পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8)や ংলা দেশের স্বরাজ্যদলের মুখপত্র “ফরওয়ার্ড "ও বলিয়াছেন, কাৰ্য্যসিদ্ধির জন্য র্তাহার কোন কাৰ্য্য প্রণালীকেই অতি নীচ মনে করিবেন না । স্বরাজ্যদল মত বা কাৰ্য্যপ্রণালী যতই পরিবর্তন করুন না, যতক্ষণ র্তাহারা লোককে বুঝাইতে পাব্লিবেন, যে, গবর্ণমেণ্টের বিরোধী তাহদের সমান আর কেহ নাই, ততক্ষণ র্তাহার। বহুলোকের প্রিয় থাকিবেন । কথায় বলে, জনসাধারণ কোন কথা দীর্ঘকাল মনে করিয়া রাখে না ; যে যখন যত প্রচণ্ড হুজুক তুলিতে পারে, তাহারই জিত হয় । লোকদেখান কিছু একট। কবিবার ও বলিবার, কাজ হাসিল করিবার জন্য পূৰ্ব্বাপর-সঙ্গতিকে অগ্রাহ করিবার, এবং উচ্চনীতিকে প্রয়োজন-মৃত পদদলিত করিবার ক্ষমতা স্বরাজ্যদলের কর্তৃপক্ষের আছে—যে-কোন রাজনৈতিক বা অন্য দল জয়কেই একমাত্র বা পধান লক্ষ্য কিন্তু এই পথেব কবে, তাহাদেরই এই ক্ষমত। জন্মিতে পারে। পথিকদের জিত হইলে ও লোকহিত তাহদের দ্বারা হয না। তাহারা হারিয়া যাইবার ভয়ে ধৰ্ম্ম এবং লোকহিতকে বলি দিতেও পাবে । ভবিষ্যতে যদি সংঘবদ্ধ অন্য কোন দল স্বরাজ্যদল অপেক্ষা ও গবর্ণমেণ্ট-শত্রু বলিয়া কাৰ্য্যতঃ আপনাদিগকে প্রমাণ করিতে পারেন, অন্ততঃ সেইরূপ ধারণ লোকের মনে জন্মাইতে পারেন, তাষ্ট্রাদেরও অল্পকালস্থায়ী জিত হইবে। কিন্তু র্যাহারা দেশহিত চান, তাহারা ব্যবস্থাপক সভায় ংখ্যাভূয়িষ্ঠতার দিকে দৃষ্টিপাত না করিয়া দেশের লোকেব জ্ঞান, মানসিক শক্তি, চরিত্রবল এবং দৈহিক স্বাস্থ্যবুদ্ধির চেষ্টা করিতে থাকুন। মন্ত্রী কাহারা হইবেন ? এবার বাংলাদেশের মন্ত্রী কাহার হইবেন, তাহ লইয়া জল্পনা ও অনুমান পথে ঘাটে বৈঠকখানায় ও খবরের কাগজে চলিতেছে, এবং নানা গুজব রটিতেছে । কেত practically accepting the Swarajya Party's programme in its spirit, it will be for the party to consider, what its attitude should be. I will not venture to say more.” به ه প্রবাসী—পৌষ,.১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড A S A S A S A S A S A S AMASASAS MeS কেহ এরূপ কথা প্রচার করিতেছেন, যে, তাহদের সম্মতি লইবার জন্য লাট সাহেবের লোক র্তাহীদের বাড়ী হাটহাটি করিতেছে। যাহারাই মন্ত্রী হউন তাহারা জানিয়া রাখুন, যে, তাহারা বৎসরে চৌষট্টিহাজার টাকা বেতন লইবেনই, যদি এরূপ জেদ করেন, তাহা হইলে তাহীদের প্রতি লোকের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস থাকিবে না। জোগাড়-যন্ত্র করিয়া তাহার ব্যবস্থাপক সভায় বেতনহাসের প্রস্তাব অগ্রাহ করাইতে পারেন, কিন্তু তাহার দ্বারা লোকের, বিরাগ ও অশ্রদ্ধা এড়াইতে পরিবেন না। লোকের বিরাগ ও অশ্রদ্ধাকে ও অগ্রাহ করা উচিত, যদি তাহা কোন মহৎ কৰ্ত্তব্যের অমুসরণ বশতঃ করিতে হয় ; কিন্তু টাকার লোভ সেরূপ মহৎ কোন জিনিষ নয়। বৎসরে ৬৪,০০০ বেতন দিবাব মত অবস্থা বাংলদেশের নয় । ব্যবস্থাপক সভার সভ্যদের কর্তব্য অনেক দেশের ব্যবস্থাপক সভার কাজের নিয়ম এরূপ, যে, নির্বাচিত সঙ্যেরা যে নীতির সমর্থন করিয়া নিৰ্ব্বাচকদের ভোট পাইয়াছেন, সভায় গিয় তাহার বিরুদ্ধাচরণ করিলেও, নিৰ্ব্বাচকরা পুনর্বার নির্বাচনেব সময়ের আগে স ভ্যদিগকে র্তাহীদের এরূপ আচরণের প্রতিফল দিতে পারেন না । ভারতবর্ষের ব্যবস্থাপক সভাগুলিরও নিয়ম এইরূপ । যিনি যে দলের লোক বলিয়া নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন, তিনি যদি সে দল ছাড়িয়া অন্য দলে যোগ দেন, যাহা করিবার প্রতিজ্ঞা করিয়া নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন, তাহা যদি না করেন, তাহা হইলেও তিন বৎসর তিনি সভ্য থাকিবেনই ; নিৰ্ব্বাচকগণ র্তাহাকে পদচ্যুত করিতে পারিবেন না। তাহার কৰ্ত্তব্যজ্ঞানের উপরই এখন নির্ভর করিতে হইবে। স্বইটুজাল্যাণ্ডে ও অন্য কোন কোন দেশে নির্বাচিত সভ্যেরা এরূপ যথেচ্ছ আচরণ করিতে পারেন না। সেখানে রেফারেণ্ডমের ( referendumএর ) নিয়ম থাকায়, কোন প্রস্তাব বা আইনের খসড়া সম্বন্ধে নিৰ্ব্বাচক - দের মত লওয়া যাইতে পারে। অর্থাৎ, এদেশে কিম্বা বিলাতে যেমন কোন প্রস্তাব, বা বিল সভার সম্মুখে উপস্থাপিত হইলে সভ্যদের মত অনুসারেই তাহা মঞ্জুর