোন অপরাধ নেই। চোর আমরা নই, কিন্তু তুমি যদি আমাদের চোর বানিয়ে বিপদে ফেলতে চেষ্টা কর তাতে কি তোমার ভাল হবে ?” স্বরেশ্বর বিকট-বিস্ময়ে নিৰ্ব্বাকৃ হইয়া ক্ষণকাল জয়ন্তীর দিকে চাহিয়া রহিল, তাহার পর কহিল, “আমি ত এসব কথার মানে কিছুই বুঝতে পারছিনে!” জয়ন্তী তেমনি উদ্ধত ভাবে কহিলেন, “আচ্ছা মানে তোমাকে আমি পরে বুঝিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু এইটাই কি তোমার উচিত হচ্ছে ? এই সময় নেই, অসময় নেই, যখন-তখন এসে আমার মেয়েকে এমন করে” ক্ষেপিয়ে তোলবার চেষ্টা করা ? সে ত আর ছেলেমাহুষ নয়, আজ বাদে কাল তার বিয়ে হবে ।” - এই দূষিত অভিযোগ শুনিয়া ক্রোধে ও অপমানে স্বরেশ্বরের মুখ আরক্ত হইয়া উঠিল । অতি কষ্টে কোনও প্রকারে নিজেকে সংযত করিয়া লইয়া সে কহিল, “যখনতখন আসি, তা বলা যায় না, কারণ অধিকাংশ স্থলেই আপনার যখন ডেকেছেন তপন এসেছি । কিন্তু তার পরে আপনার যা অভিযোগ তার কোন উত্তর আমি দিতে চাইনে ৷” “আচ্ছ, তা না চাঃ নাই চাইলে, কিন্তু এরও কি কোন উত্তর দেওয়া দরকার মনে কর না ?” বলিয়া জয়ন্তী একখান রেজেষ্টি-করা থাম স্বরেশ্বরের হস্তে দিয়া কহিলেন, “চিঠিখানা পড়ে দেখ ।” সুরেশ্বর খাম হইতে পত্ৰখানা বাহির করিয়া আদ্যন্ত পাঠ করিল, এবং পাঠান্তে পুনরায় খামের মধ্যে পূরিয়া জয়ন্তীকে প্রত্যপণ করিয়া অবিচলিত স্বরে বলিল, “আপনি ত এসব বিশ্বাসই করেছেন। কিন্তু আপনিও কি একথা বিশ্বাস করেন ?” বলিয়া সে স্বমিত্রার দিকে দৃষ্টিপাত করিল। - স্বমিত্রা তাহার বেদনাহত ব্যথিত মুখ কোনও প্রকারে উখিত করিয়া ক্লিষ্ট কণ্ঠে কহিল, “কি ক বলুন ?” - • *, “এই চিঠির কথা ? অর্থাৎ আমি একজন গোয়েন্দা, حمیریه حبیسهمیهخانه প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ; ২য় খণ্ড ^ '& Aూ ‘স্পাই’ ; আমার এই খন্দরের পোষাক ছদ্মবেশ, আর আমার স্বদেশ-প্রেম লোককে ফাঁদে ফেলবার"জন্তে কপট অভিনয় ?” ' & স্বঘ্নেশ্বরের কথা শুনিয়া স্বমিত্রার সমগ্র মুখমণ্ডল রক্তবর্ণ ধারণ করিল। ক্রুদ্ধ কম্পিত কণ্ঠে সে বলিল, “ন, আমি এর একবর্ণও বিশ্বাস করিনে ! কিন্তু আপনি গোয়েনা হয়ে কপট অভিনয় করলেও আমার প্রাণে যেটুকু স্বদেশভক্তি জাগিয়েছেন তা খাটি জিনিস ; তার জন্যে আপনাকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” জয়ন্তী স্থমিত্রার প্রতি অগ্নিদৃষ্টি বর্ষণ করিয়া তীব্র কণ্ঠে কহিলেন, “মিছামিছি বাচালতা কোরো না, সুমিত্ৰা ।” সুমিত্র। সে কথায় কিছুমাত্র মনোযোগ না দিয়া স্বরেশ্বরকে সম্বোধন করিয়া বলিতে লাগিল, “আপনি আমাকে একদিন অপমান থেকে রক্ষণ করেছিলেন স্বরেশ্বরবাবু সে কথা আমি একটুও ভুলিনি। কিন্তু আমি আজ আপনাকে তার চেয়ে অনেক বেশী অপমানের হাত থেকে রক্ষা করতে পারলাম না তার জন্যে আমাকে ক্ষম করবেন। এবাড়ীতে আর আপনি , আসবেন না ত৷ বুঝতে পারছি, কিন্তু দয়া করে একটা ভাল চরকা আমাকে পাঠিয়ে দেবেন, আমি আপনার উপদেশ-মত কাপড়ের দাম শোধ করব । কাপড়টা আমাকে দিয়ে যান ।” বলিয়া মুরেশ্বরেব হস্ত হইতে স্থমিত্রা বস্ত্রের বাণ্ডিলটা টানিয়া লইল । স্বমিত্রার এই অদ্ভুত এবং অপ্রত্যাশিত বাক্য শুনিয়া স্বঘ্নেশ্বরের মুখ হর্ষে এবং বিস্ময়ে প্রদীপ্ত হইয়া উঠিল। সে শাস্ত-স্মিতমুখে বলিল, “ভগবান তোমার মঙ্গল করুন স্বমিত্ৰা! তুমি যেমন করে আজ আমার মান রাখলে এর বেশী আর কি করে' রাখা যায় তা আমি জানিনে ! তুমি শুনে রাধ, আমার মনে আর কোন দুঃখ কোন গ্লানি নেই ! সেদিন তোমার খদ্দর-পরা অদ্ভুত মূৰ্ত্তি দেখে যে আশা জেগেছিল তা যে এত শীঘ্র এমন করে সফল হবে তা স্বপ্নেরও অগোচর ছিল। ভুলো না স্বমিত্র, আমাদের দেশের বড় দুরবস্থা ! তুমি শুধু তোমার জননীরই বস্ত নও, দেশমাতারও তুমি কস্তা।” তাহার পর জয়ন্ত্রীর দিকে ফিরিয়া স্বরেখর বলিল, |