পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و& e 8 S AASAASAASAAASSS SAAAAAS AAASASAAAAAS AAAAA SAAAAA S শরণ লইতে দৌড় দেন, তখন কয়জন নারী তাহীদের ফিরাইয়া দিয়াছেন জানিতে পারি কি ? পথে একটা গুণ্ডার ছোরার ভয়ে রাস্তার দুই ধারের পুরুষ যখন দরজায় হুড় কা দিয়াছেন, তখন কয়জন নারী দ্বার খুলিয়া স্বামীপুত্রকে বিপক্সের উদ্ধারের কাজে পাঠাইয়াছেন, শুনিতে বড়ই ইচ্ছা হয় । “হিন্দুনারী কখনও অন্যায় ও ভণ্ডামি সহ করিতে পারে নাই ।” তাই আহারেবিহারে, কথায় কাজে, হাটিতে চলিতে, পুরুষদের নিষ্ঠাবত্তা’র আর অন্ত নাই। কলিকাতার রাস্তার দুই ধারে চায়ের দোকানের বাহুল্য দিন দিনই বাড়িতেছে। সেখানে নিষ্ঠাবান হিন্দুর জঠরে কত যে কুকুট-বংশের অবতংস নিত্য যাইতেছে তার ঠিকানা নাই। ট্রামের গাড়ীতে কণ্ডাক্টারের সঙ্গে কোম্পানীকে ঠকাইতে কত সাত্বিক পুরুষ প্রত্যহ জল্পনায় মাতিতেছেন, তাহার হিসাব নাই । ধৰ্ম্মপ্রাণ কত ধুরন্ধর যে কলিকাতার স্থানবিশেষে নিশাচরবৃত্তি অবলম্বন করিয়া ভারতের মুখ উজ্জ্বল করিতেছেন, তাহারই বা কে ঠিকানা রাখে ? দেবীনামধেয়া কত হিন্দুনারী যে শাশুড়ী ননদ ও স্বামী প্রভৃতির প্রীতির আতিশয্যে আদালত ও যমালয়ের শরণ লইতেছেন, তাহাও প্রতিদিনের দৈনিক-পত্রের ফাইল ঘাটিলেই দেখা যায়। আমাদের ঘরে ঘরে "যে-সব পরিানী শয়তানের শয়তানী পুড়াইয়া ছাই করিয়া দিতেন” বলিয়া মাসিক-পত্রের লেখিকাদের কাছে শুনি, আজকাল খবরের-কাগজে দেখি তাহার পিতাকে কন্যাদায় হইতে উদ্ধার করিবার আশায় কিম্বা স্বামীকে চরিতা করিবার সদুদেখে যখন-তখন কেরোসিন গায়ে ঢালিয়া নিজেরাই পুড়িয়া মরিতেছেন। (১৯২১ গুচাবে ৩৭৫০টি রমণী বাংলা দেশে আত্মহত্য করিয়াছে। ) “অবরোধ-প্রথাও" নাকি আমাদের মধ্যে নাই, তাহ "পূৰ্ব্বে মুসলমান নবাব বাদশার হারেমে * ছিল ।” তবে রেলপথে সঙ্গী পুরুষের মুখ না দেখিয়াই আহ্বান শুনিয়া প্রতারকের পিছনে গাড়ী ছাড়িয়া নামিয়া যায়, এরূপ স্ত্রীলোক সম্বন্ধীয় সত্য SAAAA AAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS S S S S م. ہا۔ --م۔-- . ----- প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩• SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS

  • "অসুর্যাম্পশ্যরূপ," "আন্তঃপুরিক," প্রভৃতি কথাগুলি তাহণ इङ्ग्रेल आँझौ क्षि फोब्रनौ !

[ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড S S S S S SAAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ঘটনা কোন দেশের ? পুরুষ ডাক্তারের চিকিৎসার ভয়ে বা লেডি ডাক্তারের অভাবে ক্ষয়কাশ, স্মৃতিক ও নানা স্ত্রীরোগে ভুগিয়া অকালে মাতৃহীন অপোগণ্ড শিশুদের ফেলিয়া পরলোকযাত্রা করে কাহারা ? বাহিরে আসিয়া অন্ন উপার্জন করিবার লজ্জায় সস্তান সহ আত্মহত্যা করিয়াছিল কোন দেশের মেয়ে ? উচ্চ প্রাচীর ও বদ্ধ জানালার উৎপাতে বিধাতার বায়ু বিষ হইয়া প্রাণবধ করে কোন দেশের মেয়েদের ? গাড়ীর অভাবে স্ত্রীশিক্ষার প্রসার বাধা পাইতেছে কোন দেশে ? অবরোধ-প্রথা সহরে এবং ভদ্রলোকদিগের মধ্যেই বেশী । সহরের মৃত্যুর হার তুলনা করিলে দেখিবেন, কলিকাতায় হাজারে যেখানে ২৮৪ পুরুষের মৃত্যু হয় সেখানে ৪৪-১ গ্রীলোকের মৃত্যু হয়। অথচ মোট মৃত্যুর হার বাংলা দেশে পুরুষের হাজারকরা ৩•’৬ এবং স্ত্রীলোকের ২৯৭ শুনা যায় জীবিত মামুষের চেয়ে ভূতের গতিবিধি বেশী দ্রুত ও ব্যাপক । তাই বোধ হয় নবাবের হারেমের মৃত অবরোধ প্রথা ভূতযোনি লাভ করিয়া বাংলার ঘরে ঘরে ছড়াইয়া পড়িয়াছে। কেহ হয়ত বলিবেন, যে, হিন্দুনারীর এই যে-সকল অবনতির দৃষ্টান্ত দৈনিক-কাগজের পৃষ্ঠায় এবং আদম-মৃমারীর রিপোর্টে দেখা যায়, তাহা আধুনিক শিক্ষারই ফল ; এই শিক্ষা না থাকিলে হিন্দু নারী সতী, সাবিত্রী, পদ্মিনী ও লক্ষ্মীবাঈর মতই ঘরে ঘরে বিরাজ করিতেন। কিন্তু সেন্সস রিপোটেই দেখা যায়, যে, ১৯২১ খৃষ্টাবেও পাচ বৎসরের অধিকবয়স্ক নারী বাংলা দেশে হাজারকরা ২১জন মাত্র লিখিতে ও পড়িতে জানেন, অর্থাৎ চিঠি লিখিতে ও পড়িতে পারেন । ইহঁারা উচ্চশিক্ষিতা নহেন, “ইব সেন ব্রাউনিং কীটুসের লেখা, Tolstoyএর deal সম্বন্ধে বিশেষভাবে আলোচনা করেন না,” এমন কি “ইংরেজীনবীশ”ও নহেন । বাংলা দেশে পাচ বৎসরের উৰ্দ্ধবয়স্ক দশহাজার স্ত্রীলোকের মধ্যে মাত্র তেইশজন ইংরেজী পড়িতে ও লিখিতে জানেন । স্বতরাং প্রতি দশ হাজারে বাকি ৯৯৭৭ জন স্ত্রীলোকের সাবিত্রীর মত যমালয় হইতে স্বামী-পুত্রকে ফিরাইয়া আনিবার, পদ্মিনীর মত শয়তানের শয়তানী পুডাইয়া ফেলিবার, সীতার মত রাবণ দলন করিবার, জীবনযুদ্ধের উপযোগী সন্তান গড়িবার এবং