পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ডঙ্কা-নিশান ‘LI SeeeSS SeeMMeA AMAeMAMMeAMA AMM MAMA MAM MAMMS MMM MMMS MMAM AeMAM AMAAM eeMAAMAeeAMAeeSAAA AMMA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAAMS MMMA AeeMMe MA MMA AMAe MAAA AAAA AAAA AAASAAAS দশ কোটি মুদ্রা দণ্ডকর দিতে হবে, তা নইলে বৈশালীর সমস্ত অধিকারে, মগধের নির্দিষ্ট রাজপুরুষ অর্থাৎ মগধের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।. অবশ্য যতদিন দণ্ডকরের টাকা শোধ না হয় এ শাসন-প্রতিষ্ঠা ততদিনই বলবৎ থাকৃবে ।” চন্দ্রগুপ্ত ঘাড় নেড়ে বললেন—“শেষের সৰ্বে বৈশালী সম্মত হবে ব’লে মনে হয় না। তা’ ছাড়া আমি উচ্ছিন্ন সন্ধির পক্ষপাতী নই।” শকটার বক্রদুষ্টিতে চেয়ে বললেন—“কুটুস্বিতা ন৷ হ’তেই কুটুম্ব-প্রীতির উদয় হ'ল নাকি ?” চন্দ্রগুপ্তের মুখ লাল হয়ে উঠল। তিনি তৎক্ষণাং “আত্মসংবরণ ক'রে বললেন--“আপনি আমায় ভুল বুঝবেন না, আমার বক্তব্য এই, যে, রাজধানী থেকে যখন নিয়মিত সৈন্তভোজ্য আসছে না, তার মানে ইন্দ্রমূর্তির দল প্রবল হয়েছে । মহাবাজের অস্নখ দেখে এসেছি , সম্ভবত: তার পীড়ার বুদ্ধি ঘটেছে, আর আপনি এইমাত্র বললেন মনক্ষত্রও তাই লিখেছেন। আর মুনক্ষত্র ন৷ লিখলেও এটা অহমান কবা কঠিন নয, কারণ, তিনি সুস্থ থাকুলে সৈন্য-ভোজ্যেব এরূপ অব্যবস্থা পটুত না । তদ্ভিন্ন কিরাত-গ্রামে যাবার ঠিক আগে পাটলিপুত্র থেকে কিছু সৈন্য প্রার্থন করেছিলাম। এপর্য্যন্ত সৈন্য ও পাই নি, চিঠির উত্তরও পাই নি। মহারাজের পীড়া সত্যিই বৃদ্ধি হয়েছে ; সুতরাং আমাদের চিন্তিত হবার যথেষ্ট কারণ ঘটেছে। এ অবস্থায়, শত্রু যখন নিজে থেকেই শরণাপন্ন হয়েছে, তখন তার গলায় প। না দিয়ে একটু উদারতা দেখালে ক্ষতির চেয়ে লাভের সম্ভাবনাই বেশী । সন্ধির সর্ব নিয়ে তর্ক ক’রে দিল কাটাবাব মতন দীর্ঘ সময় আমাদের হাতে নেই। রাজধানীতে তাড়াতাড়ি ফিরে গিয়ে, মহারাজের শয্যাপার্শ্বে উপস্থিত থাকা পুত্র হিসাবে আমার কৰ্ত্তব্য, এবং উত্তরাধিকার হিসাবে আবশ্যক ৷” “কিন্তু বৈশালী যদি এরূপ অপনা থেকে আত্মসমর্পণ ন করুত ? তা হ’লে তো বিলম্ব করতেই হ’ত ।” “রাজনীতিতে ‘হ’তে পাবৃত’র জায়গা নেই । যা হয়েছে বা ষা’ হ’তে পারে, শুধু তাই নিয়েই আমাদের কারবার। মগধের বিচক্ষণ মহামাতাকে সে কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া বাহুল্য ব'লে বিবেচনা করি।” “আপনি রুষ্ট হবেন না, আমি আপনাকে পরীক্ষা করছিলাম।” w “আপনি আমার হিতৈষী, আমি আপনার উপর রাগ করতে পারিনে। যদি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করি দমন করবেন ।” শকটার প্রসন্নমুখে বললেন—“কুমার, আমি আপনাকে মগধের ভবিষ্যৎ সম্রাটু ব’লেই মনে করি । তা’ ছাড়া এ অভিযানের আপনি সেনাপতি । সেইজন্যে আপনার সঙ্গে পরামর্শ অবশ্য-করণীয় ব’লে মনে করি।” চন্দ্রগুপ্ত বললেন—“আমার মতামতের খুব বেশী মূল্য আছে ব’লে আমি মনে করিনে। কারণ, আমি জানি অfপনাদের কাছে আমি বালক । আপনি জিজ্ঞাসা করলেন, তাই বললাম। বললাম ব’লেই যে সে মত গ্রহণ করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই । আপনি বহুদৰ্শী, বিচক্ষণ ; বর্তমান ক্ষেত্রে আপনি যা শ্রেয় মনে করেন তাই করবেন । যুদ্ধেব প্রয়োজন হয়, আদেশ করবেন, আমি যথাসাধ্য করতে ক্রটি করব না । কিন্তু রাজনীতির পাকা চাল চালা কঁাচা মস্তিষ্কের কৰ্ম্ম নয় ।” “ত হ’লে সন্ধির সূর্ত এখনি লিখে পাঠানো যাক ?” “ক্ষতি কি ?... .ভালো কথা, বিবাহের প্রস্তাব সম্বন্ধে মহারাজকে না জানিয়ে পাকা করা উচিত হবে কি ?” “সময় অল্প, নইলে নিশ্চয়ই জানাতাম। আর তা ছাড়া বীরপুরুষেরা বলেন,—শত্রুর দুর্গ দখল করতে বা সুন্দরীর পাণিগ্রহণ করতে দিনক্ষণ দেখবার ও অবকাশ নেই ; আর অন্যের মতামত নেবার০ অবসর নেই ; ও ভগবানের নাম ক’রে নিয়ে ফেলতে হয় । তাব পর তিনি য। করেন ।” দশম পরিচ্ছেদ সীমা-সাক্ষী শকটার বিদায় হ’য়ে নিজের শিবিরে চ'লে গেলে, চন্দ্রগুপ্ত র্তার একজন বাহুৎসার বা শরীর-রক্ষীকে ডেকে মদীপাত্র ও লেখনী চাইলেন। অনেক দিন