পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] “আমাদের উপর মন্ত্রীদের প্রভুত্ব থাকা উচিত নয়, আমাদের কাজ বা আমাদের বিভাগের ব্যয় সম্বন্ধে ব্যবস্থাপক সভার সভ্যদের কিছু বলিবার বা করিবার ক্ষমতা থাকা উচিত নয়,” ইত্যাকার কথাও শুনা যাইতেছে । “তাহা হইলে বল না কেন, “ভারতশাসনসংস্কার জিনিষটা যত ভুয়ো, আমরা তাহাকে তার চেয়েও ভুয়ো করিতে বদ্ধপরিকর” ? প্রতিনিধিতন্ত্র-শাসনপ্রণালী যে-সব দেশে প্রচলিত আছে, সৰ্ব্বত্রই গবর্ণমেণ্টের কাজের সকল বিভাগের আয়ব্যয়ের উপর ব্যবস্থাপক সভার কর্তৃত্ব আছে, সকলেরই কাজের আলোচনা করিবার অধিকার প্রতিনিধিদের আছে। ভারতবর্ষকে স্বষ্টিছাড়া দেশ মনে করিলে চলিবে না । এরূপ তর্কও উঠিতেছে, যে, অমুক শ্রেণীর কৰ্ম্মচারীদের বেতন বাড়াইলে মোটে এত হাজার বা এত লক্ষ টাকা ব্যয় বাড়িবে, দেশের সমগ্র আয় ও ব্যয়ের তুলনায় ইহা ঘামান্য। কিন্তু অনেকগুল তিল এবত্র করিলে তালের সমান হয়, “রাই কুড়াইয়। বেল” হয়, সমুদ্র জলবিন্দুর সমষ্টি ; সব চাকুর্যেই যদি বলেন, র্যাহা বাহান্ন র্তাহ। তিল্পায়, তাহা হইলে সকলের দাবীর সমষ্টি বড় কম হইবে না, এবং ভারতবর্ষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পণ্যদ্ৰব্যউৎপাদনব্যবস্থা, বাণিজ্য, জাহাজনিৰ্ম্মাণ, প্রভৃতির সমুচিত ব্যবস্থা করিবার মত টাকা কোন কালেই জুটিবে না। বাণিজ্য-জাহাজ ভারতের মাল রপ্তানি এবং এদেশে বাহিরের জিনিয আমদানি এবং মামুষের যাতায়াত বিদেশী জাহাজে, প্রধানত: ইংরেজদের জাহাজে, হয় । তাছা ছাড়া, ভারতসাম্রাজ্যেরই এক বন্দর হইতে অন্য বন্দর পর্য্যস্ত যাত্রী ও মাল চলাচলও প্রধানত: বিদেশীদের জাহাজে হয়। এই শেষোক্ত কাজটি ভারতীয়দের টাকায় ক্রীত ও নিৰ্ম্মিত তাহাদের জাহাজেই হওয়া উচিত কি না, তাহ নিৰ্দ্ধারণের জন্য একটি কমিটি বসিয়াছে। নানা স্বাধীন দেশের উপকূলে জাহাজ চালান আইন দ্বারা সেই সেই দেশের লোকদের একচেটিয়া করিয়া রাখা হইয়াছে। আমাদের বিবিধ প্রসঙ্গ—পরলোকগত কস্তুরীরঙ্গ অtয়াঙ্গার SAMAAA AAAA AAAA AAAAMAAA AAAA AAAASAAAAJA AMMMAMAAMAMAMAMMMMAMAMMM MMMS 8 Rసి SAMSAMSAASAASAASSAAAAAAS AAAAAS AAAAA SAAAAASMMAeS দেশেও যে ইহা প্রয়োজন, তাহাতে সন্দেহ মাত্র নাই । ভারত-উপকূলে জাহাজ চালান আইনত: ভারতীয়দের একচেটিয়া না হইলে, বিদেশী জাহাজ কোম্পানীর দুষ্ট প্রতিযোগিতার জন্য ভারতীয়েরা কখনও এই কাজে প্রবৃত্ত হইতে বা টিকিয়া থাকিতে পারিবে না। গত বৎসর ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় ক্রযুক্ত টি ভি শেষগিরি আইয়ার এবিষয়ে যে আইনের খসড়া উপস্থিত করিতে চাহিয়াছিলেন, আমরা তাহার সমর্থক। পরলোকগত কস্তুরীরঙ্গ আয়াঙ্গার মাম্রাজের সুপ্রসিদ্ধ "হিন্দু" পত্রিকার স্বত্বাধিকারী ও সম্পাদক প্রায় এক বৎসরকাল বোগে শয্যাশায়ী ছিলেন । গত ১২ই ডিসেম্বর সকালবেলা তাহার মৃত্যু হইয়াছে। আয়াঙ্গার মহাশয় জীবনের প্রথমভাগে কয়েম্বাটোরে ওকালতি কবিতেন, পরে মাদ্রাজে আসেন। র্তাহার সম্পাদিত ফৌজদারী-কাৰ্য্যবিধি-আইনের একটি টাকাংবলিত সংস্করণ আছে। "হিন্দু" পত্রিকাখনি পূৰ্ব্বে জি স্বত্রহ্মণ্য আয়ার কর্তৃক সম্পাদিত হইত। ১৯০৫ সালে আয়াঙ্গার মহাশয় তাহা কিনিয়া লন । এই কয় বৎসর যোগ্যতার সহিত সম্পাদন করিয়া কাগজখানিকে ইংরেজী ভাষায় লিখিত দেশীয় সংবাদপত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন করিয়া তুলিয়াছেন । ইহার স্বাধীন মতবাদ গভমেণ্ট কে চিরদিনই ব্যতিব্যস্ত করিয়া আসিয়াছে। যুদ্ধের সময় কাগজখানিকে ইংলণ্ডে যাইতে দেওয়া হইত ন, অথচ আয়াঙ্গার মহাশয়কে গভমেণ্টের খরচায় ইয়োরোপের যুদ্ধভূমিতে ও ইংলণ্ডে লই যাওয়া হইয়াছিল। আয়াঙ্গার মহাশয় বরাবরই জাতীয়-দলভুক্ত ছিলেন। নাগপুর কংগ্রেস হইতে তিনি অসহযোগনীতি প্রচারে যোগ দেন। ১৯২১ খৃষ্টাব্দে কংগ্রেসের যে সিভিলডিসূওবিডিয়েন্স-কমিটি ভারত পরিভ্রমণ করিয়া তথ্য সংগ্রহ করে, আয়াঙ্গার মহাশয় তাহার সভ্য ছিলেন । তিনি কাউন্সিল প্রবেশের বিরুদ্ধে মত দেন। ইহার পরেই তিনি অস্থখে পড়েন ও এতদিন ভুগিয়া পরলোকে চলিয়া গেলেন । অ, ঘ گامبیه -همییت حمیهایی