পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o 8

صباح عیسی مسیس مصمیم مجتمامیر سیارہ سمہ۔ مہ۔ -ـح حم^**" মাসেই এইরূপ যুক্তিতর্কহীন ভ্রান্তিপ্রমাদপূর্ণ প্রবন্ধাদি দেখা যাইতেছে । লেখকলেখিকার রচনা দেখিলে বোধ হয়, আমাদের দেশে বুঝি বা অন্তত দুচার লাখ মেয়েই হাত-বেড়ি ফেলিয়। শামল মাথায় দিয়া উকিল ব্যারিষ্টীর জজ ম্যাজিষ্ট্রেট হইয়া বসিয়াছেন, কম করিয়া ১০।১৫ হাজার অন্তঃপুরিকা হয়ত বুটু ও বনেট পরিয়া রাজপথে দিবারাত্রি টহল দিয়া বেড়াইতেছেন, দেশব্যাপী স্কুলে কলেজে মেয়ে আর ধরে না, আফিসে আদালতে মহিলা কৰ্ম্মচারীর ভিড়ে ইটো-চলা দুষ্কর এবং ঘরে ঘরে মাতৃস্নেহ বঞ্চিত শিশুপাল দিবারাত্রি মুথব্যাদান করিয়া কাদিয়া কাদিয়া মরিতেছে। তাই সদয়হৃদয় লেখকলেখিকার দেশের এই ঘোর দুর্গতি নিবারণ করিবার জন্য দুই হাতে কলম লইয়া সব্যসাচী হইয়া সমরে নামিয়াছেন। কিন্তু হায় রে বিড়ম্বন ! এই শিশুমাতৃক নিরক্ষর দেশের মুষ্টিমেয় বালিকার “বোধোদয়” ও “ষ্টেপ বাই ষ্টেপ এর বিরুদ্ধে এ বিরাট অভিযান কেন ? স্ত্রীশিক্ষা স্ত্রীস্বাধীনতা যেীবনবিবাহ বিধবাবিবাহ প্রভৃতি কয়েকটি সমস্যা লইয়া এই-সকল লেখক-লেখিকার আহার-নিদ্রা ঘুচিয়া গিয়াছে। সকলগুলির সপক্ষের যুক্তি দেখানো এবং বিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন করা একসঙ্গে সম্ভব নয় । সুতরাং আমরা স্ত্রীশিক্ষাকে সৰ্ব্বাগ্রে স্থান দিয়া ক্রমশ অন্যান্য বিষয়ে কিছু বলিব । সভ্য জগতে भाश्ष' জন্মাবধি নানা শিক্ষার ভিতর দিয়াই বাড়িয়া উঠে ; একেবারে শিক্ষণবিহীন হইয়া আধুনিক জগতে কোনো মাহুষেরই জীবনযাত্র নির্বাহ করা চলে না। শিক্ষা, স্ব হউক, কু হউক, অল্প হউক, বিস্তর হউক, মানুষের জীবনের একটি অঙ্গ হইয়া দাড়াইয়াছে । সুতরাং স্ত্রীলোকও যখন মানুষ, তখন সংসারে টিকিয়া থাকিবার জন্যই তাহারও যে কিছু শিক্ষার প্রয়োজন, ইহা অতিবড় "সনাতনপন্থী"ও স্বীকার করিবেন। তর্ক হইতেছে শিক্ষার মাত্রা ও প্রকার লইয়। একের মতে যাহা অল্প শিক্ষা, অন্যের মতে তাহাই অতিরিক্ত ; একের কাছে যাহা স্থ, অষ্ঠের কাছে তাহাই কু। তবে প্রমাণটা যুক্তির সাহায্যে না দিয়া বাক্যজলি বস্থার দ্বার দিলে মামুষে মানিয়া লইতে আপত্তি করিতে পারে। প্রবাসী—পৌষ, ১৩৪১ [ २०° छांग, २घ्न १७ শিশুকে হাত ধরিয়া চলিতে শিখানে, আবৃত্তি করাইয়া কথা বলিতে শিখানো, গুরুজনের দেখাদেখি আচার ব্যবহার, ভালমন্দ বিচার শিখানে, সব-কিছুই শিক্ষণ । যে-কোনো উপায় অবলম্বন করিয়া মানুষের মনোলোকের স্বপ সৎপ্রবৃত্তিগুলিকে ( কুশিক্ষণ হইলে অসৎ প্রবৃত্তিসমূহকেও) জাগাইয়া তোলা হয়, অস্ফুট গুণসকল বিকশিত করিয়৷ তোলা হয়, নব নব চিন্তার ধারা মনে আনিয়া দেওয়া হয়, অস্তদৃষ্টি, দূৰদৃষ্টি ও জ্ঞানসম্ভার বৃদ্ধি করা হয়, বোধ ও বিচার-শক্তি শাণিত ও মার্জিত করা হয়, স্বরুচি গড়িয়া তোলা হয় এবং ব্যবহারিক জীবনে মাতুষকে সংযত শোভন ও আত্মনির্ভরশীল হইতে সক্ষম করা হয়, তাহাই শিক্ষা । কিন্তু এ জগতে শিক্ষার বিষয় এত অসংখ্য ও বিচিত্র যে প্রত্যেক মানুষকে মুখে মুখে মোটামুটি সকল শিক্ষা দিতে হইলে ছাত্রপ্রতি দশ বিশ হাজার গুরুর প্রয়োজন হয় । তা ছাড়া, দেশবিদেশ হইতে সেই-সকল গুরু সংগ্ৰহ করিতে মামুষের প্রাণাস্ত ও সৰ্ব্বস্বাস্ত হইয়া যায়। এবং যে-সকল গুরু পার্থিব জগৎ হইতে চিরদিনেব জন্য বিদায় গ্রহণ করিয়াছেন, র্তাহীদের শিক্ষার স্বাদ হইতে মাতুষকে অfজীবন বঞ্চিত থাকিতে হয়। অতীতের জ্ঞানসম্ভারকে সভ্য মানুষ যুগযুগান্তর ধরিয়া ব্যবহার করিয়া আসিতেছে এবং বৰ্ত্তমানের মানুষ ভবিষ্যতের জন্য তাহাকে আর ও সমৃদ্ধ করিয়া বংশধরদের দান করিয়া যাইতেছে। মানুষ যদি গুরুরূপে অতীতকে এক দিনের জন্যও অস্বীকার করিত, তবে জগদব্যাপী এই সভ্যতা এক নিমেষে ধুলিসাৎ হইয়া যাইত। এই সভ্যতার ধারা বজায় রাখিবার জন্য ও শিক্ষণকে সহজ করিবার জন্য অক্ষর পরিচয় ও পুস্তক পঠন ও লিখন এবং ক্রমশঃ আরো নানা নূতন বৈজ্ঞানিক উপায়কে বর্তমান জগৎ শিক্ষার বাহনরূপে ব্যবহার করিতেছেন। স্বতরাং বৰ্ত্তমানে যদিও পুস্তকপাঠ ও শিক্ষণ শব্দ-দুটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়, তবু প্রচ্ছন্নরূপে এই কথাটা মানুষের মনে সৰ্ব্বদাই থাকে, যে, লিখন ও পঠন ব্যাপারটা প্রকৃত শিক্ষার সোপান মাত্র। মানুষ মানুষের নিকটই শিক্ষা পায়, অক্ষর ও পুস্তক কেবল একের নিকট হইতে আরএক জনের নিকট তাহা পৌছাক্টয়া দেয় মাত্র। অবশু,