পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిసిత, প্রবাসী-পৌষ, ১৩৩e ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড SAMMMMAMMAMAMMAMAMMAMAMMAMSAASAASAASAASAASA SAASAASSM SMS SMMMAM MeMMAMMMMMMAMM eMeMMM MMMMMAAMS MMMMMMSAMMAM AMMeM MAMSMMS SMMMMAMMAeAAMAMMAMAJSMSMSMS মূৰ্ত্তি দ্বাড়িয়ে আছে। সেগুলোকে একবার ভালো ক’রে পরখ করবার জন্তে রতন উপরে উঠ ল.সেখান থেকে চারিদিকে দেখা গেল সীমাহীন ধূ-ধূ করছে বালু-প্রান্তর, পৃথিবী যেন তার সমস্ত শু্যামল সম্পদ ফেলে অসীমের উদ্দেশে বিবাগী হয়েছে! দুরে—দিকৃচক্রবালরেখার পাশে ঠিক যেন একটি নীল-পেন্সিলের দাগ টেনে স্বৰ্য্যকরদীপ্ত সমুদ্র কোথায় চলে গেছে ! দূর থেকে সমুদ্রের বিশালতা আর বুঝবার যো নেই, তাকে মনে হচ্ছে একটি স্বদীর্ঘ নদীর রেখার মত !...রতন দাড়িয়ে দাড়িয়ে কল্পনায় দেখতে লাগল সেদিনের সেই হারিয়েযাওয়া চিত্রকে,-- মহাসাগরের লক্ষ লক্ষ তরঙ্গ যে-দিন গম্ভীর মেয়মল্লারে উচ্ছসিত হয়ে, প্রচণ্ড আবেগোল্লাসে কণারকের অর্ক-মন্দিরের পাষাণ-লে৷পান-তলে এসে মাথা নত ক’রে লুটিয়ে পড়ত !. & প্রধান মন্দির কবে ভেঙে পড়েছে, এখন কেবল মন্দিরের নীচের সামান্ত অংশ টিকে আছে—উপর থেকে সেখানটা দেখতে মস্ত একটা কূপের গর্ভের মত। রতন আস্তে-আস্তে তার মধ্যে নামূল। ভগ্ন-মন্দির-গর্ভে এখনো মন্থণ পাথরের রত্নবেদী দেবতাশূন্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে। বেদীর দিকে দুই পা এগিয়েই রতন সচমকে থম্কে দাড়িয়ে পড়ল...সেইখানে, বেদীর গায়ে ঠেসান দিয়ে, চুপ করে বসে আছে স্বমিত্রা–ঠিক যেন পাথরের পটে আঁকা পাথরেরই এক প্রতির্মার মতন !...তার মুখ বিষণ্ণ, আর দুই চোখ দিয়ে ফোট ফোটা অশ দুই গtল ব’য়ে গড়িয়ে পড়ছে ! অবাক্, স্তম্ভিত হয়ে রতন দাড়িয়ে রইল। স্বমিত্রাও রতনকে দেখতে পেয়েছিল, কিন্তু সে কোন কথা কইলে না—এমন-কি তার মুখেরও কোনরকম ভাবাস্তর পর্য্যস্ত হ’ল না। এখানে এমন ভাবে এ-সময়ে সুমিত্রীকে যে দেখতে পাবে, একথা রতন স্বপ্নেও ভাবে-নি । আর, প্রাণের কী লুকানো ব্যথা তার দুই চোখকে আজ এমন সজল ক'রে তুলেছে ! " রতন জানত, বয়স হ'লেও স্বমিত্রা বালিকা মাত্র ! বালিকার মতই সে নির্বিচারে যা মুখে আসে তাই ব’লে ফেলে, ঝগড়া করে, আড়ি করে, আবার গায়ে পড়ে ভাব করে,-কিন্তু এবারে তার কি হয়েছে ? পরশু রাতে, কণারকের মাঠে সে অমন হঠাৎ রেগেই বা গেল কেন, স্ত্রার বার বার আড়ালে এসে এ-রকম ক’রে তার কাদবারই বা কারণ কি ? সে তো স্বমিত্রাকে বিশেষ কিছু বলে-নি, কেবল তার অস্থায় মুৰ্থরতার জন্তে মৃদু ভৎসনা করেছে মাত্র । এর னே ঢের বেশী কড়া কথা সুমিত্রা তো কতবার হেসেই উড়িয়ে দিয়েছে --- - - রতন মনে মনে এম্নি সব তোলাপাড়া করছে, ততক্ষণে স্বমিত্র। আপনাকে সাম্লে নিয়ে হঠাৎ দাড়িয়ে উঠল। তার পর কোন কথা না কয়েই সেখান থেকে চ’লে যেতে উদ্যত হ’ল । - রতন তাড়াতাড়ি তার সম্লে এগিয়ে এসে বললে, “যেও না সুমিত্রা, দাড়াও ।” সুমিত্র দাড়িয়ে পড়ে নির্বাকৃভাবে তার . মুখের পানে তাকিয়ে রইল । রতন বললে, “স্থমিত্র, তুমি কাদচ কেন ?” স্বমিত্র। মাটির দিকে চোখ নামিয়ে খানিকক্ষণ নীরব থেকে বললে, “রতন-বাবু, আপনার আজকে কি কণারকেই থাকবেন ?” - —“হ্যা, আনন্দ-বাবুর তো ইচ্ছা তাই ।” —“কিন্তু আমার আর এখানটা ভালো লাগছে না।” —“বেশ, আনন্দ-বাবুকে তোমার কথা জানাব।” —“হঁ্যা, জানাবেন—আমি আজ কেই যেতে চাই ।” —“কিন্তু তুমি আমার কথার তো কোন জবাবই দিলে না !” —“কি কথা ?” .' —“কেন তুমি আমার উপরে রাগ করে আছ ? কেন তুমি কাদছ?” * * * * —“আমি আপনার উপরে রাগ করি-নি।” - , —“রাগ কর-নি! তবে তুমি আমার সঙ্গে কথা, বন্ধ করেছ কেন ?" - . . " —“কারণ আপনার কথা কইবার লোকের অভাব নেই।” .*. w স্বমিত্রা এখনো তাকে আঘাত দিতে ছাড়ছে না ।