পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] না হন। আমাদের গীতাকারই ত বলেছেন, কৰ্ম্মে আমাদের অধিকার আছে, ফলে নয়। বহু পাশ্চাত্য মনীষী বলেছেন, বিফলতা লজ্জার বিষয় নয়, আদশের ক্ষুদ্রতাই লজ্জাকর। বিফলতার উপরই ত সাফল্যের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। যাদৃশী ভাবনা, সিদ্ধি ততটা না হলেও কতকটা তদনুরূপ হওয়া অবশ্যম্ভাবী । আর্থিক উন্নতি অল্পলোকের ভাগ্যেই ঘটে, এবং সেটা কিছু বিশেষ বড় কথা নয় । দেহরক্ষা করলেই অনেক তথাকথিত বড়মামুষের স্মৃতি সমাধিপ্রাপ্ত হয় । সেই ধন্ত নরকুলে, লোকে যারে নাহি ভুলে, মনের মন্দিরে নিত্য সেবে সৰ্ব্বজন ।" একথা অতি সত্য যে, মহৎ যাহার চেষ্টা ঈশ্বর তাহার সহায় । রবীন্দ্রনাথের স্বন্দর ভাষায়, "তোমীর পতাকা যারে দাও তীরে বহিবারে দাও শকতি । তোমার সেবার মহৎ প্রয়াস সহিবারে দাও ভকতি |’ আমাদের সর্বাপেক্ষা গভীর মোহ যে অতীতপ্রীতি, সেট, যে জাতীয় জড়তা বা tedium witRর বিরুদ্ধে আমি আপনাদিগকে যুদ্ধঘোষণা করতে বলছি, তাকে মজ্জাগত করে রেখেছে। অতীতপ্রীতির একটা ভাল দিক্‌ আছে, সেটাকে আমি নিন্দ করছি না। যে জাতির পূৰ্ব্বপুরুষের উপর শ্রদ্ধা না থাকে, তার নিজের উপরও আস্থা কমে যায়। আত্মসম্মানজ্ঞান উদ্বুদ্ধ না হলে তাকে দিয়ে কোন মহৎ কাজের আশা করা যায় না। কিন্তু কোন দিন আমরা পোলাও কালিয়া খেয়েছিলাম বলে’ আজও প্রতি উদগারে তার মহিমাকীৰ্ত্তন করতে গেলে জগৎসমক্ষে আমাদিগকে হাস্তাস্পদ হতে হয় । ইংরেজ জাতি ত একথা বলতে একটুও কুষ্ঠাবোধ করে না যে, দুহাজার বৎসর পূৰ্ব্বে ভারত যখন সমগ্র জগতে সভ্যতার আলো বিকিরণ করছিল, তখন তারা উদ্ধিপরা নগ্নগাত্রে শাখামৃগের স্কায় গাছে গাছে লাফিয়ে বেড়াত। বর্তমানে যে তাদের গৌরব করবার অনেক সামগ্ৰী আছে, তাই তাদের দৃষ্টি একান্ত অতীতনিবদ্ধ নয়। আমরা ভুলে ষাই, কবি কালিদাস মালবিকাগ্নিমিত্র নাটকে যে কথাটি ৰলে’ গিয়েছেন— আমাদের লক্ষ্য 8©ጫ به حماییهای جامعه سید حمیمنی ناحیه পুরাণমিত্যেব ন সাধু সৰ্ব্বং নচাপি কাব্যং নবমিত্যবদ্যং । সস্তু: পরীক্ষান্ততরস্তুজস্তে মুঢ়ঃ পরপ্রত্যয়নেয়ৰুদ্ধিঃ ॥ “যা কিছু পুরাতন তাই ভাল নয়, কাব্য নূতন হলেই কিছু মন্দ হয় না, সাধু ব্যক্তি পরীক্ষা করে দু'এর একটি গ্রহণ করেন; মূঢ় যে, সে-ই কেবল পরপ্রত্যয়নেয়ৰুদ্ধি হয় অর্থাৎ পরের মুখে ঝাল খায়।” বৃহস্পতি তার ধৰ্ম্মস্থত্রে বলে’ গিয়েছেন, কেবল শাস্ত্র আশ্রয় করে কৰ্ত্তব্যনির্ণয় করা ঠিক নয়, যেহেতু যুক্তিহীন বিচারে ধৰ্ম্মহানি ঘটে। যে যুগে এসকল কথা সাধারণ্যে প্রচলিত ছিল, সেটা ছিল স্বাধীন চিন্তার যুগ। তখন আমাদের বুদ্ধি রাষ্ট্রীয় কিংবা সামাজিক দাসত্বের চাপে শৃ জ্বলিত হয়ে পড়েনি। এখন অামাদের স্বাধীন চিন্তা লোপ পেতে বসেছে । “অতীতের স্মৃতি, তারি স্বপ্ন নিতি, গভীর ঘুমের আয়োজন, ( এ যে ) স্বপনের স্বথ, হথের ছলনা, অার নাহি তাহে প্রয়োজন | 彎 事 求 事 ধুলিশম্য ছাড়ি ওঠ ওঠ সবে, মানবের সাথে যোগ দিতে হবে, তা" যদি না পার চেয়ে দেখ তবে ওই আছে রসাতল ভাই ! আগে চলু আগে চলু ভাই।” রাজনৈতিক আন্দোলন জিনিষটা এখন দেশময় ছড়িয়ে পড়েছে, এবং বিলেত থেকে আমদানি সকল জিনিষের মধ্যে ঐ একটি বস্তুর আবশ্বকতা আমরা ভাল করে’ই উপলব্ধি করতে শিখেছি। স্বতরাং রাজনীতিক্ষেত্র থেকেই ২১টা উদাহরণ দেওয়া যাক। সিডনি স্মিথ, আক্ষেপ করে’ বলেছিলেন, সকল বিদ্যাই অনুশীলনসাপেক্ষ বলে আমরা মনে করি, কেবল এক রাজনীতি ছাড়া ; সেখানে সকলেই স্বয়ংসিদ্ধ ও অশিক্ষিতপটু। যখন তিনি এ-কথা বলেছিলেন, ইংলণ্ডের সে যুগ অনেক কাল অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু তার কথাটা আমাদের পক্ষে এখনও অনেকটা খাটে । সংসারে যেমন পরনিন্দার মত মুখরোচক আর কিছু নেই, সেইরূপ স্বজাতির দোষের দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ না করে অন্তজাতির দোষোঘাটনের চেষ্টাটাও অতি স্বাভাবিক, বিশেষতঃ সেই পর যখন বিদেশীর আকারে আমাদের মাথার উপর চেপে