পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88や م۔--سی প্রবাসী—মাথ, )లలe to [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড ^^ ঝাড়খণ্ডে বাঙ্গালী উপনিবেশ দেওঘর বা দেবগৃহ ঝাড়খণ্ডের অন্তর্গত। রাঢ় দেশে যেমন তারকেশ্বর, ঝাড়খণ্ডে তদ্রুপ বৈদ্যনাথ। বৈদ্যনাথ এই নাম লইবার এবং পীঠস্থান হইবার বহু পূৰ্ব্বে এই স্থানের নাম ছিল ঝাড়খণ্ড । এখানে সতীর হৃৎপিণ্ড পতিত হইয়াছিল। তন্ত্রচুড়ামণিতে আছে—“হার্দপীঠং বৈদ্যনাথে বৈদ্যনাথপ্ত ভৈরব, দেবতা জয়দুর্গাখ্যা।” এখানে বৈদ্যনাথ শিব, দেবী জয়দুর্গ। এই পীঠস্থান মহাভৈরবের নাম হইতে বৈদ্যনাথ নামে প্রথিত হইয়াছে। বৈদ্যনাথের মন্দিরাদি মহারাজা জরাসন্ধের "দেবগুহ’ নামক দেবালয়ের একাস্তে প্রতিষ্ঠিত। দেওঘরের জলসাগর সরোবর জরাসন্ধের "জরা-সাগর" বলিয়া কথিত হয় । দেবগৃহের মন্দিরোপকণ্ঠস্থ “মানস" এবং “শিবগঙ্গা” নামক সরোবরদ্বয় রাবণ কর্তৃক খনিত বলিয়া পাণ্ডারা ইহাদের প্রাচীনত্ব এবং মাহাত্ম্য প্রচার করিয়া থাকেন, কিন্তু অনেকেই বলেন মানস-সরোবর মহারাজা মানসিংহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। সমগ্র সাওতাল-পরগণার মধ্যে তীর্থক্ষেত্র বৈদ্যনাথধাম একটি বাঙ্গালীবহুল স্থান। এখানকার উপনিবেশ অতি প্রাচীন। প্রায় পঞ্চশত বৎসর পুৰ্ব্বে স্বৰ্গীয় বাণীকান্ত মুখোপাধ্যায় সস্তানাদি না হওয়ায় মনের কষ্টে কাশীবাসী হইতে মনস্থ করিলে, তাহা প্রতি স্বপ্নাদেশ হয়, তিনি যেন বৈদ্যনাথ মহাদেবের পাণ্ডাগিরি ও সেবা করিবার জন্য বৈদ্যনাথ ধামে বাস করেন । স্বপ্ন দেশ লাভ করিয়া বাণীকান্ত জন্মস্থান শাস্তিপুর ত্যাগ করিয়া দেবগৃহ( দেওঘর ) বাসী হন । ইনিই দেওঘরের প্রথম বাঙ্গালী উপনিবেশিক বলিয়া উক্ত হন । বাণীকাস্তের দুই পুত্ৰ— নীলাম্বর ও কৃপারাম। বাণীকান্ত মহাদেবের স্বপ্নাদেশে চক্রবর্তী উপাধি ধারণ করেন । তদবধি ইহঁীর বংশধরগণ মুখোপাধ্যায়ের পরিবর্তে চক্রবর্তী পদবীতে পরিচিত হইয়। আসিতেছেন । ইহঁীর বংশীয় ১৪ ঘর মতাস্তরে সর্বশুদ্ধ ১৩ ঘর চক্রবর্তী ; তন্মধ্যে দুই ঘর বন্ধ্যোপাধ্যায় এবং এক ঘর চট্টোপাধ্যায় “ঠাকুর” উপাধি পরিচয়ে বৈদ্যনাথের পাণ্ডাগিরি করিতেছেন। বর্তমান চক্রবর্তী উপাধিটি পাণ্ডীগণের মধ্যে জয়-বিজয় চক্রবর্তী, রাখাল চক্রবর্তী, সারদা চক্রবর্তী, স্বরেন্দ্র চক্রবর্তী, ভোলা চক্রবর্তী, রামানাথ চক্রবর্তী রাসবিহারী চক্রবর্তী এবং গিরিশ চক্ৰবৰ্ত্তীর নামে আমরা পাইয়াছি । শেষোক্ত পাণ্ডাঠাকুরের নিকট আমরা তাহাদের বংশ-পরিচয় প্রাপ্ত হইয়াছি । বাণীকাস্তের পর yজগৎরাম বন্দ্যোপাধ্যায় নদীয়া জেলা হইতে কাশীবাস করিতে বাহির হইয়া বৈদ্যনাথ দর্শনার্থ এখানে আসেন ; কিন্তু পূজার পর বৈদ্যনাথ দেবের আদেশে এখানেই বসবাস করেন এবং পূৰ্ব্বগত বাণীকান্ত চক্রবর্তীর গৃহে বিবাহ করেন । তিনি লালাবাবুর পিতামহ গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের তরফ হইতে সেবাইত নিযুক্ত হইয়া মন্দিরে পূজা পাঠ করিতে থাকেন। র্তাহার বংশধরগণ এখনো পাকপাড়ার সিংহবাবুদের নিকট হইতে দৈনিক ২ টাকা বৃত্তি পান। জগৎরাম ঠাকুরের পিতা কৃষ্ণরাম বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এই বিষয়ে দলিল আছে । তিনিই বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে "ঠাকুর’ উপাধি গ্রহণ করেন। র্তাহার ংশধরগণ অতঃপর “ঠাকুর’ বলিয়াই পরিচিত। এই বংশীয় ৮৬-বৎসর-বয়স্ক বৃদ্ধ পাণ্ডা শ্ৰীযুক্ত উমেশচন্দ্র ঠাকুরের (বন্দ্যোপাধ্যায় ) নিকট র্তাহীদের উপনিবেশের বিবরণ আমরা সংগ্ৰহ করিয়াছি । তিনি বলিলেন, তাহাদের পূর্বপুরুষগণ কৃষ্ণরাম, মণিরাম, জীৎরাম, গোবিন্দরাম এবং তিনি ( উমেশচন্দ্র ) প্রায় সকলেই পূৰ্ব্বোক্ত চক্রবর্তীদের গৃহে বিবাহ করেন। তাহাজের কেহ কেহ রাণীগঞ্জের নিকট নিমচা গ্রামে তপাদার উপাধিধারী চট্টোপাধ্যায় বংশে এবং বৰ্দ্ধমান বাকুড়া বীরভূম প্রভৃতি জেলায় বিবাহ করিয়া থাকেন। এই বাঙ্গালী পাগুদিগের গৃহে মেয়েরা ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাঙ্গালা ও হিন্দীতে এবং পুরুষরা বিশুদ্ধ হিন্দীতে এমন কি মেয়েদের সহিতও হিন্দীতে কথা বলেন। পশ্চিমা পাণ্ডাদের সহিত বৈবাহিক আদান প্রদান না থাকিলেও পরস্পরের মধ্যে পকান্ন ভোজন ও শবদেহ বহনাদি