পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য। ] অপকর্ষ, বাজারদর, গৃহনিৰ্ম্মিত ও ক্রীত জিনিষের প্রভেদ প্রভূতিও জানিতে হয়। বুদ্ধি মার্জিত ও শাণিত না হইলে, এই-সকল বিদ্যা শিক্ষা ও অনুশীলন না করিলে এবং নানা জায়গায় যাওয়া আসা না থাকিলে এত জ্ঞান থাকা সম্ভব হয় না। আদর্শ গৃহকত্রীর কমসম করিয়া পঞ্চাশ যাটটা বিদ্যা জানা থাকা দরকার। উপরে যে-সকল বিদ্যার উল্লেখ করিলাম তাহ ছাড়াও খাদ্যের পুষ্টি ও মূল্যের তুলনামূলক জ্ঞান, পচনশীল খাদ্য নির্বাচনক্ষমতা, পাইকারি খরিদের স্থবিধা ও উপায় সম্বন্ধে জ্ঞান, সমবায় প্রথার সাহায্যে ব্যয়সঙ্কোচ, বৈজ্ঞানিক উপায় ও যন্ত্রের সাহায্যে অল্পশ্রমে অধিক কাৰ্য্য করিবার জ্ঞান, সময়ের ফলমূল অকালের জন্য টাটুকা অবস্থায় সঞ্চয় করিবার জ্ঞান, রন্ধনের বৈজ্ঞানিক প্রণালী, খাদ্যে ও বস্ত্রাদিতে ভেজাল ধরিবার ক্ষমতা, গরম ও ঠাণ্ড কাপড়ের সুবিধা অস্থবিধা ও সৌন্দৰ্য্য, কাপড় কাচ, ইস্ত্রী করা, দাগ তোলা, রিপু করা, রং করা, পোষাক কাটা ছাটা, প্রভৃতি বহু জ্ঞান গৃহিণীর নিত্যকার্য্যে দরকার হয় । স্ত্রীলোক, বৃদ্ধ ও শিশুসন্তানগণ জীবনের অধিকাংশ সময় গৃহেই কাটায় ; সুতরাং বাসগৃহ কি রকম পল্লীতে, কিরূপ বায়ু ও আলোক চলাচলের উপযুক্ত স্থানে হওয়া উচিত, তাহাও স্ত্রীলোকের জানা দরকাব। গুহসজ্জা ও সংস্কারের জ্ঞান, গৃহের ভাড়া ও স্ববিধার তুলনামুলক জ্ঞান, মামুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গৃহের আবি-হাওয়ার প্রভাব কি প্রকার, তাহাও জানিতে হইবে । সাংসারিক আয়ের কতখানি অংশ খাওয়াপর, শিক্ষা, আনন্দলাভ, দান ধ্যান সঞ্চয় ও ভ্রমণ প্রভৃতিতে ব্যয় করিলে প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ হয়, তাহাও গৃহিণীকেই স্থির করিতে হইবে। শুধু গৃহধৰ্ম্ম পালন করিবার জন্যই স্ত্রীলোকের এইরূপ নানা জ্ঞানের প্রয়োজন আছে। পরিবারের দুইটি চারটি ঠাকুরমা কিম্বা দিদিমার নিকট এত শিক্ষা সম্ভব নহে। একে ত দিদিমারা নিজেরাই অতিসামান্য শিক্ষাই পাইয়াছেন, তাহার উপর তাহদের অভিজ্ঞতাও কেবল দুই একটি পরিবার সম্বন্ধে । তাহারা ভাল যাহা শিথাইতে পারেন, তাহ অবজ্ঞেয় নহে ; কিন্তু তাহা যথেষ্টও নহে । “নারী-সমস্যা” AMMMMMAMAMA AMAMAMAMAMMAeM MMAeMMAMMAMMA SAMMAMSASAS SSAS SSAS MAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAAA 8 రిషి SAA AAA AAAA AAAA AAAA AAAAeMAMAJS এই বৈজ্ঞানিক যুগে যখন কোটি কোটি মামুষের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাকে বিজ্ঞান, পুস্তকপ্রচার, বায়োস্কোপ, রেডিও প্রভৃতি উপায়ের দ্বারা অতি স্থলভ করিয়া দিতেছে, তখন চোখ বুজিয়া তাহ ফিরাইয়া দিয়া একমাত্র দিদিমার মুথের দিকে তাকাইয়া থাকা কি অতিবড় মূখের কাজ নয় ? স্কুলকলেজের শিক্ষার যাহারা বিরোধী, র্তাহারা হয়ত বলিবেন উপরোক্ত বিদ্যাসকল স্কুলকলেজে শিক্ষা দেওয়া হয় না ; সুতরাং সেখানে শিক্ষালাভ করা বৃথা। আধুনিক স্কুল-কলেজগুলি আদর্শ নয় জানি, কিন্তু সেজন্য সেগুলিকে বর্জন না করিয়া সংস্কার করাই দরকার। যতদিন ংস্কার না-ও হয়, ততদিন অশিক্ষার চেয়ে সামান্ত শিক্ষণও ভাল। দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষ দুধকল না পাইলে ক্ষুদ-কুঁড়া ফেলিয়া দেয় না। আধুনিক শিক্ষা আর কিছু না শিখাইলেও বাংলা ইংরেজী সংস্কৃত পড়িতে শিখাইয়াও মানুষের প্রভূত উপকার করিয়াছে। স্কুলে কলেজে যে বাংলা ইংরেজী পড়িতে শিখিয়াছে, সে ইচ্ছা করিলে এবং স্বযোগ পাইলে স্বাস্থনীতি, অর্থনীতি, চিকিৎসা, বিজ্ঞান প্রভৃতি বহু প্রয়োজনীয় বিদ্য নিজ চেষ্টাতেই শিক্ষা করিতে পারে । মামুষ যে-কোন ভাষা ও বিদ্যাই শিক্ষা করুক না কেন, তাহাতে তাহার অপকার অপেক্ষ উপকারই বেশী হয় । তাহার জ্ঞান ও আনন্দ লাভের ক্ষেত্র প্রত্যেক নবার্জিত বিদ্যার সহিত বিস্তৃতি লাভ করে | সংসারধৰ্ম্ম পালনের পর বহু স্ত্রীলোকেরই অবসর থাকে । এই অবসর-কালটা নিজের ও পরিবার-পরিজনের পক্ষে স্থখকর ও আনন্দময় করিয়া তুলিবার জ্ঞান থাকা স্ত্রীলোকের দরকার। যে পরিবারে অর্থাভাব আছে, সেখানে অবসর-কালে অর্থকরী বিদ্যার চর্চাই বুদ্ধির কাজ। যেখানে তাহা নাই, সেখানে কেবল শিল্প ও সাহিত্যের চর্চা করিলেও চলিতে পারে । আমাদের দেশের অনেক লেখকলেখিকার মতে কুটার-শিল্প অর্থাৎ স্বত কাটা, তাত বোন, পোষক তৈয়ারি করা, মোজা গেঞ্জি বোন প্রভৃতি করিলে মেয়েরা সহজেই কিছু অর্থ উপার্জন ও সৎকার্য্যে অবসর যাপন করিতে পারিবেন। S AAAAAS AAAA S AAAAS AAAAAS AAAAAS A SAS SSAS