পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] SSAS A SAS A SAS SSAS SSASAS AAAMS A S A SAS SSAS SSAS AAAAA SAAAAA SAAAAA AAAA AAAASAAAS আনন্দ-বাৰু অভিভূত কণ্ঠে বললেন, “রতন, তোমার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকৃব !” রতন বললে, “কেন বলুন দেখি ?” —“এমন স্বর্গের সন্ধান দিয়েছ ব’লে। এই ভাঙা দেউলের প্রাচীন স্মৃতি, মরুর বুকে এই কল্পনাতীত শু্যামলত, আকাশের এই অগাধ নীলিমা, স্বৰ্য্যের এই অবাধ আলো, বনের পার্থীর এই স্বাধীন গান আর প্রভাতের এই অপূৰ্ব্ব স্নিগ্ধতা,—এর সমস্ত মিলে আমাকে একেবারে বিভোর ক’রে তুলেছে! আর যে আমার ফিরতে ইচ্ছে হচ্ছে না !—স্বৰ্গ, স্বৰ্গ, এই তো স্বৰ্গ !” পূর্ণিমা বললে, “কিন্তু বাবা, এ স্বর্গে মশার অত্যাচার বড় বেশী, কাল সারারাত আমাদের ঘুম হয়-নি, সে-কথা কি এখনি ভুলে গেলে ?” আনন্দ-বাবু বললেন, “আজ সকালের এই আনন্দের প্রলেপে কালকের রাতের কষ্ট আমার তুচ্ছ মনে হচ্ছে।” পূর্ণিমা বললে, “কিন্তু আমি যে ভুলতে পারছি না, বাবা ; দেখন। আমার গায়ে এখনো মশার হুলের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে । আজ রাত্রে আমি আর কিছুতেই স্বৰ্গবাস করতে রাজি নই।” কিন্তু মশার এমন সুতীক্ষু স্থলও আনন্দ-বাবুর আনন্দকে কিছুমাত্র দমাতে পারে-নি। তিনি মাথা নাড়তে নাড়তে বার বার উচ্ছ্বসিত স্বরে বলতে লাগলেন, "চমৎকার জায়গা, চমৎকার জায়গা ! রতন, সেকালে এখানে যারা মন্দির গড়েছিল, তারা সকলেই নিশ্চয় কবি ছিল !” রতন বললে, “খালি এখানে কেন আনন্দ-বাবু, ভারতের প্রাচীন শিল্পীরা সৰ্ব্বত্রই কবিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। ইলোরা, অজস্তা, এলিফাণ্টা, কারলী, সালসতী, সাঞ্চী, ভরত, সারনাথ, গান্ধীর, উদয়গিরি, খণ্ডগিরি, বুদ্ধগয়া— এ-সমস্তই প্রকৃতির কোলের ভিতরে সাজানো আছে । একালেই শিল্পীরা হয়েছে সহরের দোকানদারের মত-- কিন্তু সেকাল ছিল কবিত্বের যুগ, আসল আর্টিষ্টের জন্ম সম্ভব হয়েছিল তাই তখনকার দিনেই ....কিন্তু স্থমিত্রাকে দেখতে পাচ্ছি না, সে কোথায় গেল ?” পূর্ণিমা বললে, “সে বেড়াতে যাচ্ছি ব’লে ঐদিকৃপানে গিয়েছে । আচ্ছা রতন-বাবু, কাল সকাল থেকে স্থমিত্রা

  • ్క_A^.

বেনে জল 8ரல் SAAA AAAAJAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMJJAAA AAAA AAAA AAAAMJJJJJMAAASAAAS এমন মন-মরা হয়ে আছে কেল, বলতে পারেন ? যে মানুষ হরবোলার মতন দিন-রাত বুলি না কেটে থাকৃতে পারে না, তার মুখ হঠাৎ এমন বন্ধ হয়ে যাওয়া আশ্চৰ্য্য নয় কি ?” স্বমিত্রার মুখ কেন যে বন্ধ হয়েছে, রতন তা ভালে-রকমই জানে। পরশু রাতের সেই ব্যাপারের পর থেকে মুমিত্রা আর রতনের সঙ্গে একটিও কথা কয়-নি— এমন-কি পূর্ণিমার সঙ্গেও আর ভালো ক'রে কথা কইছে না। সকলের মধ্যে থেকেও নিজেকে সে কেমন যেন বিচ্ছিন্ন ক’রে রেখেছে । আসল কারণ এখনো কেউ ধরতে পারে-নি বটে, কিন্তু রতন বেশ বুঝলে যে, স্বমিত্রার এই অশোভন ব্যবহার আরো বেশীক্ষণ স্থায়ী হ'তে দেওয়া উচিত নয়। তার সঙ্গে সন্ধিস্থাপন করবার জন্তে রতন উঠে দাড়িয়ে বললে, “আপনার বস্থন, আমি সুমিত্রাকে খুজে নিয়ে আসি।” পূর্ণিমা বললে, “শীগগির আসবেন, নইলে চা ঠাও। হয়ে যাবে।” বাংলোর হাতা থেকে বেরিয়ে, রতন চারিদিকে তন্নতন্ন ক’রে খুজলে, কিন্তু স্বমিত্রাকে কোথাও দেখতে পেলে না। তখন সে ভাবলে, স্থমিত্র। এতক্ষণে বোধ হয় অন্য পথে বাংলোতে ফিরে গিয়েছে।...সে আম্মনে ভাঙা মন্দিরগুলির চারপাশে ঘুরে বেড়াতে লাগল। ওদিকে চ যে ঠাণ্ডা হচ্ছে সে খেয়াল আর মোটেই রইল না । মন্দিরের আপাদমস্তক জুড়ে লতা-পাতা-ফুল, পশুপক্ষী আর পাথরে-গড়া জনতা ভিড় ক'রে আছে— –শিল্পীর বিচিত্র পরিকল্পনায় সেই জড় শিলাস্তপ যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে! শত শত ভাবের খেলা, অগুস্তি ভঙ্গীর লীলা, রূপ ও ছন্দের মেলা ; মন্দিরের যতটুকু টিকে আছে, ততটুকুর স্বচ্য গ্রপরিমাণ স্থানের মধ্যেই যেন প্রজাপতির পাখনার মত অপূৰ্ব্ব কারুকার্য্যের বাহার ! এক শূন্তচুম্বী প্রকাণ্ড মন্দিরকে এমনভাবে ক্ষুদে ক্ষুদে’ তৈরি করতে যে কি বিপুল ধৈৰ্য্যের আবশ্বক, রতন অবাক হয়ে তা ভাবতে লাগল । মন্দিরের টঙে গুম্বজের তলায় অনেকগুলো বড় বড়