পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిసెb জলাশয় ও চিকিৎসালয় গ্রামের পূর্বপাড়ায় ডিট্ৰিষ্ট বোর্ডের একটি বৃহৎ ঠদার। च्हेप्टे । ইংরেজী ১৯২০ সনে দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে গ্রামে জেলা বোর্ডের একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপিত হইয়াছে। ৮ বিনোদলাল পাকৃড়াশী মহাশয়ের পুত্রগণ চিকিৎসালয়ের স্থান ও পিতার স্মৃতিতে গৃহ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছেন । চিকিৎসালয়ে আধুনিক-শিক্ষাপ্রাপ্ত সুযোগ্য ডাক্তার আছেন । ইহা ছাড়া গ্রামে দুইজন কবিরাজ দুইজন য়্যালোপ্যাথিক ও তিনজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক আছেন । অর্থোল্পতি গ্রামে থাকিয়া অর্থোপার্জনের সুযোগ-সুবিধা স্থষ্টি করিবার জন্য নানা-প্রকার উপায় উদ্ভাবন করা হইয়াছে ও হইতেছে । গ্রামে ৫টি জমিদারী কাছারী ও একটি উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় অাছে। তাহাতে অনেক কৰ্ম্মচারী ও শিক্ষক নিযুক্ত আছেন। তা ছাড়া ইং ১৯০৭ সন হইতে একটি সব -রেজেষ্টারী অফিস স্থাপিত হওয়ায় বহুসংখ্যক কেরানী ও প্রায় ৩০টি লোক দলিল লেখার কার্য্যে নিযুক্ত আছে। স্থানীয় জমিদার শ্রীযুক্ত সুরেশচন্দ্র পাকুড়াশী মহাশয়ের উদ্যোগে চার বৎসর যাবৎ গ্রামে স্থল ইন্ডাষ্টিয়াল ব্যাঙ্ক, প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ব্যাঙ্কটি ৪ বৎসর কার্য্য করিয়া দুষ্ট বৎসর যাবৎ শতকরা ১৫২ হারে ডিভিডেণ্ড দিতেছে । ব্যাস্কে তীর্থবাসীদিগের স্থায়ী অামানতের উপর অধিক সুদ দিবার ব্যবস্থা আছে এবং ডিরেক্ট র বোর্ডে সুদক্ষ সজ্জন ব্যক্তি থাকায় ব্যাঙ্কের স্বনাম প্রতিষ্ঠিত হইয়া আমানত বৃদ্ধি পাইতেছে । বয়ন বিদ্যালয় পাবনা জেলায় বহু তাতীর বাস, বিশেষত: সিরাজগঞ্জ মহকুমায় প্রায় ৫ হাজার বস্ত্রশিল্পীর বাস। মিহী ধুতি, শাড়ী ও মসলিন থানের উপর মুগা ও জরির কাজ করিয়া এই-সকল তাত উংকৃষ্ট কারুকার্য্য দেখাইয়াছে । মধ্যযুগে কিছুদিন তা তীগণ বয়নশিল্প ত্যাগ করিয়াছিল। তৎপরে শ্ৰীযুক্ত দেবেশচন্দ্র পাকুড়াশী মহাশয় জেলাবোর্ডের মেম্বর থাকিবার সময় তাহার যত্নে ইং প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩ AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAS AAASASAAAAASA SAASAASAA AAAA AAAA AAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASMMMS SSAS SSAM MMMASAMSAMAM MAMMAMAMAM AMAAMAMMMMeAMAeMMS [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড । ১৯২০ সনে স্থল গ্রামে একটি ভ্রমণশীল বিদ্যালয় স্থাপিত হয় । এই বিদ্যালয়ে বহুসংখ্যক তন্তুবায় উন্নত প্রণালীর বয়নবিদ্যা শিক্ষা করিয়া যথেষ্ট অর্থোপার্জনে সক্ষম হইয়াছে। তাহার পর হইতেই তাতীদের অদম্য উৎসাহ দেখা দিয়াছে। তাহারা সকল অস্থবিধা দূর করিয়া উন্নত প্রণালীর ব্যবসাপদ্ধতি দ্বারা পল্লীর অর্থোল্পতি সাধনের ও বেকার সমস্যা মোচনের জন্য বদ্ধপরিকর হইয়াছে। স্থানীয় জমিদার শ্রীযুক্ত শিবেশচন্দ্র পাকুড়াশী, এম-এ,বি-এল, মহোদয়ের নেতৃত্বে স্থল উইভিং এও, স্পিনিং কোম্পানী নামে একলক্ষ টাকা মূলধনের একটি লিমিটেড কোম্পানী গঠিত হইয়াছে । এই কোম্পানীর কারখানায় একটি বয়ন বিদ্যালয় আছে । স্থানীয় ও বিদেশাগত অনেক যুবক বয়নশিল্প দ্বারা বেশ অর্থোপার্জন করিতেছে । ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিবেশবাবুর স্বকীয় তত্ত্বাবধানে কোম্পানীটি উন্নতি লাভ করিতেছে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই এই কোম্পানী সৰ্ব্বভারতীয় প্রদর্শনী উপলক্ষে কলিকাতায় অতি সস্তাদরে সুন্দর বস্ত্রাদি প্রদর্শন করিয়া একটি সুবর্ণপদক প্রাপ্ত হইয়াছে । সিরাজগঞ্জ স্বদেশী ইনডাষ্টিয়াল একজিবিসনে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়া আরএকটি পদক প্রাপ্ত হইয়াছে। কোম্পানীটি অল্পদিনের মধ্যেই উন্নতিশীল হওয়ায় সাধারণে সাগ্রহে অংশ ক্রয় করিতেছে। কোম্পানীটির এইরূপ উন্নতি দেখিয়া ২৫ লক্ষ টাকা মূলধনে সিরাজগঞ্জে একটি কটন মিলস্ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চলিতেছে । সম্ভবতঃ সত্বরই উহার উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হইবে । - গ্রামে ৩৪টি মুদীখানা আছে বটে, কিন্তু সস্তাদরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করিয়া মিউনিসিপালিটীর নিয়মে হাটবাজার পরিচালন, আলো-প্রদান ও অন্যান্য কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিবার উদ্দেশ্বে “স্থল ষ্টোর্স” নামে একটি লিমিটেড, কোম্পানী খোলা হইয়াছে। সিরাজগঞ্জ মহকুমায় বহু তাতীর বাস এবং স্থত। বিক্রয়ের বৃহৎ দুইটি হাট আছে, কিন্তু পাকা রংএর কোন কারখানা এঅঞ্চলে নাই । সেজন্য নানারূপ অসুবিধা বোধ হইত। শ্ৰীযুক্ত তারেশচন্দ্র পাকড়শী মহাশয়