পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· Nණ්” w^^^^^^^ বসে’ রয়েছে, এবং ক্ষীরসরননীটা তাদেরই ভোগে লাগছে, আমরা একটু জলে দুধ থেয়েই সন্তুষ্ট থাকৃতে বাধ্য হচ্ছি, অনেকের ভাগ্যে তাও জুটছে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তাদের গালাগালি দিয়ে যা ফল, তার চেয়ে অনেক বেশী ফল লাভ হবে নিজেদের দোষগুলি বুঝে সেগুলি দূর করবার চেষ্টা করলে। নিজেরা শক্তিশালী হয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে ঘাড়ের কোন ভূত ত নামূবে না। একটাকে নামাতে পারলেও যে আর-একটা উড়ে এসে জুড়ে' বসবে। কিন্তু সেদিকে আমাদের কয়জনের লক্ষ্য আছে ? মহাত্মা গোখলে বুঝেছিলেন যে রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্যও অনেক শিক্ষণ, অনেক অনুশীলনের দরকার ;– সরকারী নানাবিধ বিবরণী ও সংখ্যাবিজ্ঞান থেকে আরম্ভ করে ভারতের ইতিহাস, পৃথিবীর অন্যান্য জাতির ইতিহাস, রাজনীতি ও অর্থনীতি-বিষয়ক মূল সূত্রগুলি, ভারতের ও অষ্ঠাষ্ঠ দেশের রাষ্ট্রগঠনপ্রণালীর তুলনামূলক সমালোচনী, ইত্যাদি বহু জ্ঞাতব্য বিষয়ে লব্ধপ্রবেশ হতে পারলে, এবং সৰ্ব্ববিধ সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাষ্ট্রিক ব্যাপারে যোগদান করে” সেই শিক্ষা সম্পূর্ণ করে তুলতে পারলে, তবেই আদর্শ রাজনীতিবিদ হওয়া যায়, এবং রাজদরবারে বসে অকাট্য যুক্তির দ্বারা কর্তৃপক্ষের ভ্রমপ্রমাদগুলি খণ্ডন করা যায়। তিনি নিজেকে এই আদর্শে গড়ে তুলেছিলেন বলেই জন মলি" ও লর্ড কার্জন প্রভৃতি ইংলণ্ডের শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদগণ উাকে সম্মান করতেন, এবং লর্ড, কার্জনের ন্যায় বাগীও ‘zzofoon, it is a pleasure to cross swords with him-ৰ্তার সঙ্গে ব্যবস্থাপক সভার আসরে বসে’ বাদামুখাদ করে তৃপ্তি লাভ হয় । দেশে এরূপ একদল কৰ্ম্মীর নিতান্তই আবশ্যক, যারা রাজনীতিচর্চায় জীবন অতিবাহিত করবেন, এবং তজ্জন্য দীর্ঘ সাধনার দ্বারা নিজকে তৈরি করে” নেবেন, তাহলেই রাজনীতি-ক্ষেত্রে আমরা প্রতিষ্ঠালাভ করতে পারব। এট। তিনি বিশেষরূপ হৃদয়ঙ্গম *3rs catafoxxon's Servants of India Society “ভারতসেবক-সভ্য' নামক একটি সম্প্রদায় স্মৃষ্টি করেছিলেন। তাদের জন্য যে-সব নিয়মাবলী প্রস্তুত করে গিয়েছেন, তা ঠিক যেন আমাদের কোন শঙ্করমঠ বা গুরুকূলের প্রবাসী-মাঘ, Nలిలిe [ २७°खांश, २ग्न थ७ আশ্রমের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, পড়ে দেখলেই জানতে পারবেন। লর্ড, সিংহ বলেছেন, এরূপ একটি সেবকসভঘ বাংলার রাজনীতি-ক্ষেত্রের সর্বপ্রধান অভাব। ভারতের অন্যান্ত প্রদেশে এরূপ আশ্রম স্থাপিত হয়েছে, এবং সেখানে যে-সব লোক তৈরি হয়ে উঠছে, তারা তত্তং প্রদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সহজেই প্রতিষ্ঠালাভ করছে । কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই অবসরবিনোদনকরে আলবোলার ধূম উদিগরণ করতে করতে কিংবা চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে দৈনিক সংবাদপত্রের স্তম্ভগুলির উপর চোখ বুলিয়ে গেলেই আমাদের রাজনৈতিক শিক্ষা সম্পূর্ণ হল ভেবে, কেবল কণ্ঠনালীর জোরে রাষ্টিক ব্যাপারে দলপতির আসন গ্রহণ করতে অগ্রসর হই, এবং ইংরেজ জাতির নিন্দ কীৰ্ত্তনে ঘনঘন করতালির শব্দে যখন আসর মুখরিত করে তুলি, তখন সত্য সত্যই জীবন ধন্য মনে করি । wto (finance), Nortfosta (currency), fiftময় ( exchange ) প্রভৃতি বিষয়ে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ক’জন বিশেষজ্ঞের আসন দাবী কবৃতে পারেন, সেটা ভেবে দেখবার বিষয়। ভারতের রাজস্বসচিব স্যার বেসিল ব্ল্যাকেট বিগত ৪ঠা ডিসেম্বর তারিখে বোম্বাই বণিকৃ-সভার অধিবেশনে এসম্বন্ধে কি বলেছেন শুকুন :– - “I believe that on sound financial principles and ཁག་༤ administration depends more almost than on anything else the happy emergence of India as a self-governing dominion of the British Commonwealth of nations. For this reason the problems we are discussing deserve the close attention and study of all who are working for India's political future. But they must be studied scientifically and singlemindedly as subjects of a highly technical and complex nature, not simply as a happy hunting ground in which to find weapons to attack the Government.” এর ভাবার্থ এই যে, ভারতে স্বরাজ্য স্থাপন, খাটি রাজস্বনীতি নির্বাচন ও তার প্রয়োগের উপর যতটা নির্ভর করে, এমন আর কিছুর উপর নয়। ভারতের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে ভাল করবার জন্ত যার চেষ্টা করছেন, আয়ব্যয় ও রাজস্ব-সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের গভীর অভিনিবেশ