পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 مییx مےخ* SMMS MA AeMMAMAMMAMMAMMMASAMAAMMAMAMAM কবৃছেন। সৰ্ব্বাপেক্ষ। পরিতাপের বিষয় এই যে, আমাদের সামাজিক ভেদবুদ্ধিদূরীকরণরূপ যে লক্ষ্য আমি আমার যুবকবন্ধুগণের সমক্ষে উপস্থাপিত করেছিলাম, সে সম্বন্ধে কেউ একটি কথাও বললেন না – আমাদের রাজনীতিক্ষেত্রে যেমন এবিষয়টি নীরবে চাপ। দিয়ে যাওয়া হয়, সভাতেও তার কোন ব্যতিক্রম দেখা গেল না। কেবল জনৈক বক্তা আমার সমর্থন করতে উঠে যখন বলেছিলেন যে, হিন্দুমুসলমানের পরস্পর হিংসা এখনও আমরা তুলতে পারিনি, তখন উপস্থিত একমাত্র শিক্ষিত মুসলমান ভদ্রলোকের করতালি সভার গভীর নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করেছিল। প্রবন্ধপাঠের অল্পক্ষণ পূৰ্ব্বেই জনৈক শ্রদ্ধেয় বন্ধুর নিকট থেকে আমি একখানি চিঠি পেয়েছিলাম, তিনি যা লিখেছিলেন তাতে আমাদের জানবার ও ভাববার অনেক কথা আছে । তিনি মফস্বলে সফরে গিয়ে এক শিক্ষিত মুসলমান দারোগার ঐকান্তিক অনুরোধ এড়াতে না পেরে এক রাত্রির জন্য র্তার গৃহে অতিথি হয়েছিলেন । এতে তার হিন্দু কৰ্ম্মচারী ও ভূত্যবর্গের মনে এরূপ আতঙ্ক উপস্থিত হয়েছিল যে, তা দেখে তিনি লিখেছেন–হায়রে আমার দুর্ভাগ দেশ ! আবার ঐ মুসলমান ভদ্রলোকটির সঙ্গেই নানাবিষয়ে আলাপ করে তিনি বলতে বাধ্য হয়েছেন—Scratch a Mahomedan and you will find a fanatic offs অন্ধ গোড়ামিতে তারা সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । তার ও আমার উভয়েরই অভিজ্ঞতা এই যে, শিক্ষিত মুসলমান ভদ্রলোককে কোন হিন্দু বন্ধু প্রীতি-ভোজনে নিমন্ত্রণ করলে, ধীরে ধীরে গলনালীছেদনরূপ সনাতন মুসলমান রীতিতে পশুটিকে হনন করা হয়েছে কি না এটা না জেনে তারা তার মাংস ভক্ষণ করতে প্রস্তুত নন। ইসলাম ধৰ্ম্ম অবলম্বন করলে হিন্মুনারীকে বিবাহ করতে মুসলমান কখনও পশ্চাদপদ হন না, কিন্তু মুসলমান রমণীকে ধৰ্ম্মান্তরিত করে নিয়ে কোন হিন্দু তাকে বিবাহ করতে চাইলে মুসলমানগণ অসহিষ্ণু হয়ে উঠবেন। কেন না তাদেরই স্তায় প্রচার দ্বারা তাদের স্বধৰ্ম্মীকে হিন্দুধৰ্ম্মে দীক্ষিত করার উদ্দেশ্যে আর্য্যসমাজ যে “শুদ্ধি”-প্রথা প্রচলনের চেষ্টা করছেন, মুসলমানসমাজ তার ঘোরতর প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৩ [ २०* etग,.२घ्न थ७ SAMAAASAASAASAAMAMSAASAASAASAASAAMAMAAASAASAASAASAA AAAS বিরোধী। সম্প্রতি এক ধনী বৈষ্ণবের গৃহে বৈষ্ণব দর্শন সম্বন্ধে জনৈক দেশবিশ্রত বক্তার বক্তৃতা শুনতে গিয়ে দেখা গেল, উপস্থিত মুসলমান কৃষকদিগকে সভামণ্ডপের বাইরে বসতে দেওয়া হয়েছে। চৈতন্যদেব এ দৃশ্ব দেখলে কি বলতেন ? ‘যবন হরিদাসের আখ্যায়িকা কি কেবল উপাখ্যানের বস্তু হয়েই থাকৃবে ? স্থানীয় নমঃশূত্র সম্প্রদায়ের সহিত মুসলমানের বিবাদ হিন্দু-মুসলমানের দ্বন্দ্ব বলে পরিগণিত হয় না, তখন নমঃপূদ্র অস্ত্যজজাতি মাত্র ; যদিও রাজনৈতিক নিৰ্ব্বাচন-ক্ষেত্রে সংখ্যাধিক্য প্রযুক্ত তারা বহুমানাস্পদ । আবার কৌতুক ও পরিতাপের বিষয় এই যে, যে নমঃপূত্র সম্প্রদায় অধুনা সামাজিক উচ্চস্তরের জাতির সঙ্গে সাম্যের দাবী করেন, র্তারাই আবার পরস্পরের মধ্যে উচ্চ-নীচ শ্রেণীতে বিভক্ত, এবং সেই-সকল বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে পাংক্তেয়তা নাই। নিম্নতর শ্রেণীর লোকদের ‘জাতে তুলে নেওয়ার কথা ত নমঃশূদ্র নেতাগণ কল্পনাতেও স্থান দেন না ; প্রচলিত সামাজিক প্রথানুসারে র্যারা সমাজের শীর্ষস্থানীয়, কেবল তাদের সঙ্গে সমতা লাভের জন্তই তারা ব্যগ্র । এইরূপ ভেদবুদ্ধি যেন আমাদের মজ্জাগত হয়ে পড়েছে। দেশের সকল লোকের অন্তরঙ্গভাবে মেলামেশা করবার কুসংস্কারজাত যে ঘোরতর অন্তরায়গুলি বিদ্যমান রয়েছে, সেগুলি আমরা যতদিন দূর করতে না পারছি, ততদিন ‘একতা’ শব্দটি নিতান্তই নিরর্থক নয় কি ? আমাদের হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যা কিছু একতা, তা কেবল সমভাবে পরকর্তৃক নিৰ্য্যাতনের ফল । এটা একতার একটা উপায় হলেও স্থায়ী উপায় নয়। সামাজিক ভেদবুদ্ধি দূরীকরণ ব্যতীত স্থায়ী একতার সম্ভাবনা নেই। আহারসাম্যই এখনও আমাদের নিকট এত স্থদুরপরাহত, বিবাহসাম্যের ত কথাই নেই। অথচ যাদের দৃষ্টাস্তে আমাদের রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই, সেই ইংরেজঞ্জাতি ফরাসি বা জাৰ্ম্মান মহিলা বিয়ে করে বলে’ ত জাতীয়তা হারায় না, সস্তানাদিও সম্পূর্ণ পিতৃজাতিক হয়ে ওঠে, পিতৃবংশের জন্য মাতৃবংশের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রাণ দেয়। যে-সকল মোগল-সম্রাট রাজপুত রমণীর গর্ভ-জাত, তারা ত কেউ অমুসলমান