পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“সত্যমৃ শিবম্ সুন্দরমূ” “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ” ২৩শ ভাগ Q | ● ২য় খণ্ড মাঘ, ১৩৩ l ৪র্থ সংখ্যা আমাদের লক্ষ্য আজ আমি যে কথাটি বল্বার জন্য আপনাদের সমক্ষে উপস্থিত হয়েছি তার ভিতরে নূতন কিছু না থাকৃলেও সেটা কেবল আমার পুথিপড়া বিদ্যা প্রস্থত নয়, কতকটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা-জাতও বটে। এজন্য প্রচ্ছন্ন আত্মম্ভরিতার নামাস্তর যে অতিরিক্ত বিনয়, তার ভাণ না করে আমি সরলভাবে আপনাদের নিকট নিবেদন করতে পারি যে, সে কথাটি বলবার আমার যৎসামান্ত অধিকার আছে । আমার বক্তব্য যথাসম্ভব সংক্ষেপেই বলবার চেষ্টা করব, এবং দু-একটি উদাহরণ দ্বারা সেটা ফুটিয়ে তুল্বার প্রয়াস পেলে আশা করি তা’ অপ্রীতিকর হলেও অপ্রাসঙ্গিক বলে’ বিবেচিত হবে না । সকলেই জানেন, যে, পাশ্চাত্য জগতে যৌবনের প্রারম্ভে কি কৈশোর বয়সেই, যখন মানসিক বৃত্তিগুলি নমনীয় থাকে এবং কাহার কোন বিষয়ে প্রবণতা আছে ও সিদ্ধিলাভ সহজ এটা বুঝা যায়, তখন পিতামাত। ছেলেদের জীবিকা অর্জন ও উন্নতি সাধনের পথ নির্দিষ্ট করে দেন । অল্প বয়সে তারা লক্ষ্য স্থির করে নেয় বলেই একাগ্রতার সঙ্গে স্ব স্ব লক্ষ্য অনুসরণ করে অনেকদূর অগ্রসর হতে পারে। "যাদৃশী ভাবনা যন্ত সিদ্ধিৰ্ভবতি তাদৃশী”—সুতরাং জগতের বিশাল কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে’ পাশ্চত্য যুবকগণ নিতান্তই হাবুডুবু খায় না। সৰ্ব্বদাই যে তারা এরূপ লক্ষ্য স্থির করে পথ চলতে থাকে তা নয়, লক্ষ্যভ্রষ্টও অনেক সময়েই হয়ে থাকে, তবে আমাদের মধ্যে লক্ষ্যের অভাবে যতটা শক্তির অপচয় ঘটে, একথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে তাদের মধ্যে ততট। হয় না। আমাদের কৰ্ম্মক্ষেত্র অপেক্ষাকৃত অনেক সঙ্কীণ, গম্য পথের সংখ্যাও অনেক কম এবং সেগুলি ঋজু অপেক্ষা কুটিলই বেশী, স্বতরাং আমাদের নির্বাচনের অবসর বেশী নেই—অধিকাংশ ভদ্রযুবককেই এক সনাতন ওকালতির ধ্রুবতারা অনুসরণ করে সংসারসমূত্রে ঝাপ দিতে হয়, একথা অনেকাংশে সত্য হলেও, আমাদের প্রকৃতিগত জড়তা ও নূতনের প্রতি অনাস্থা এবং পিতৃপিতামহ-প্রদর্শিত সন্মার্গ পরিত্যাগ করে কোন অপরিচিত অনিশ্চিত অভিনব পথে চলতে একান্ত অনিচ্ছা যে আমাদের নির্বাচন-ক্ষেত্রকে কতকটা অপ্রসর করে রেখেছে, সেবিষয়ে সন্দেহ করবার কারণ নেই। যাহোক, আজ এসম্বন্ধে কোন তর্ক উত্থাপন করা