পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ) امیر ح------------ مه -میر تخمیر ه به سر میبر লাভ করিতে সক্ষম হয় । ইহারাও কৰ্ম্মকুশলতা এবং চিন্তাশীলতাকেই জাতীয় উন্নতির ক্ষেত্রে বাহিরের বিঘ্ন দূর করা অপেক্ষ উচ্চতর আসন দান করেন, কেননা বিঘ্ন দূর করিতে হইলেও এই দুইটির প্রয়োজন রহিয়াছে । ধরা যাউক, যে, যে-কোন উপায়ে হউক, বাহিরের লোক আমাদিগের কার্ধ্যে আর কোন বাধা দিতে সক্ষম হইবে না । কিন্তু বাহিরের বিঘ্ন দূর হইলেই কি দেশের লোকের অকস্মাৎ স্বথস্বাচ্ছন্দ্য অসম্ভব রকম বাডিয়া যাইবে ? রাষ্ট্র আপনার হস্তে আসিলেই কি জাতীয় উন্নতি নিশ্চিত হইয়া যায় ? স্বাধীন দেশ মাত্রই কি সৰ্ব্বক্ষেত্রেই মুখস্বাচ্ছন্দ্যের আবাসভূমি ? ইহা অবশ্য ঠিক যে সকল দুঃখ, সকল দারিদ্র্য অপেক্ষা পরাধীনতা মানুষকে অধিক পীড়িত কুরে ; কিন্তু ইহাতে প্রমাণ হয় না, যে, পরাধীনতা শেষ হইলেই সকল দুঃখের অবসান হয় । پر ہ. یہ s۔ مسي نہ سہی. একটি বিশাল জাতির স্নখ দুঃখ নানান অবস্থার উপর নির্ভর করে এবং স্বাধীনতা তাঙ্গর মধ্যে সৰ্ব্বারম্ভে প্রয়োজন হইলেও স্বাধীনতাই সব নহে। জাতির সুখস্বাচ্ছন্দ্য জাতির অন্তর্গত ব্যক্তিদিগের গুণের উপর নির্ভর কবে এবং সেইজন্য জাতীয় স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধির জন্য বিশেষরূপে প্রয়োজনীয়—উৎকষ্ট শিক্ষক, উৎক্লষ্ট অর্থনীতিজ্ঞ, উৎকৃষ্ট বৈজ্ঞানিক, উৎক্লষ্ট চিন্তাশীল ব্যক্তি, উৎকৃষ্ট পণ্ডিত ও উংকৃষ্ট সাহিত্যকলাবিদ । এইরূপ শ্রেণীর ব্যক্তিগণই জাতিকে যথার্থ উন্নতির পথে লইয়। যান । ব্যক্তি যেমন স্বপ্রীলভাবে মৃথের ন্যায় যথেচ্ছাচার করিয়া জহন্নামে যাইতে পারে, জাতি ও তেমনই অথবা আরও দ্রুতবেগে অধঃপতনের পথে আগুয়ান হয়, যদি না তাহার মধ্যে উৎকৃষ্ট শ্রেণীর ব্যক্তি যথেষ্ট থাকে ন । আমাদিগকে দিবারাত্রি স্বাধীনতার কথা ভাবিতে হইবে ; কিন্তু ইহাও ভাবিতে হইবে, যে, কি করিয়া আমাদের জাতির সকল লোককে সুশিক্ষ। দান করা যায়, কি করিয়া জাতীয় ঐশ্বৰ্য্য বৃদ্ধি পায়, কি করিয়া ব্যক্তি শক্তিশালী মুস্থ ও বুদ্ধিমান হয়, কি করিয়। জাতীয় ধনসম্পত্তি এরূপ ভাবে ব্যবহার করা যায় যাহাতে জাতীয় স্থখস্বাচ্ছন্দ্য অধিকতম হয়, কি করিয়া জাতির গৃহে গৃহে বিবিধ প্রসঙ্গ—জাতীয় উন্নতির উপকরণ AAAAAAAS AAAS SAAAAAS AAAAAS S SAAAS AAAAA AAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS AAAA S 8నీ স্বাস্থ্য, জ্ঞান ও সুখ শান্তি আনয়ন করা যায়, ও কি করিয়া এই জাতি জগতের জাতিসভাস্থলে উপস্থিত হইয়া বলিতে পারে, “আমারও কিছু দিবার আছে, আমি শুধু লইতে আসি নাই ।” আজকাল দেশে ইংবেঙ্গবিদ্বেষের ফলে আত্মদেববিস্মৃত অথবা আত্মদোষকে জোর করিয়া গুণ বলিয়া প্রমাণ করিতে বিশেষ চেষ্টিত লোক দেখা যাইতেছে। যথা, কোথাও কোথাও দেখিতেছি, যে, বাল্যবিবাহ ভাল, হিন্দুমারীর আপনার ঠাকুরমা ও অন্যান্য গুরুজন ব্যতীত জগতের অপর কাহারও নিকট শিখিবার বিশেষ কিছু নাই, আধুনিক শিক্ষা সকলকে অপদার্থ করিয়া দেয়, ইত্যাদি নানা প্রকার মত প্রচার চেষ্ট হইতেছে । জ্ঞান ও সভ্য কোন জণভির নিজস্ব লহে, তাহা জগতের। আমরা যদি জাতিবিশেষকে ন ভালবাসি, তাহাতে বলিবাব বিশেষ কিছু নাই, কিন্তু যদি সেই জাতির মধ্যে ভাল যাহা-কিছু তাহাকেও আত্মশ্লাঘা অথবা অহঙ্কারের খাতিরে বর্জনীয় প্রমাণ করিবার চেষ্টা করি তাহ হইলে তাহা আমাদিগেরই দোষ । উন্নত জাতির জন্য উন্নত ব্যক্তির প্রয়োজন । ব্যক্তি অযোগ্য ও নিগুণ থাকিলে জাতিও সেইরূপই হইবে । ইহা জানিয়াও যদি আমরা পুরাতনের ভূতের দেীবাত্ম্যে জাতীয় উন্নতির পথ ছাড়িয়া অধোগমন করি, তাহা হইলে বড়ই দুঃখের বিষয় । বাল্য বিবাহ ভাল কি মন, তাহার বিচার দিদিমা কি বলিয়াছেন, তাহা দিয়া, অথবা কোন ব্যক্তিবিশেষ বাল্যবিবাহের সূস্তান কি না, তাহা দিয়াও হুইবে না। বিজ্ঞানকে তাহার উত্তর দিতে বলা হউক । শিক্ষিত নারী অশিক্ষিতা অথবা অল্পশিক্ষিতা অপেক্ষা অধিক কৰ্ম্মকুশল ও উপযুক্ততর মাতা কি না, তাহার উত্তর সভ্য ভলীবল হইতে পাওয়া যাইবে । জাতীয় ধনুসম্পত্তিব উৎপাদন-কাৰ্য্য ও তfহার সম্ভোগ যথাযথরুপে হইতেছে কি না, তাহাও চক্ষু খুলিয়া দেখা হউক এবং তাহার প্রতিকার প্রয়োজন ও সম্ভব হইলে, সেই চেষ্টা করা হউক । আধুনিক শিক্ষার