পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8:R ^へへへへヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ নাই। অন্য দিকে আবার, রাধাবাড়া, বাসন-মাজ ও ঘর ঝাট দেওয়ার কাজও অসংখ্য পুরুষ করে । ভাবিয়া দেখিলে দেখিবেন, মহাভারত বা রামায়ণ ও অংশত ইতিহাস, “সনাতনপন্থীরা” মহিলাদের তাহ পড়িতে বলেন ; তীর্থদর্শন-ধর্মের র্যাহার এত পক্ষপাতী, পুস্তকে ভূগোল পড়িলেই তাহাদের জাতি যাইবে না ; বাজারের হিসাব রাখিতে হইলেও অঙ্কের প্রয়োজন যখন হয়, তখন উচ্চ গণিত পড়িলেই স্ত্রী পুরুষ হইয়া যাইবেন না ; বেদ বেদাস্ত সাংখ্য পাতঞ্জল স্মৃতি শ্রুতি পড়িলে যদি স্ত্রীলোক পুরুষ না হন, ত হেগেলের দর্শন পড়িলেও হইবেন না। স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধে আরো অনেক লেখকলেখিকা অনেক আবোল-তাবোল প্রলাপ বকিয়াছেন, সকলগুলির উত্তর এক প্রবন্ধে দেওয়া শক্ত । এখানে কেবল একজন লেখকের উর্বরমস্তিষ্ক কল্পিত শিক্ষিত রমণীর বর্ণনার কথা বলিয়া শেষ করিব । লেখকের মতে বেথুন-কলেজের শিক্ষার পরিবর্তে মহাকালী-পাঠশালার শিক্ষার প্রচলন ঘরে ঘরে হইলেই বাংলা স্বৰ্গরাজ্য হইয়া উঠিবে। মহাকালীপাঠশালার নিন্দা করা আমাদের উদ্দেশ্য নহে ; উহা যেপ্রশংসার যোগ্য তাহ অবশ্যই উহাকে দেওয়া উচিত । কিন্তু মহাকালী-পাঠশালার এমন সব ভক্ত থাকিতেও তাহা যে কেন ভূতলে স্বর্গ না আনিয়া অকালে স্বৰ্গযাত্রা করিতে বসিয়াছে, তাহা তাহারাই জানেন । লেখক একজন মহাকালী-পাঠশালার ছাত্রীর শিবপূজা শাশুড়ীভক্তি ও অন্নপূর্ণাত্বের দৃষ্টাস্তের উল্লেখ করিয়া বেথুল-কলেজের শিক্ষিতাকে পাঠককে “কল্পনা” করিয়া লইতে বলিয়াছেন । বাস্তবকে যে “কল্পনা-চক্ষে’ দেখিয়া সমালোচনা করিতে হয়, তাহা আমরা ইতিপূৰ্ব্বে জানিতাম না। লেখকের কল্পিতা শিক্ষিতা বধু প্রথম র্তাহার কল্পলোকে প্রবেশ করিলেন বুটু ও বনেট পরিয়া, তাহার পর অশুচি হস্তে পূজার সামগ্রী ছুইয়া ও আরো অনেক অঘটন ঘটাইয়া শাশুড়ীকে খানসামা করিয়া লেখকের মস্তিষ্ক-রঙ্গমঞ্চের ঘবনিকা পাত করিলেন। শাশুড়ীকে খানসাম করিতে প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩০ ح-م.خه-۶يي.K-۶ير [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড یحیی هخی همه حتی اختصر میایی حابی حامیهای اخیر به بیمارس ۷ مارس ۹ যদিও কোনো শিক্ষিতাকে দেখি নাই, তবু ধরা যাব শাশুড়ী পুত্র ও পুত্রবধূকে পরিবেষণ করিয়া কোথাও খাওয়াইয়াছেন। হিন্দুনারী স্বহস্তে রন্ধন করিয়া পতিপুত্রকন্যাকে খাওয়ানোট চিরকাল গৌরবের বস্তু মনে করেন, পথের কাঙ্গালকে রাধিয়। খাওয়ানোও তাহার কাছে শ্লাঘার বিষয়। তবে বেচারা বধূ এমন কি অপরাধ করিল, যে, তাহাকে যত্ন করিয়া পরিবেষণ করিয়া খাইতে দিলেই শাশুড়ীর সন্ত্রমের হানি হইবে ? বেথুন-কলেজের শত শত ছাত্রীকে স্বচক্ষে দেখিয়াছি, বনেটু কাহাকেও পরিতে দেখি নাই, বুটও দুই চারিটি দুগ্ধপোষ্য’ বালিকা ছাড়া কাহারও পায়ে দেখি নাই । ( ঐ বয়সের নিষ্ঠাবান হিন্দুর বাড়ীর বালিকাদিগকেও বুট পরিতে দেখিয়াছি। ) তাহাদের মধ্যে শতাধিককে স্বহস্তে রন্ধন করিতে দেখিয়াছি এবং এক জনেরও হিষ্টরিয়া আমি দেখি নাই ; কিন্তু অগণিত নিরক্ষর স্ত্রীলোকের ও হিষ্টরিয়া হয়। প্রাতঃকালে বৌমার শয্যাপার্শ্বে চায়ের পেয়াল হস্তে যে শাশুড়ীরা আসিয়া দাড়াইয়া থাকেন, তাহারা কোন থিয়েটারের ভূমিকায় নামিয়াছিলেন জানিতে পারিলে বেথুন-কলেজের ছাত্রীরা বাধিত হইবেন। বাংলাদেশই ভারতবর্ষের সবটা নয়, বাঙ্গালী হিন্দুই একমাত্র হিন্দু বা নিষ্ঠবিত্তম হিন্দু নহেন। অন্য অনেক প্রদেশের হিন্দুমহিলাদিগকে চামড়ার জুতা পরিতে দেখিয়াছি। তাহার গড়ন অবশ্ব দেশী রকমের, কিন্তু তাহার জায়গায় বুট পরিলেই যে বড় বেশী অপরাধ হয়, এরূপ মনে হয় না । বাঙ্গালী হিন্দু পুরুষেরা ত ঠনুঠনে ব। তালতলার চটির পরিবৰ্ত্তে বুট পরেন। তাহাতে ত হিন্দুত্ব লোপ পায় না। বাজে কথার উত্তর না দিয়াও স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধে বলিবার অনেক কথা এখনও আছে । বারাস্তরে সেসব কথা ও যৌবনবিবাহ স্ত্রীস্বাধীনতা বিধবাবিবাহ প্রভৃতি ‘নারী-সমস্যা”র অন্যান্য দিকু লইয়া আলোচনা করিবার ইচ্ছা রহিল । শ্ৰী শান্ত দেবী