পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հ8 থাকিতে হয় না। . নিজ আয় অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ একটা অর্থের বিনিময়ে প্রত্যেক মানুষ যদি বংসরে নির্দিষ্ট কয়েক বার স্বযোগ্য চিকিৎসকের দ্বার। নিজ নিজ শরীর পরীক্ষা করাইবার ও স্বাস্থ্যপালন ও উন্নতির উপদেশ পাইবার অধিকারী হয়, ত, সুস্থদেহের আনন্দ মাহুষের পক্ষে বহু স্থলভ লয় । “ইনকম্‌ট্যাক্স" যেমন অতি অল্প আয়ের মানুষকে দিতে হয় না, তেমনি অতি অল্প আয়ের মানুষের এই নিদিষ্ট ডাক্তাবের ফাটাও বাদ যাওয়া উচিত। বিম ফীতেই বৎসরে কয়েকবার ডাক্তারের পরামর্শ পাইবার অধিকার তাহদের থাকিৰে । নীরোগ অবস্থাতে ডাক্তারকে ডাকিতে এখনও মাতুষ পারে, কিন্তু তাহাতে অর্থ ব্যস বোগচিকিৎসার সমানই করিতে হয় । অতএব রোগের চিকিংস অপেক্ষ রোগ নিবারণের চেষ্টা, সুস্থ থাকার চেষ্টা, সুলভে হওয়ার ব্যবস্থাও থাকা উচিত। এই ব্যবস্থাগুলি চিকিৎসক ও বো জগাবী জনসাধারণ নিজেদের মধ্যে করিতে পাবেন । তা ছাড়। অন্যান্য অনেক দেশের মত সরকারের তরফ হইতে ও বিনা পয়সায় কিম্বা নিদিষ্ট পয়সার বিনিময়ে সৰ্পদ। চিকিৎসা পাইবার এবং বিশেষ করিয়া রোগ নিবারণ করিবার ও পরিপূর্ণ স্বাস্তা লাভের অধিকাব মাতুষকে দেওয়া যাইতে পারে । তন দিয়া কোন পল্লী কি গ্রামের ভার দিধা এই সৰ্ব করা যাইতে পাবে, যে, বৎসরের শেষে সেই পল্লী বা গ্রামের স্বাস্থ্যের উৎকর্য অনুসারে তাহাকে আরো অর্থ দেওয়া হইবে । র্তাহার পল্লীতে যত কম মাতৃযেব মৃত্যু হইবে, যত রোগীর সংখ্যা কম হইবে, ধত আদশ স্বস্থ ব্যক্তির সংখ্যা বেশী হইবে, ততই ত{হার আয় বাড়িতে থাকিবে । কিন্তু তাহা না হইয়া বৰ্ত্তমানকালে যত রোগের মডক হয়, যত স্বাস্থ্যভঙ্গ ও অঙ্গহানি হয়, ততই চিকিৎসক চিকিৎসককে িদিষ্ট একট। সমৃদ্ধ হইয় উঠেন । - শিশুর জীবনে পুস্তকের স্থান ছোট ছেলেমেয়েদের আনন্দ দিবার নানা উপায় [ २७* छां★, २झ १७ SAASA SAASAASSAAAAS SJSMSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SJAMSeS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS আনন্দ দেওয়া যায়, সেই সম্বন্ধে “চাইল্ড, ওয়েলফেয়ার” পত্র বলিলেছেন :– ... * “শিশুকে যতরকম উপহার দেওয়া যাইতে পারে, তাহার মধ্যে পড়িবার অভ্যাসের মত বর্তমানে ও ভবিষাতে আনন্দদায়ক এবং জীবন সমৃদ্ধ করিয়া তুলিত্যুে সক্ষম উপহার আর কিছু নাই। শিশুকে যদি পড়িবার অভ্যাস করাইতে পার, এবং ভাল মন্দ দেখিয়া ঠিক পথে সেই অভ্যাসটি চালাইতে শিথাইতে পার, তবে তাহাকে চিরকুতজ্ঞ রাখিবার উপযুক্ত কিছু একটা সম্পদ দান করা হুইবে । “পুস্তক শিশুর জীবনের নিত্য সঙ্গী হওয়া উচিত। কিন্তু বিদ্যালয়ের সঙ্গে এই পুস্তকাবলীর সম্পর্ক অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠ করিয়া তোলা উচিত নয়। পড়াটা যে একটা কৰ্ত্তব্য, একটা বোঝা, এই ধারণা শিশুর মনে হইতে দিবার কোনো প্রয়োজন নাই । পড়িয়া যে মজা ও আনন্দ পাওয়া যায়, মুখে সময় কাটানো যায়, এই বিশ্বাসটাই মনে ভাল করিয়া বসাইয়া দিতে হুইবে । পড়াটা যেন শিশুর কাছে বাস্তবিক সুখকর হয়, তাহা হইলেই দিনের মধ্যে পড়িবার সময়টা তাহার কাছে প্রার্থিত সম্পদের মত মনোহর বোধ হইবে । এটা করা বাস্তবিক কিছু শক্তও নয় । পুস্তকে বাস্তবিকই মজ ও আনন্দ আছে । জগতে যেমন বিচিত্র মন বিচিত্র আনন্দ খোজে, তেমনি বিচিত্র পুস্তক বিচিত্র আনন্দ জোগায় । বালক কি বালিকার জীবনের এমন কোন কাজ কি জিনিষই নাই বলা যায়, যাহার ক্ষেত্রকে পুস্তকের পাতার মধ্যে আনিয়া ফেলা যায় না। এমন কোন মুখস্বপ্ন নাই, উচ্চাকাঙ্ক্ষা নাই যাহতে পুস্তক সাহায্য করিতে না পারে ; শিশুর জীবন ত স্বপ্ন ও উচ্চাভিলাষেরই মেলা । পুস্তক শত শত পথ দিয়া শিশুজীবনের আনন্দ বাড়াইয়া তুলিতে পারে।” 예 সুশিক্ষিতা পরিচারিকা অনেকের ধারণা "মেম্‌সাহেব রা” নিজগৃহেরও কোনো