পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য। ] -^^ محميمي محمس ملاحمر برہم بر_x অসামরিক সমগ্রভারতীয় চাকর্যেদের বেতন বৃদ্ধির *সম্পূর্ণ সম্ভাবনা আছে দেখিয়া সামরিক অফিসারেরাও আগেই র্কাদুনী গাহিয়া রাখিয়াছেন, “উহাদিগকেই যদি সব দিয়া দাও, তাহা হইলে আমরা কি পাইব ?” অতএব, ইহা নিশ্চিত, যে, অসামরিক বড় চাকুর্যেদের বেতনাদি বাড়া স্থির হইয়া গেলেই সামরিকের নিজেদের দাবী খাড়া করিবেন। এদিকে আর-একটা কথাও যুদ্ধের সময় ও পরে উঠিয়াছে, যে, সিভিল সার্ভিসের জন্য যোগ্যতম ব্রিটিশ যুবকেরা আর পরীক্ষণ দেয় না। তাহার কারণ এই বলা হইতেছে, যে, খরচের তুলনায় সিবিলিয়ানদের বেতন এখন আর আগেবার মত নাই এবং তাহীদের স্থখ সুবিধা প্রভাব কর্তৃত্ব কমিয়াছে। কিন্তু অন্ত যেসব কারণ আছে, তাই বলা হইতেছে না। যুদ্ধে প্রাণনাশ অঙ্গহানি অসামর্থ্য হওয়ায় যে মোটের উপর যোগ্য যুবকের সংখ্যাই কমিয়াছে, সে কথাটা এবং এইরূপ আরও প্রধান প্রধান কথা চাপা দেওয়া হইতেছে। যাহা হউক, ইহা যদি সত্যও হয়, যে, এখনকার বেতনাদিতে যোগতম ইংরেজ আর পাওয়া ধাইবে না, তাহা হইলেও কি আমাদিগকে, যত বেশী টাকাই হউক দিয়া, ইংরেজ রাখিতেই হইবে ? গোড়ার কথা হইতেছে আয় বুঝিয়া বায়। তাতার লৌহ ও ইস্পাতের কারখানার প্রধান কৰ্ম্মচারী পেরিন সাহেবের বেতন বড় লাটের চেয়ে বেশী। ধরিয়া লওয়া যাক, তিনি অতিবড় যোগ্য লোক । কিন্তু কোন গ্রামের বা শহরের কামারশালের কাজ চালাইবার জন্য যদি কেহ বলেন, যে, ঐ বড়লাটের অধিক-বেতনভোগী আমেরিকান মিষ্টার পেরিনের দরের লোক লইতেই হইবে, নতুবা চলিবে না, তাহা হইলে সে কথাটাকে কেহ কি বিবেচকের কথা বলিবে ? প্রতি বৎসর দেখা যাইতেছে, ভারতের বজেটে অর্থাৎ আয়-ব্যয়ের খসড়ায় ঘাটতি পড়িতেছে। সামরিক ব্যয় কমাইবার জন্য কমিশন বসাইয়াও এমন কিছু ব্যয়ুসংক্ষেপ হয় নাই যাহাতে আয় ব্যয় সমান রাখা যায়। যে দেশের অবস্থা এইরূপ, সেই দেশের লোককে এই কথা বলা, যে, “তোমাদের জন্য ইংলণ্ড, উৎকৃষ্টতম বিবিধ প্রসঙ্গ—ইংরেজ রাজকৰ্ম্মচারীর বেতন-বৃদ্ধি 8 ૨૧ SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA MAAASAASAASAASAASAASAASAASA SAASAASSAAAAAASAAAA লোক ভিন্ন দিবেন না,” উপহাসের মত শুনায়, অথবা কেতাবী ভাষায় “বলপূৰ্ব্বক গ্রহণের” মত শুনায় বলিলেও চলে । আমরা বলি, তোমরা সমস্ত পৃথিবীতে স্বাধীনতা স্থাপনের এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়া লড়িয়াছ এবং আমাদের দেশেরও লক্ষ লক্ষ লোককে লড়াইয়াছ, তামাদিগকে দেড় শত কোটি টাকা ‘স্বেচ্ছাকৃত দাম" করাইয়াছ ;–আমাদিগকে এই স্বাধীনতাটুকু দাও না কেন, যে, আমরাই স্থির করিব, যে, কত ইংরেজ কৰ্ম্মচারীর সাহায্য আমাদের দরকার এবং কি দরের ইংরেজের মজুরী আমরা যোগাইতে পারি ? হইতে পারে, যে, আমরা যত টাকা দিতে পারি, তাহাতে যোগ্যতম ইংরেজকে পাওয়া যাইবে না। কিন্তু আমাদের যে টাকা নাই ; আমাদিগকে নিরেস মালেই সন্তুষ্ট হইতে হইবে । ডল পুরী দুধ বলা খাইবার পয়সা যাহার নাই, শাক ভাতেই তাহাকে সন্তুষ্ট থাকিতে হয় । বেশী টাকা বেতন দিলেই যে যোগ্যতম লোক পাওয়া যায়, ইহা সব স্থলে ঘটে না। কৰ্ম্মচারী মনোনয়ন, নিৰ্ব্বাচন ও নিয়োগের ক্ষেত্র প্রশস্ততর করিলে কম টাকাতেও খুব ভাল লোক পাওয়া যায়। ভারতবাসী শতকরা এতটির বেশী চাকরী পাইবে না, এমন কেন বলা হই তেছে ? এইরূপ ব্যবস্থা কর না কেন, যে, আবাপ্ৰ প্রতিযোগিতায় যাহারা যোগ্যতম হইবে তাহারাই জাতিবর্ণনিৰ্ব্বিশেষে চাব রী পাইবে ? ধোগ্যতার শারীরিক মানসিক খুব উচ্চ মাপকাঠি (standard) রাখ না কেন? এইরূপ ব্যবস্থা করিয়া ভারতীয় যোগ্যতম লোক যত টাকায় পাওয়া যায়, সেইটাই বেতনের সাধারণ হার স্থির করিয়া বিদেশীদিগকে শত ব বা পচিশ টাকা বেশী দাও না কেন ? উত্তরে তোমরা বলিবে, ভারতীয়ের নিকৃষ্ট জাতি, তাহাদের পরাধীনতাই নিকৃষ্টতার প্রমাণ, তাহার দেশের কাজের কর্তা ও পরিচালক হইতে পারে না ; অতএব শ্রেষ্ঠ জাতির লোক চাই, ইত্যাদি । যে কোন রকমের কাজ করিবার স্থযোগ ভারতীয়ের পাইতেছে তাহাতেই তাহারা যোগ্যতা দেখাইতেছে, এ তর্ক না হয় নাই তুলিলাম—এবং ইহার উত্তরেও বলা যায়, যে, ভারতীয়ের যে অষ্ঠের প্রদত্ত স্বযোগের অপেক্ষা করিতে